রিপোর্টঃ মোছাঃ সাথী খাতুন
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ এক আনন্দঘন দিন ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজন করেছিল ভিন্নধর্মী এক সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ। সাহিত্যচর্চার সঙ্গে বিনোদন এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মেলবন্ধন ঘটাতে এই আয়োজনটি নিঃসন্দেহে এক অনন্য উদ্যোগ হয়ে উঠেছিল। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা আয়োজনে মুখরিত ছিল পুরো দিন।
আড্ডায় উপস্থিত কবি ও লেখকরা তাদের সৃষ্ট কবিতা, গল্প ও ভাবনার অংশ শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরেন। একে অপরের লেখা শুনে সাহিত্যচর্চায় নতুন প্রেরণা পাওয়া যায়। আড্ডায় কবিতা আবৃত্তি বিশেষভাবে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শিশু থেকে শুরু করে প্রবীণ সবাই অংশ নেন আবৃত্তিতে। কারও কণ্ঠে দেশপ্রেম, কারও কণ্ঠে ভালোবাসা, আবার কারও কণ্ঠে জীবনের নানান বেদনাময় বাস্তবতা—সব মিলিয়ে এক অনন্য আবহ সৃষ্টি হয়েছিল।
সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি আয়োজন ছিল নানাবিধ বিনোদনের। শিশু-কিশোরদের জন্য ছিল বেলুন ফুটানোর খেলা। তাদের হাসি-আনন্দে পরিবেশ হয়ে ওঠে উৎসবমুখর। এছাড়াও ছিল রাফেল ড্র, যেখানে সৌভাগ্যবান বিজয়ীরা আকর্ষণীয় পুরস্কার জিতে নেন।
সাহিত্য আড্ডার অন্যতম আকর্ষণ ছিল সম্মাননা প্রদান। ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার দীর্ঘদিন ধরে যারা নিয়মিত সাহিত্যচর্চায় অবদান রেখে চলেছেন, তাদের ক্রেস্ট দিয়ে সম্মানিত করে। এই সম্মাননা গ্রহণের সময় কবি-লেখকদের মুখে ছিল তৃপ্তি ও গর্বের হাসি। এটি কেবল স্বীকৃতিই নয়, বরং ভবিষ্যতে আরও সাহিত্যকর্মে অনুপ্রাণিত হওয়ার এক মধুর বার্তা বয়ে আনে।
মূল অনুষ্ঠান শেষে শুরু হয় সাফারি পার্ক ভ্রমণ। প্রকৃতির সবুজ ছায়াঘেরা সৌন্দর্য, বন্যপ্রাণীর বিচরণ আর অনন্য পরিবেশ সবার মন জয় করে নেয়। একে অপরের সঙ্গে ছবি তোলা, ঘুরে বেড়ানো আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা—সব মিলিয়ে সবার হৃদয়ে এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা যোগ হয়।
দিনভর এই আয়োজনের মাধ্যমে ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের সদস্যরা একদিকে যেমন নিজেদের সাহিত্যচর্চা ভাগাভাগি করেছেন, তেমনি পারিবারিক বন্ধনের মতো একসঙ্গে আনন্দ-উল্লাসও উপভোগ করেছেন। ভ্রমণের ক্লান্তি সবাইকে স্পর্শ করলেও মনে জমে থাকা সুখস্মৃতি তা ঢেকে দেয়।
শেষ মুহূর্তে সবাই আবার একত্রিত হয়ে সমাপনী পর্বে অংশ নেন। আয়োজকরা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং আগামী দিনে আরও বড় পরিসরে সাহিত্য আড্ডা ও ভ্রমণের আয়োজন করার আশ্বাস দেন।