ভাঙ্গন নদী
ময়নার মা
নদীর ভাঙ্গনে ময়নার মা,
আজ হলো হা-হা কার,
ভিটা মাটি নিলো কেড়ে,
ভাঙ্গল সোনার সংসার।
ময়নার খেলার নিম গাছটা
ডুবে গেলো স্রোতে,
সৃতির মতো ভেসে চলে
অতীত দিনের কথাতে।
ময়না মায়রে ডেকে কয়
মা নদীরে কওনা,
বুঝিয়ে নিম গাছটা যেনো রয়।
তৃব্য
কথার আগাতে আমি তৃব্য,
শব্দে শূন্যতা, বিষে রিক্ত কবিত্ব।
প্রেম যখন এলো, নদীর মত শান্ত,
ভেবে ছিলাম জীবন হবে নির্ভার অন্তরান্ত।
তবু সে প্রেমই ফুরালো কুয়াশায়,
কথা না বলা কথায়, চোখে জল জমায়।
তোমার হাসির হারালে লুকানো বিদায়,
আমি বোঝিনি তখন, সে ছিলো চির স্মৃতির দায়।
প্রকৃতি জানে আমি কেমন ঝরে যাই,
গাছে পাতারা পড়ে, আমি ও নিজেই হারাই।
পাখির মতো উড়ে যাই ঘন নীরবতায়,
শুধু আমার ছায়া পড়ে থাকে নির্জন পথের আয়নায়।
জীবন দিয়েছে অনেক কথা, কিছু ছিল বিষ,
কিছু ছিল আশার আলো, বাকি শুধু নিঃশ্বাসের নিঃশেষ।
আমি বলি, শুনে না কেউ_আমার ব্যথার আখ্যান,
তবুও কবিতায় রাখি আমি, সেই নীরব চিহ্নবান।
তাই তো আমি তৃব্য, নরম নয়, তীক্ষ্ণ এক বর্ণ
প্রেম বিরহ গড়া, প্রকৃতির মতো গম্ভীর _গভীর জ্বরণ।
কথা আমার শান্ত নয়, ছায়া_ছাওয়া পিছুটান জীবনের নাম ধরি ডাকি_
তবু ও সে দেয় না কোনো উত্তর,
শুধু রেখে যায়, কবিতার পাতায় অবিনাশী কান্নার ছন্দ।