লেখক পরিচিতিঃ
মোঃ আজহারুল ইসলাম অপু্র লালমনিরহাট জেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের পূর্বকালমাটি গ্রামের একজন উদীয়মান লেখক এবং এইচএসসি পর্যায়ের ছাত্র। ২০০৭ সালের ৩ মে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবার নাম মোঃ মনছুর আলী এবং মায়ের নাম মোছাঃ আমিনা বেগম। অপুর্ব মূলত অনুগল্প, কবিতা, ছড়া, গল্প ও উপন্যাস লেখায় আগ্রহী। তার লেখালেখির যাত্রা শুরু হয় প্রিয়তমা সুমাইয়া আক্তার সাফা এর অনুপ্রেরণায়। তার লেখায় সৃজনশীলতার ছোঁয়া ও আবেগের গভীরতা প্রতিফলিত হয়, যা পাঠকের মনে গভীর প্রভাব ফেলে।
১ নম্বারঃ
শিরনাম– ভোরের শীত
ভোরের ঐ শীতের মত,
কুয়াশায় ঢেকে যায়।
তোমার প্রেমের উষ্ণতায়,
হারিয়ে যায় অস্পষ্ট ভাঁজে।
যেমন শীতল ঐ কুয়াশায়,
ভোরের রঙ গুলো মুছে ফেলছে।
তেমনি তোমার প্রেমের আশায়,
মনের আলোর ছোঁয়ায় হানে।
ঐ ভোরের তুষার যেমন করে,
দেয় রিদয়কে করে তুলে ঠান্ডা।
তেমন করে ঐ তোমার ভালোবাসার অভাবে,
জীবন হয়ে উঠে হিমশীতল।
যেমন ঐ শীতের প্রভাতে হারিয়ে যায়,
প্রেমের উষ্ণতা মিলে না।
তেমন ভাবে কেঁদে,
মন হয়ে যায় বিমূর্ত ক্ষন।
২ নম্বার কবিতা
শিরনাম–যৌতুকের যন্ত্রণা
বধূর বুকে জমা আশা,
যৌতুকের দাবিতে ভেঙে গেল।
প্রেমের বাঁধন ছিন্ন হলো,
বেদনার সুরে মনটা খেল।
স্বপ্নের ঘর নষ্ট হলো,
যৌতুকের দাবিতে আঁধার ঘিরে।
বধূর চোখে অশ্রু ঝরে,
কথার ফুলে বিষ ঢেলে।
মাতার মুখে বিষাদ খেলে,
যৌতুকের দাবিতে হৃদয় ভাঙে।
স্বপ্নেরা মরে চোখের জলেতে,
জীবনের গাথা অনাদৃত রবে।
৩ য় নম্বার
শিরনাম– নদীর তটে
নদীর তটে বসে আমি,
স্বপ্ন দেখি ভেসে যাওয়ার।
মৃদু ঢেউয়ে মনটা ভেসে,
দূর দিগন্তে মেশে গিয়ে।
সূর্যের আলো ছড়ায় পথে,
জলের মাঝে হাসে।
প্রকৃতির এই মধুর রূপ,
হৃদয়ে সুর বাঁধে।
নদীর তীরে হাঁটি আমি,
শীতল জলে ছোঁয়ায়।
মনের মাঝে উতল হাওয়া,
স্মৃতির পথে বয়।
নদীর কুলে ফুলের বাগান,
রঙিন রূপের ছায়ায়।
প্রকৃতির এই স্নিগ্ধ মেলায়,
মনটা ভরে যায়।
জলের ছোঁয়ায় হৃদয় ভরে,
শান্তির গান গায়।
নদীর মাঝে হারিয়ে যাই,
স্বপ্নের পানে চায়।
প্রকৃতির এই মধুর বেলা,
মনকে করে দোলা।
নদীর তটে বসে থাকি,
হৃদয়ে রাখি বোঝা।
৪ র্থ নম্বার
শিরনাম– আমি বীর
আমি বীর,
দেবদেবীর গুণগানে গাই।
মহাদেবের তাণ্ডবে অন্যায় ভেঙে দেই,
কালীদেবীর তাণ্ডবে সাগরের গভীরে।
অন্যায় শোষণের স্রোত ভাঙে,
প্রেমের দীপ্তি মেলে।
নন্দনের পাহাড়ে অগ্নিসংযোগের বজ্র,
অত্যাচারের বিরুদ্ধে বীরের লড়াইয়ের সুর বজায় রাখি।
ইন্দ্রদেবের বজ্রপাত শোষণের সিংহাসন,
মহাকাশে ফ্রেরেস্তার গর্জনে, সত্যের বাণী শোনায় অনন্ত।
পর্বতের শীর্ষে, গর্জনের তীব্রতা,
বীরের সাহসের ইতিহাস অম্লান হয়ে যায় তপ্ততা।
মহাকালীর রাত্রি কষ্টের আঁধারে,
প্রেমের দীপ্তি উজ্জ্বল বীরের শক্তি প্রকাশে।
আকাশের গ্রহ-নক্ষত্রে যুদ্ধের প্রমাণ,
পাহাড়ের চূড়ায় তীব্র অগ্নি ইতিহাসের দৃঢ় প্রদর্শন।
ইসরাফিলের ধ্বনি সত্যের পথে সঙ্গী,
বিধাতার কৃপায় বীরের সোনালী পথ যাত্রা।
দেবদেবীর সুরে আজরাইলের বাণী,
অবিচারের তলদেশে প্রেমের মাধুরী শোনায়।
প্রেম ও কষ্টের যাত্রা ইতিহাসে বীর,
সত্যের দীপ্তি ও সাহস চিরকাল অম্লান রূপে বিদ্যমান।
বিধাতার কৃপায় সৃষ্টির ইতিহাস গড়া,
বীরের সাহস ও শক্তি ইতিহাসে চিরকালীন সুরাহা।
মহাকাশের সুরে প্রেমের দীপ্তি ছড়ায়,
বীরের পদচিহ্ন ইতিহাসে অম্লান ও আলোয় জ্বলায়।
৫ম নম্বার
শিরনাম– বীরের আত্মত্যাগ
আবু সাইদ, তোমার আত্মত্যাগের গাথা,
কোটা আন্দোলনে তৈরি করেছিলে দুঃখের শাখা।
মর্যাদার জন্য জীবন দিয়েছো তুমি,
বীরত্বের পথে অমর করে গেছো নাম।
রাস্তায় রক্ত ঝরিয়ে যেভাবে হাহাকার,
তোমার স্বপ্নে মুখরিত হয় সবার আশার।
একটি জাতির পক্ষে তুমি ছিলে প্রেরণা,
মৃত্যু তোমার অমর সাথী, বীরের প্রাণবৃক্ষ।
তোমার নামের গল্প রবে চিরকাল,
অধিকার চাওয়ার পাখি উঠবে উড়াল।
তোমার আত্মদান থাকবে চিরসবুজ,
স্বাধীনতার পথে তোমার গাথা ধ্রুব অমল।