1. admin@ichchashakti.com : admin :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

নিরবতা আর নয়! গর্জে উঠার এখনই সময়!! 

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫
  • ৪৫ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

তাকিয়া কবীর লাইজু

 

ফিলিস্তিন! ফিলিস্তিন এমন এক দেশের নাম যে দেশের নাম শুনতেই আজ চোখের কোনে একদল নোনাজল এসে জমাট বাঁধে।যাদের অসহায়ত্ব, আহাজারি, আঘাতে, ব্যাথায় সমব্যাথিত হয়ে হৃদ ভেঙে বিচূর্ণ হয়।যাদের কষ্ট দেখে নিজেকে সামলানো অসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়!

আচ্ছা!

আচ্ছা আর কত রক্তবন্যা বয়ে গেলে জাগ্রত হব আমরা!?খুলবে আমাদের চক্ষু!? ভাঙবে এ গভীর ঘুম!?আর কত লাশ দেখলে পরে তুলবো মোরা প্রতিবাদের ঝড়!?!

 

লাশ!!

সারি সারি সাজানো শ’শ’ লাশের দৃশ্য, যে দৃশ্য রাতের ঘুম কেড়ে নিতে বাধ্য করে!! প্রচন্ড বোমার আঘাতে যখন উড়ে যায় লাশ আকাশে.. সে দৃশ্য দৃষ্টিকোনে ধরা দেয়ার পরও মুসলিমবিশ্ব গুলো কী করে পারছে নিশ্চুপ থাকতে!নিজেদের চার দেয়ালের বন্ধকোণে বন্দী রেখে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকতে!যখন আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই বোনেরা একটু মাথা গুজার ঠাঁই আশ্রয়ের আশায় এদিক সেদিক ছুটে বেড়াচ্ছে, সেখানে দাঁড়িয়ে আমরা মুসলিমরা কি করে পারছি নিশ্চিন্তায় আরামের মোলায়েম বিছানায় গাঁ হেলিয়ে প্রশান্তির ঘুম ঘুমোতে! যেখানে আমাদেরই মুসলিম ভাই বোনেরা একমুঠো খাবারের জন্য করছে হাহাকার সেখানে দাঁড়িয়ে কী করে তাদের সাহায্যে না এগিয়ে  নিরব দর্শক হয়ে আমাদের গলা দিয়ে নামছে খাবার! এ আমরা কোন সে মুসলমান?!  কেমন মানুষ!?!আজ নিজেদের প্রতি ই নিজেদের ঘৃনা হচ্ছে, হচ্ছে চরম লজ্জা!

 

“আমরা মানুষ যদি মানুষের মত মানুষ না হই তবে সে নামেমাত্র মানুষ হয়ে লাভ কোথায়!!”

 

না জানি!ইহুদি কাফেরদের এই পাষবিক নির্যাতন, অত্যাচার,জুলুম,বর্বরতার শেষ কোথায়!? কোথায় এর পরিসমাপ্তি!?!

 

মাসুম শিশুদের কান্না,মায়েদের আর্তনাদ, বাবাদের আহাজারিতে যখন ভারী হয়ে উঠছে ফিলিস্তিনের আাকাশ বাতাস,অথচ!তখনো মুসলিম বিশ্বগুলো নিরব দর্শক হয়ে বসে!আমরা মুসলিম, আমরা ভাই  ভাই। সে জায়গায় দাঁড়িয়ে কী করে পারছি এক ভাইয়ের মৃত্যুতে আরেক ভাই চুপ থাকতে?!জালিমদের এই ভয়াবহ জুলুম নিরবে সয়ে যেতে!নির্মম হৃদয় বিদারক দৃশ্য স্বচক্ষে দেখেও তা সহ্য করে নিজেদের দমিয়ে রাখতে!নিশ্চুপ থাকতে!কেন এখনো নিরবতা ভাঙ্গেনা আমাদের?ঘুমন্ত বিবেককে কেন জাগিয়ে তুলছিনা আমরা?কেন আদৌ চুপ সমস্ত মুসলিম বিশ্ব!?? তবে কি আজ নিদ্ধিায় এ বাক্য উচ্চারণ করতে পারি-“পাথরের চেয়েও কঠিন হয়ে গেছে আমাদের হৃদয়..! মরে গেছে মানবতা!!”

 

আর কত চলবে এ গনহত্যা!?? কত সহ্য করবে এ নির্মম দৃশ্য আমাদের চক্ষু?! এখনো কি সময় আসেনি ইহুদিদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার! তলোয়ারের আঘাতে প্রতিআঘাতে শরীর থেকে শির বিচ্ছিন্ন করার?

