1. admin@ichchashakti.com : admin :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

কবি- মু.একরামুল হক আরিফ মিয়াজী’র একগুচ্ছ কবিতা

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৪৬ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

কবি পরিচিতিঃ 

মু.একরামুল হক আরিফ মিয়াজী ১৯৮৯ সালের ৩০শে জানুয়ারি ফেনী জেলার সোনাগাজী থানার আট নং আমিরাবাদ ইউনিয়নের চরলামছি এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাই, তিন বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। পিতা সাহাব উদ্দিন (বীর মুক্তিযোদ্ধা) মাতা সাজেদা আক্তার (গৃহিণী)। তিনি ফেনী সরকারি কলেজ থেকে (সেশন ২০০৬-০৭) বি,এস, এস Secend Division/Class পেয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ভর্তি হন। সেখানে পিলি (প্রথম পর্ব) শেষ করে কর্মের উদ্দেশ্যে ঢাকা চলে যান। বর্তমানে ঢাকাতে উত্তরা ল`কলেজে অধ্যয়নরত আছেন। তার যৌথ কাব্যগ্রন্থ: নির্বাচিত ২৫০ কবির কবিতা (অমর একুশে বইমেলা ২০২৪) হৃদয়ের কাব্য কথা (অমর একুশে বইমেলা ২০২৪) শতকাব্য (অমর একুশে বইমেলা ২০২৪) উদীয়মান কবি (অমর একুশে বইমেলা ২০২৩) নিসর্গ নিনাদ- ২০২৪. সময় পেলেই লিখেন সাপ্তাহিক “স্বদেশ কন্ঠ” পত্রিকায়। স্বদেশ কন্ঠ সাহিত্য সাময়িকীতে প্রকাশিত কবিতার মধ্যে.. যেমন:- আমি চাষী (14 March 2023) আল আকসা (24 Oct 2023)

দূরের পথে (28 Feb 2023) হৃদয়ের পাতায় (18 Apr 2023) স্বাধীনতা (28 Mar 2023) প্রার্থনা (27 June 2023) তোমাদের ভূলবোনা (21 Feb 2023) হারিয়েছি প্রদীপ (20 Sep 2023) “আপনার কলম চলুক দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার জন্য”। তিনি ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের একজন সক্রিয় সদস্য। ইচ্ছাশক্তি আইডি নং- ০০২০২২০৪৭০

 

০১

আমি একা

 

আমি অনেক ভালো আছি

তাইতো আমি একা থাকি

একা-একা পথ চলি

একা-একা কথা বলি

কখনো নিজের সাথে

কখনো ঘন কালো অন্ধকারের সাথে

আবার কখনো আকাশের দিকে তাকিয়ে

চাঁদ-তারার সাথে

কখনো দুপুরের কোলাহল মুক্ত নিস্তবদ্ধতায় বাতাসের সাথে।

 

আমি বেশ ভালো আছি

তাইতো আমি ছুটে চলি ফুটন্ত গোলাপের বাগানে

নিঃসঙ্গ জীবনে গোলাপের একটু ভালোবাসা পাবো বলে।

কখনো ছুটে যাই সমুদ্রের ধারে

নিরবতা আর ঢেউয়ের খেলায় কিছুটা স্বস্তি পাবো বলে।

কখনো-কখনো ছুটে যাই জনমানব শূন্য কোন এক দূরের পথে।

 

০২

হারিয়েছি প্রদীপ

 

আমার যে ভাঙা তরী কেমন করে পাল তুলি?

কি করে দিবো পাড়ি এই খরতর নদী

ব্যাকুল হয়লো মন,খুঁজিয়া তার কূল-

কূল কি পাবো খুঁজে এই অবেলায়।

 

আমি মাঝি বসিয়া ভাবি নদীর কিনারাই

এই নিশি ক্ষণে ঝড়ো হাওয়া মনে

কিভাবে করিবো পার এই ঘোর অন্ধকার

হারিয়েছি প্রদীপ খানি।

 

বেলা হারালাম হেলায়-হেলায় কূলের ভাবনা ভাবিনাই

আলো হারালাম অন্ধকারে মন্দ মেলামেশায়।

আমি মাঝি/এই ভাবিয়া কাঁদি/যে প্রদীপ হারিয়েছি/আসবে না সে ফিরে।

 

