মায়ের হাতের গন্ধ মেশা ভাতে,
লেগে থাকে স্বর্গের মিষ্টি স্বাদে।
আদরের তরে যে রান্না করতেন,
হৃদয়ে যেনো দোয়া ঢেলে দিতেন।
ছোট্ট আমি, মায়ের কোলে বসে,
সেমাই খেতাম মজা করে বসে।
কখনো আবার পায়েসের হাঁড়ি,
ঈদের সকালে যেন মজা হত ভারী।
ভুনা খিচুড়ি আর গরুর মাংস,
মায়ের হাতেই মিলে স্বাদের অংশ।
বলো তো এমন রান্না আর কি হয়?
যেখানে নেই প্রেমের ছোঁয়া সেই?
হাঁড়ি-পাতিল যখন টুং টাং বাজে,
মায়ের মুখে তখন নূরের সাজে।
এক হাতে চামচ, এক হাতে থালা,
যেনো জান্নাতের পথ খুলে খুলা।
রান্নার মাঝে তিনি যিকির করতেন,
“বিসমিল্লাহ” বলে শুরু করতেন।
রাসুল (সা.) বলেছেন, “মায়ের পায়ে,
জান্নাত খোঁজো—তাও ভালো ছায়ে।”
আজও মন চায় মায়ের হাতের রুটি,
যা ছিলো দোয়ার মতোই মিষ্টি।
এক গ্লাস শরবতে, ছিল যে মায়া,
তৃপ্তি পেতো প্রাণ, শান্তি পেতো ছায়া।
মায়ের রান্নায় ছিলো যে রহমত,
স্নেহে মাখা, দোয়ায় স্নিগ্ধতা শত।
আজ সে দিনের কথা, শুধু মনে বাজে,
মায়ের হাতের খাবার—জান্নাতি সাজে।