বৃষ্টি
বৃষ্টি আসে,ধান ঝরে,
মাঠের পথে পা ভিজে।
হাসি গানে বন্ধু পাশে
দৌড়ে দৌড়ে কাদা ছিটে পায়ে।
ছাতা নেই,মন ভরে খুশি,
পায়ে জল মুখে হাসি,
বন্ধুর সঙ্গে পালালে বাঁচি।
ছুটি ছুটি পায়ে স্কুলের পথে হাটি
স্কুলের পথে কাঁদা খেলে,
ছোট বেলার সৃতি মধুর মিলে।
একটা কালো রাত
একটা কালো রাত_
নিস্তব্ধ চারপাশে,কেবল হৃদয়ের শব্দ,
তুমি নেই,অথচ আছো,
শ্বাসের ফাঁকে ফাঁকে জমে আছে তোমার ছায়া।
জানালার ওপাশে চাঁদ নেই আজ,
তবুও আলো ঝরে_অজানা অভিমান থেকে।
ঐ রাত টা যেনো ভেজা চোখের মতো,
আলোয় না ভাসে,শুধু ভেতরে পুড়ে যায়।
একটা কালো রাত আমায় জড়িয়ে ধরে,
বলে,”তুমি কি তাকে আজ ও ভালোবাসো?”
আমি উত্তর দেই না।
কারণ উত্তর মানে আরেকটা দহন,আরেকটা রাত।
স্মৃতি গুলো টুপটাপ পড়ে,
জলের শব্দ নয়-তা জ্বালার শব্দ।
যেখানে তুমি এক সময় ছিলে পূর্ণিমা,
আজ শুধু এক গভীর অন্ধকার।
এই রাত শেষ হবে জানি,
তবু প্রতিটা কালো রাত যেন এক নতুন শুরু।
তোমাকে হারানোর, আবার খুঁজে পাওয়ার,
আর নিজেকেই প্রশ্ন করার,
তুমি কি সত্যই চলে গেছো?”
সোনাই দিবা
সোনাই দিবা,তুই আয় আমার কোলে,
নরম মুখখানি লুকা দুপুরের রোদে।
চোখে তোর তারা,হাসিতে গান,
তুই যে আমার স্বপ্নে আঁকা প্রাণ।
হাঁটি হাঁটি পায় চলে,গুঙিয়ে বলে কথা,
তোরে দেখে ভুলে যাই আমি দুঃখ_ব্যথা।
চুলেতে তোর চাঁদের ঝিলিক,
মনটা ভরে চোখে জমে দীপ্তি ঠিক ঠিক।
ঘুমের ঘোরে মুখে হাসি_
কে যে কাকে এমন ভালোবাসি!
তুই না থাকলে এই জীবন বাঁকা,
তুই যে আমার জগতের আঁকা।
তোর জন্যই গাঁথা আমার প্রতিটি দিন,
তুই-ই আমার সকাল,তুই-ই গোধুলি বিন।
সোনাই দিবা,তুই রইস আমার,
তোরে জড়িয়ে রাখব শত যুগ পার।
মিথ্যার আড়ালে ভালোবাসা
ভালোবাসি তাকে,
আমার সমস্ত অস্তিত্বের আলো_অন্ধকার দিয়ে,
কিন্তু সে?
যে বার বার মিথ্যার পর্দায় ঢেকে রাখে সত্যি,
লুকিয়ে রাখে অনুভুতি,
আমার বিশ্বাসের বুক চিরে রাখে ক্ষতের দাগ।
আমি জানি_
তার প্রতিটি ছলনা,প্রতিটি ফাঁকি,
আমার চোখ ফাঁকি দিতে পারে না কখন ও।
তবু আমি নীরব হই,
কারণ ভালোবাসা মানে সহ্য করা,
কান্না গোপান রাখা,
হৃদয়কে টুকরো টুকরো হতে দেখা।
রাতের নির্জনতায় আমি ভেঙ্গে পড়ি,
অশ্রুর সাগরে ডুবে যাই,
কেননা আমার স্বপ্ন গুলোকে সে প্রতিদিন ভাঙ্গে।
আমার ভালোবাসাকে করে অবহেলা,
আমার দুঃখকে সে কখন ও বোঝে না।
আমি চাইতাম_
সে যুদি একবার সত্যি করে বলতো,
যে তার হৃদয়ে আমিই আছি,
তাহলে আমার হাজার কষ্ট মুছে যেতো।
কিন্তু না।
সে মিথ্যার জালে জড়িয়ে রাখো আমাকে,
আমি জানি,তবুও ছাড়তে পারি না।
ভালোবাসা কেনো এত নিষ্টুর হয়?
যে ভালোবাসা আমি পূর্ণ আত্মা দিয়ে দিলাম
তার কাছে তা কেবল এক খন্ড খেলা?
আমার বুকের ভেতর জমানো আগুন,
আমার নিঃশ্বাসে জমে থাকা আহাজারি _
সব কিছু ভেঙ্গে পড়ে ও
আমি আবার ও তার নাম উচ্চারণ করি।
হয়তো এই আমার নিয়তি,
ভালোবাসার নামই হারানো,
বিশ্বাসের ভেতর প্রতারণা লুকানো।
তবু আমি ভালোবাসি,
অন্ধকারে থেকেও তার আলো খুঁজি,
কারণ আমার হৃদয়ে জানে_
ভালোবাসা হলো বেদনা রই আরেক নাম।
বিলুর মহিষ
বিলু যায় মাঠের ধানে,
হাসি খেলে ঘাসে মানে।
সোনালি রোদ ওঠে ভোরে,
মহিষ আসে ধীরে ধীরে।
লম্বা শিং,চকচকে চোখ,
মধুর হাসি,সোনা বোঝা।
বিলু বলে,”ও বন্ধু আমার,
তুমি বড়ই শান্তির ধার”
মহিষ হেঁটে আসে কাছে,
গরম দুপুরে ছায়া মিলে।
দুধ দেয়া,খাওয়ানো খোঁজ,
বিলু খুশিতে নাচে রোজ।