আমি দিশেহারা মাঝি।

এই কূলে আজ অনাহারী,হালাল রুজি খুঁজি।

ঐ কূলে তুমি ওগো থাকিও রাজি।

 

০৩

বাবা (গীতি)

 

বাবা,যে দিন তুমি থাকবেনা-

এই কথা ভাবতে অশ্রু ঝরে দু’চোখে

বাবা,তোমার সকল স্মৃতি সকল কথা

ভালোবাসায় রেখেছি গেঁথে এই হৃদয়ে।

 

বাবা,যে দিন তুমি থাকবেনা-

কি করে পারবো তোমার শূন্যতা মানতে।

কি করে পারবো আদরের ঐ দুই হাত থেকে দূরে থাকতে।

 

বাবা,যে দিন তুমি থাকবেনা-

বল, কে দিবে সাহস কে দিবে শক্তি

অন্ধকারের ঐ অচেনা পথ হাঁটতে।

 

বাবা,যখন তুমি থাকবেনা-

কে বলিবে আমায়

রাত হয়েছে অনেক

আয় ঘরে ফিরে আয়।

 

বাবা,যখন তুমি থাকবেনা

কে বলিবে আমায়

ওরে ছেলে ভাবিসনে

আছিতো আমি এখনো ।

 

বাবা,তোমায় খুঁজে না পাওয়া-

আর না দেখার ব্যাথা

কি করে আমি মানবো

বাবা যে দিন তুমি থাকবেনা

আমি ও হারিয়ে যাবো দূরে বহু দূরের অজানায়….

 

০৪

স্বপ্ন

 

এখনো স্বপ্ন দেখি তোমায় পাবো বলে

ছঁলোছঁলো দু’টি আখিঁ চেয়ে থাকে তোমার পানে

তুমি আসবে বলে।

তুমি আসবে বলে,নির্ঘুম রাত কাঁটে

স্বপ্ন চোঁখে বসে থাকি বাতায়ন খুলে

তুমি আসবে বলে।

তোমার হাতের স্পর্শ পাবো বলে-

এখনো অপেক্ষায় এক দৃষ্টিতে;

সুখ খুঁজে পাই,তোমার স্পর্শের জানালায়

এই ব্যাকুলতা আর নির্লজ্জ জীবন শুধু তোমার শূন্যতায়।

অবুঝ শিশুর মত বসে থাকি উন্মুক্ত বাতাসে গাছের ছাঁয়ায়।

মনে পড়ে যায়,হাজারো স্মৃতি-রাগ অভিমান-অভিযোগ ভালোবাসার পুঁথি।

মনে পড়ে যায়,যেই পথে হেঁটেছি হাত ধরে দু’জন-দু’জনায়।

সেই পথ ধরে এখনো হাঁটি-তোমার অপেক্ষায়

 

০৫

মরুর বুকে একদিন

 

আমি মরুর বুকে পথ চলা পথিক

আছে খরারৌদ্র আর উত্তপ্ত বালুর ঢেউ।

অতিশয় ক্লান্ত,আর তৃষ্ণার্ত-

অন্তরে হাহাকার শুধু এক পেয়ালা জলের।

পিপাসার যন্ত্রণায় কাতর,

দেহ ছাড়িয়া রূহটা যেন উড়াল দিয়ে যায়।

তাকিয়ে রইলাম ঐ দূরের পথে

কেউ যদি এসে মোর পাশে দাঁড়ায়।

 

হটাঁৎ কারো ডাক আসিলো কানে-

কে যেন কহিল,যত খুশি পান করো

সবটুকু শরাব রাখলাম তোমার দ্বারে।

বলিয়া উঠিল মন,ওরে শয়তান!

শেষ নিঃশ্বাস করিবো ত্যাগ!

তবুও মুখে তুলবোনা এই শরাব।

বলিলো মন,আজ নয় কাল

আমি করিবো তৃষ্ণা নিবারণ

পান করিবো “শারাবান তহূরা” ধন্য হবে প্রাণ।

 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park