হে যুবক!
তুমি কি শুনতে পাও আজ মসজিদের মিনার কাঁদছে?
আযানের ধ্বনি ঢেকে দিচ্ছে কামানের গর্জন,
শিশুর কান্না মিশে যাচ্ছে ধোঁয়া আর আগুনের সাথে,
আর তুমি এখনো স্বপ্নে ডুবে আছো নীরবতায়?
তুমি কি ভুলে গেছ বদরের মরুপ্রান্তর?
যেখানে ক্ষুধার্ত সৈনিকের হাতে ছিল তলোয়ারের চেয়ে বড় ঈমান,
উহুদের রক্তমাখা বালুকায় যে শপথ লেখা হয়েছিল,
যে শপথ বলেছিল– “আমরা আল্লাহর পথে জীবন দেব, তবুও মাথা নত করব না।”
হে নবীর উম্মাহর তরুণ!
তুমি কি জানো, জিহাদ কেবল তরবারির শব্দ নয়,
এটা অন্যায়ের শেকল ভাঙার শপথ,
এটা ন্যায়ের পতাকা উঁচু রাখার অঙ্গীকার,
এটা সত্যের পথে বুক পেতে দাঁড়ানোর সাহস।
আজ পৃথিবী ভরা ফেরাউনের ছায়ায়,
তাদের হাতে রক্ত, ঠোঁটে মিথ্যা, আর চোখে আগুন।
তারা আমাদের মসজিদ পুড়িয়েছে,
আমাদের বোনদের হিজাব ছিঁড়েছে,
আমাদের শিশুদের বুক বিদ্ধ করেছে বুলেটে–
তুমি কি চুপ করে যাবে?
হে যুবক!
তোমার হাত শক্ত করো, তোমার ঈমানকে ঢাল বানাও,
তোমার জ্ঞানকে তলোয়ার বানাও,
তোমার দোয়া দিয়ে আকাশ বিদীর্ণ করো।
কারণ আল্লাহর পথে প্রতিটি চেষ্টা–
হোক তা কলমে, মুখে, কিংবা হাতে–
হল জিহাদ, যদি তা সত্যের জন্য হয়।
উঠে দাঁড়াও!
তোমার রক্তে জ্বলে উঠুক বদরের শপথ,
তোমার হৃদয়ে বাজুক উহুদের প্রতিজ্ঞা,
তোমার কণ্ঠে ধ্বনিত হোক– “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”,
যাতে জালেমরা কেঁপে ওঠে,
আর মজলুমরা হাসে মুক্তির আলোয়।