ছেলেটার মাথায় হাত রাখতেই রক্তে চুপ চুপ হয়ে গেল ফারিয়ার জোসনা-ধোয়া হাত। চমকে উঠলো সে নিজের হাতের দিকে চেয়ে। ভাষা হারিয়ে ফেলল। খুব ভয় চোখে মুখে। হৃদয়ে দ্বিধার গুঞ্জরণ। মৃত্যুর
একটু একটু করে নরম সূর্য উঠছে পুবাকাশে।কুয়াশার কারণে ডিমের কুসুমের মতো দেখতে সূর্যটা। নরম রোদ ছড়িয়ে পড়ছে শীতসকালের গায়ে।ভীষণ রকমের সুন্দর এ সকালটা।মায়াবী মায়াবি একধরনের আবেশ মিশে আছে তাতে।ঝাঁকে ঝাঁকে
গভীর রাতে তুফানের ঘুম ভাঙ্গল। চাঁদনির আলো। মৃদু হাওয়া বইছে। বাড়ির পাশেই পুকুর পাড়। এবার তেমন মাছ ছাড়া হয়নি—টাকার সংকট, ছাড়বেই-বা কিভাবে? চোখ থেকে যেন ঘুম হারিয়ে গেছে, বিছানায় আর
ইরাকের গ্রীষ্ম অনেকটা আমাদের দেশের বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠের মতই—তপ্ত, রুক্ষ আর কষ্টকর। বালির ঝড়ে চারদিক ধূসর হয়ে যায়, মাঝে মাঝে মনে হয় পৃথিবীটাই যেন থেমে গেছে। অথচ, এই উত্তপ্ত বালুর বুকেই আমি
একদা শেখ সাদী রাস্তা দিয়া হাটিয়া যাচ্ছিলেন।পথিমধ্যেই এক বাড়িতে বড় করিয়া ভোজের আয়োজন করা হইয়াছিল।শেখ সাদী তখন ক্ষুধার্ত ছিলেন।তাহার পরনে ছিলো ধুলায় মোড়ানো একটা জুব্বা আর ছিরা-ফাটা একজোড়া জুতা।এমতাবস্থায় তিনি
লেখক: মীর ফয়সাল নোমান রফিক নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে ছিল অপারেশন থিয়েটারের সামনে। সময় গড়িয়ে চলেছে, আর সে শুধু জানলার কাঁচের ওপারে তাকিয়ে আছে। আজকের এই মুহূর্তে, অতীত যেন স্পষ্ট হয়ে
ব্যর্থ ভালোবাসা (গল্প পর্ব ৯) লেখক: মীর ফয়সাল নোমান এখন সেটা ভেবে আর কি হবে। তিন বছর পর রফিক আজ প্রতিষ্ঠিত। তার কাছে গাড়ি, বাড়ি, নারী—সবই আছে। তিন বছর পর
লেখকঃ মীর ফয়সাল নোমান রফিক একসময় স্বপ্ন দেখত, তারা দুজন একসঙ্গে জীবন কাটাবে। রিয়ার হাত ধরে জীবন পাড়ি দেওয়ার আশায় বুক বেঁধেছিল সে। কিন্তু সময় বদলায়, স্বপ্ন বদলায়, আর
মীর ফয়সাল নোমান “তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাও। তোমার মুখ যেন কোনোদিন আমার সামনে না পড়ে,”—রিয়ার শেষ কথাগুলো রফিকের কানে বিদ্যুতের মতো বাজে। তার হৃদয়ে গভীর আঘাত লাগে। রফিক
প্রথম পর্ব : মহাবিশ্বের প্রথম শ্বাস সৃষ্টির আঁধারে, শব্দহীন এক নিশ্বাসে, অণুরাজ্যে জেগে ওঠা এক অদৃশ্য তাড়নায়, যেন নক্ষত্রের গর্ভে অঙ্কুরিত আশে, দুটি আলাদা সত্তা এক সুরে মিলে যায়।