 

কেমন করে পারছে ওরা মানুষ হয়ে ও মানুষ মারতে।এত শত প্রান কেড়ে নিতে!মানুষ এতটা অমানুষ কি করে হতে পারে! মানুষ যদি অমানুষ হয় তবে তার মূল্য কোথায়!

আচ্ছা! কি অন্যায় করেছিল সেই ফিলিস্তিনবাসী?কি ই বা ক্ষতি করেছিল সে অবুঝ শিশুগুলো যাদের দুনিয়ার স্বাদ,সৌন্দর্য, ভালো কি মন্দ বুঝে উঠবার আগেই ছাড়তে হচ্ছে দুনিয়া! হারাতে হচ্ছে কারো হাত কারো বা পা।বরণ করে নিতে হচ্ছে পন্ঙুত্ব।কি দোষের দ্বায়ে দোষী ওরা!?

ওরা মুসলিম! মুসলিম পরিবারে জন্ম নেয়া মুসলমানের সন্তান, স্বাধীনতাকামী,স্বাধীনভাবে বাচঁতে চায় এই কী তবে তাদের অন্যায়!?!

ফিলিস্তিনি!ওরাও তো আমাদেরই ন্যায় মানুষ!তারাও তো চায় স্বাধীনভাবে বাচঁতে।একখন্ড সুখের আশায় ওরাও তো বুক বেঁধে বসে।হে পাপিষ্ঠ কাফেরদল!আর কত ভাঙ্গবে তাদের সেই ইচ্ছে আশাভরা বুক! আর কত দিবে কষ্ট!কাদাঁবে আর কত শত বার!!

তবে জেনে রাখিস! কাদঁবি!তোরাও একদিন কাদঁবি।মুসলিমদের পায়ের নিচে পিষে মারা পরবি হে কাফেরদল।।

মনে রাখিস!

“ধ্বংস হবি- ই তোরা একদিন

ভুলিসনা সে দিন অতিনিকটেই,

মুছে যাবে তোদের চিহ্ন

দুনিয়া থেকে নিমিষেই।

 

মুসলিমদের দূর্বল ভাবিসনা

ওরে শোন!পাপীষ্ঠেরদল

একে একে মোরা নিবো মুসলিম

সকল কর্মের প্রতিশোধ।

 

মুসলমানদের পায়ের নিচে পিষে

মারা পরবি হে কাফেরদল!

জয় হবেই মুসলমানের

শুনে নেয় ওরে ইহুদিশয়তান!”

 

হে প্রিয় ফিলিস্তিনি ভাই বোনেরা!ভয় পেয়ো না।আমরা আছি,আমরন থাকবো তোমাদের পাশে।হার মেনো না,দমে যেয়ো না!জয় হবে আমাদের ই।মুসলিমদের বিজয় সুনিশ্চিত! হয়তো আজ দুনিয়ার বুকে হেরে গেলে ও কাল কেয়ামতের ময়দানে জিত হবে মুসলিমের ই।আখেরাতের জিত সফলতাই তো সবচেয়ে বড় সফলতা!!

 

পরিশেষে সকল বিশ্ববাসীর উদ্দেশ্য করুনার স্বরে দু’হাতে মিনতি করে শুধু এটুকুই বলতে চাই -হে সমস্ত মুসলিম বিশ্ব! চক্ষু মেলো!এখনো সময় আছে জাগ্রত হও!করুনার দৃষ্টি বুলাও,দয়া-দানের হাত বাড়িয়ে দাও। থেকোনা আর চুপসে বসে,দাঁড়াও মুসলিম মুসলিমের পাশে।ওহে মুসলিম ভাই বোনেরা!আমাদের সম্পর্ক তো আত্মার সম্পর্ক সে সম্পর্কের হৃদয়ের টানেও হলেও তো তাদের পাশে ছুটে যাওয়া আমাদের আত্মার দাবী!!

 

শুনো ওহে মুসলিম! এ যুদ্ধ গাঁজার একার নয়!এ যুদ্ধ আমাদের ও টানে!!সামিল হও, হাতে হাত রেখে সকলে একএে যুদ্ধে ঝাঁপাও।রক্তচোষা ইহুদিদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়ে মুসলিম বিজয়ের ঝান্ডা উড়াও।ইটের জবাব পাথর ছুড়ে দাও!শত্রুর সঙ্গে আর কোনো ছাড় আপোশ নয়!!

 

ওহে মুমিন মুসলিমরা জাগ্রত হও!

 

নয়!নয়!নিরবতা আর নয়!

প্রতিবাদ,প্রতিশোধ,গর্জে উঠার এখনই সময়!!!

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park