1. admin@ichchashakti.com : admin :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

কবি- এসকে এম হেলাল উদ্দিন -এর কবিতা

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৮৭ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

কবি পরিচিতিঃ
এসকে এম হেলাল উদ্দিন
১৯৮৩ সালের ১ লা অক্টোবর আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলাধীন ৫ নং চককীর্তি ইউনিয়নের রানীবাড়ী গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কবি স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত একজন সরকারি কর্মচারী। স্কুল জীবন থেকেই গল্প, কবিতা,গান লেখালেখি করেন। লেখালেখির পাশাপাশি আবৃত্তিও করেন।  এছাড়াও কবি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত। তিনি ” চাঁপাইনবাবগঞ্জ লেখক পরিবার ” অনলাইন সাহিত্য সংগঠনের এডমিন ও প্রধান নির্বাহী। তিনি ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের একজন সক্রিয় সদস্য। ইচ্ছাশক্তি আইডি নং- ০০২০২২০৮০৩

০১
এপিঠ ওপিঠ

কিসের এত বড়াই তোমার, কিসের অহংকার !
নিমিষেই সব হতে পারে শেষ,ভেবে দেখো একবার।
কতই না রাজা হয়েছে নিঃস্ব ভাগ্যের পরিহাসে
অন্তিম সময় কেউ থাকেনি একটুখানি পাশে।
কেউবা আবার ফুটপাত থেকে গেছে সিংহাসনে
জিরো থেকে হয়েছে হিরো,আপন কর্ম গুণে।
বড়াই করার নেই তো কিছু, মনে রেখো সবে
কৃতজ্ঞতাবোধ থাকে যদি,প্রতিদান পাবে কিছু তবে।
এই তো সেদিন গেছিলে তুমি যার দ্বারে..
সেই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে, তোমার বাড়ির ধারে।
হতে তো পারে উল্টো হিসেব, সময় বলে কথা
ঘুরাচ্ছো যারে, তার দুয়ারে নুয়াতে হবে মাথা।
ভেবো না কখনো, কি হনু মুই..!
কে রে ?  ঐ কে তুই..?
রাত শেষে দিন যেমন আসে, দিন শেষ আসে রাত
তোমার কর্মেই একদিন তুমি হতে পারো কুপোকাত।
সময় থাকতে হয়ে যাও ভালো, আপন সত্বা গুণে
তোমার কথা আমজনতা, রাখবে আজীবন মনে।
কর্ম গুণে হয়েছে কেউ, ধন্য সবার কাছে
কর্মে দোষে কেউ আবার ছিটকে পড়েছে পিছে।
যুদ্ধ জয়ে লাগে যেমন অস্ত্র, প্রবল মনের বল
পরাজিত হতে লাগে না সময়, থাকে যদি মির্জাফরী ছল।
বড়াইকারী রাজার রাজ্য গেছে রসাতল
দ্বারেদ্বারে ঘুরেছে কত, হাতে নিয়ে থাল।
সময় থাকতে হও হুঁশিয়ার, হয়ে যাও সাবধান
শুধু অর্থের মোহে বিভোর থাকলে, যাবে মান সম্মান।
দিয়ে দাও সব বুঝিয়ে এখনি, যার আছে যা পাওনা
সময় গেলে পস্তাতে হবে,ভবে আর সাধন মিলবে না ।

০২
মানবতার তরে

চলো যায় এগিয়ে মানবের তরে
নয় দিতে ভিক্ষার অন্ন,
ব্যথিত হয়ে হৃদয়ের টানে
নাহি থাকি চেয়ে কারো আসার জন্য।

কত শত ধনাঢ্যের খাবার জমছে ডাস্টবিনের আবর্জনায়
হচ্ছে পশু-পাখি আর কুকুরের অন্ন,
মানব হয়ে জন্মেছি ভবমাঝে..
এসো ভাই করি কিছু মানবতার জন্য।

মানবের মাঝে নাহি করি ধর্ম বর্ণ
ধনী গরীবের ভেদাভেদ,
ভুলে আজ সকল জাত-কুল প্রভেদ
এসো ভাই সকলে মিলে বিভেদ করি উচ্ছেদ।

না দেখি যেন অসহায়ের বিভীষিকাময় চিত্র
কোন কান্না আর আহাজারি,
যেন আর না দেখি লাশের কোন সারি
এসো মানবের তরে রাখি হাত জোড়াজুড়ি।

যারা আজ নির্ঘুম, কষ্টে আছে অনাহারে
সমব্যথী হৃদয়ে এগিয়ে যায় তবে আজ,
এটাই তো ধর্ম মানবতার
মানবের তরে নেই এর চেয়ে বড় কোন কাজ।

