অবাক পুরুষ তোমরা
পরিজনের আহার মেটাতে পাড়ি দাও রুঢ় পথ
শাশ্বত রও অবিদিত শহরে
সম্বল না হওয়ায় চিন্তিত হও
মুখে অম্লান হাসি ফোনের ওপার হতে শোনে
এক কাপ চা ও বিস্কুট এর খিদে
ভরা পেটে ভাত খেয়েছ বলেছো দৃঢ় সুরে
সত্যি অবাক পুরুষ তোমরা
কখনো উদয়বান মহৎ কাজের ন্যায়
সাহায্যের হাত বড়ই মনুষ্যত্বে ভরা
সত্যি অবাক পুরুষ তোমরা
পান্ডুর ন্যায় মুখখানি চোখ দুটি ছলছল অম্বর পাণে
কত-শত স্বপ্ন অভাব অনটনের ভিড়ে চাপা পরেছে
হাল ধরেছো উপার্জনের পথে,
সব ইচ্ছে বিসর্জন দিয়ে
সত্যি অবাক পুরুষ তোমরা।।
বহিন সূরত সুন্দর হাঁটিয়া চললো রাস্তায়
পাগলে তাঁহার নিকট করিল আবদার
পায়ে ধরে চাহিছে খাবার অনাহারে কয়েক দিন তার
দূর হতে না বুঝিয়া হাতে লাঠি লইয়া করিলে আঘাত
সহোদর হইয়া তোমরা হও হিতকর
অন্য মেয়ের বেলা হিংস্র রাস্তার বখাটে
সত্যি অবাক পুরুষ তোমরা বটে
রাস্তার ধারে, স্কুলের গেটে, চায়ের দোকানে কিংবা কোনো মাঠে
নানান জায়গায় তোমাদের হাসির ভিড় জমে
কেউবা দুঃখ বলে বন্ধুর পাণে
কেউবা ভারি চাপা চুপিসারে শুধুই শোনে
কেউবা কাজের ফাঁকে এসেছে জমিয়ে গল্প করবে বলে
তৎক্ষনাৎ চোখে সবার দূর হতে
মেয়েদল ঠোঁটে হাসি হাতে হাত ধরে আসছে
শ্বাপদের ন্যায় হাসি সিক্ত মুখে বাজালে হুংকার
করিলে ঘেরাও
স্পর্শ করিতে আঁখি
ভয়ে জড়সড় দুর্দম মিনতি করিছে
হাত জুড়ি বাঁচিবার আপ্রাণ চেষ্টা
তবুও দুঃসহ তোমাদের মানবিক
সত্যি অবাক পুরুষ তোমরা
তোমাদের করতলে গোটা পরিবার তোমার মালঞ্চ
তোমরাই আবার অন্যের ক্রন্দন-রোল হলে
সত্যি অবাক পুরুষ তোমরা,,