০৩
দেখে যেও শেষ বিকেলে

অনেক দিন হয় তোমাকে দেখি না
কোন কথাবার্তাও নেই বহুকাল
কেমন আছো, কোথায় আছো.. কিছুই জানি না
স্বপ্নেও দেখি না এখন আর।
তবে খুব ইচ্ছে হয় তোমাকে দেখবার…
খুব খুব ইচ্ছে হয় তোমার সাথে দু’টো কথা বলতে,
জানি না তোমার এমনটি হয় কিনা..
ইদানীং একটু বেশিই মনে পড়ে তোমাকে।
শুনেছিলাম ক’বছর আগে..
তুমি নাকি এই শহরে আর থাকো না,
আমার জীবন থেকে গেছো তো গেছো…
এই শহর ছেড়েও চলে গেছো !
আমার অপরাধ টা কী ছিল, সেটাও অজানা
মাঝে মাঝে মনে হয়, বড্ড বেশিই ভুল করেছিলাম
ভুল করেছিলাম ভালোবেসে তোমাকে..
একটা নষ্ট হৃদয়ে নিজেকে ডুবিয়েছিলাম, কিছু না বুঝেই।
জানি না আমার মত করে আর ক’টা হৃদয় ভেঙেছো..
অনুরোধ.. আমার মত করে আর কোন হৃদয় ভেঙো না,
কারণ.. ভঙ্গ হৃদয়ের খুব কষ্ট,
তুমি হয়তো বুঝবে না, তবে কারো কষ্টের কারণ হইওনা আর।
আরেকটি অনুরোধ.. খুব করে মন চাই তোমাকে দেখতে
বেশিকিছু চাইবো না নতুন করে,
আমার শত সহস্র আকুতির কথা যদি মনে পড়ে, যদি ফেলে আসা স্মৃতিগুলো হৃদয়ে জাগে কখনো..
দেখে যেও আমায় কোন এক শেষ বিকেলে, আমি গোলাপহীন দাঁড়িয়ে রবো হাজারো স্মৃতি জড়ানো পুকুরপাড়ে।

০৪
স্মৃতি হবো কোন একদিন

এটা নিশ্চিত যে, প্রকৃতির খেয়ালে–
একদিন আমি থাকবনা,
সুন্দর পৃথিবীর মোহ মায়া ছেড়ে চলে যাবো..
অনন্তকালের স্থায়ী ঠিকানায়।
হাজারো স্মৃতি পড়ে রবে ভবের মাঝে, আর আমি
ছবি হয়ে ঝুলবো নিজের গড়া ইট পাথরের দেয়ালে,
স্বজনদের কষ্টের কারন হবো কিছুদিন, তারপর…
আস্তে আস্তে মুছে যাবো সকলের হৃদয়পট থেকে।
মহাপ্রস্থানের সেইদিন স্বজনরা অনুভব করবে আমার অনুপস্থিতি,
ক’টা মাস হয়তো আমার সমাধি ঘিরে দু’ফোটা চোখের জল ফেলবে..তারপর ;
আস্তে আস্তে মুছে যাবে আমার সমাধি চিহ্নটুকুও।
শত কষ্টে গড়া বাড়ী গাড়ী, অঢেল সম্পদ
সব.. সবকিছুই পড়ে থাকবে,
যা বৈধ কিংবা অবৈধ ভাবে গড়ে তুলেছিলাম..
হয়তো সম্পর্কের টানাপোড়েন ঘটবে স্বজনদের মাঝে, আমার অর্জিত সম্পদের ভাগাভাগি নিয়ে।
নির্বাক নিরুপায় আমি হাহাকার করবো, আফসোস করবো কেন গড়েছিলাম অবৈধ সম্পদের পাহাড়?
কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে করতে কেটে যাবে অনন্তকাল।
তখন আর কেউই আমাকে মনে রাখবে না, কখনো যাবেই না আর আমার সমাধি’র পাশে…!!

০৫
একটা সুন্দর সমাজ চাই

সেই রকম একটা সমাজ চাই,
খুব খুব করে চাই সেই রকম একটা সমাজ
যেখানে থাকবে না কোন হানাহানি, খুনাখুনি থাকবে না শোষকদের কালো থাবা, থাকবে না
দুঃখী’র করুণ আর্তনাদ।
বিচারের নামে প্রহসন হবে না, হবে না
ধর্ষিতা কোন মা বোন।
যেখানে মিলেমিশে থাকবে সকলে, শাসক হবে
ন্যায়পরায়ণ আর সমাজ সেবক।
অন্যের দুঃখে ব্যথিত হবে সুখিজন।

ধর্ষিতার তকমা লাগবে না কারো গায়ে,

হানাহানি হবে না ভাইয়ে ভাইয়ে।
যেখানে বিচারপ্রার্থী পাবে তার নায্য বিচার।
মহাজনি আর সুদ ঘুষ নামক শব্দগুলো শুনবে না আগত প্রজন্ম।
দূর্নীতির দর্শন হবে না উপরে ওঠার সিঁড়ি ।
খুব খুব করে এমন একটা সমাজ চাই,
যেখানে জ্ঞানের আলোর মশাল জ্বলবে ঘরে ঘরে..
ভাই হবে ভাইয়ের জান প্রাণ, প্রতিবেশি হবে
আত্মার আপনজন।
যেখানে ছুটবে না কেউ যেকোন উপায়ে সম্পদ লাভের আশায়।
কেড়ে নিবে না কেউ, ঠুনকো কারনে কারো জীবন।
ছিল, আছে কিংবা নাই
তবে এমন একটা সমাজ চাই !
ঠিক আসবে একদিন সেই সময়, যখন নিজের
প্রয়োজনেই গড়ে উঠবে সুন্দর সুশৃঙ্খল একটা সমাজ,
যেখানে মানুষের একমাত্র পরিচয় হবে, মানুষ ।
উঁচু কিংবা নিচু এমন ভেদাভেদ থাকবে না,
সেদিন শান্ত হবে পৃথিবীটা, শান্তির দর্পন হবে আমাদের এই সমাজ।
আমি এমনই একটা শান্তি, সুখের সুন্দর সমাজ চাই।

 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park