1. admin@ichchashakti.com : admin :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

কবি মেহেদী হাসান জাহিদ -এর কবিতা

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৮৯ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

কবি পরিচিতিঃ

কবি মেহেদী হাসান জাহিদ ২০০২ সালে ২৬ শে মার্চ কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার ধনপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নামঃ- মোঃ হারিছ এবং মাতার নাম ঃ- মোসাঃ হাসিনা আক্তার। পরিবারের তিন সন্তানের মধ্যে কবি বড়। পিতার স্বপ্ন ছেলে অনেক বড় হবে। পিতার স্বপ্নকে বাস্তবায়নে কবি মেহেদী হাসান জাহিদ লেখাপড়ার পাশাপাশি হাতে তুলে  নিয়েছে কলম। তার সহজ সরল লেখায় উঠে আসছে সমাজের নানা শ্রেণির মানুষের কথা। কবি মেহেদী হাসান জাহিদ অনুপ্রেরণাতে লেখা লেখি জীবন শুরু হয়। একের পর এক  গল্প,  কবিতা লিখে বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপে পোষ্ট করে খুব অল্প সময়েই বেশ পরিচিত এবং সন্মাননা সনদ লাভ করে ফেলেন। এছাড়াও তার লেখা কবিতা ও গল্প বিভিন্ন সাহিত্য পএিকা প্রকাশ পেয়েছে । কবি লেখা লেখি পাশাপাশি আবৃত্তি করেন। লেখা লেখি শুরু ২০২০ সাল থেকে। একক কাব্যগন্হ – মৃত ফুলের সুবাস ও স্বপন সিঁড়ি এবং যৌথ কাব্য কাব্যগন্হ -প্রেমময় কাব্য ও শ্রাবণের রোদ্দুর, বিজয়ের উল্লাস ইত্যাদি। । তিনি বই পড়তে অনেক ভালোবাসেন। এবং বইয়ের মাঝে তিনি শান্তি খুঁজেন।  কবি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী। তিনি ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের একজন সক্রিয় সদস্য। ইচ্ছাশক্তি আইডি নং- ০০২০২২০৩৫৩

 

০১

শেষ বিদায় 

 

শেষ বিদায়ের বলা স্বজনরা আসছে একেক করে,

শূন্য দেহ নিস্তব্ধ হয়ে আছে মাটিতে পড়ে।

কেউবা আবার দূর থেকে আসছে ছুটে আমায় দেখার লাগি,

বিদায় বেলা হবে না কেউ আমার সাথে যাওয়ার সঙ্গী।

 

চার দিকে শুনা যাচ্ছে কান্নার সুর,

বিদায় লগ্নে ঘনিয়ে আসছে পৃথিবীর

মায়ার বাঁধন ছেড়ে চলে যেতে হবে অনেক দূর।

 

আজ এই দেহের নেই একফোঁটা দাম,

সবার মুখে শুনা যাচ্ছে শেষ বারের মত

আমার একটু একটু সুনাম।

 

এটাই হয়তো পৃথিবী থেকে বিদায় বেলা উপহার

অবশেষে সবার মোনাজাতে থাকবে আমার নাম,

যাতে পরপারে থাকি ভালো,আসা হবে এই পৃথিবীতে আর।

 

০২

অসমাপ্ত গল্প 

 

তোমার জন্য প্রতি নিয়ত জমা হচ্ছে অনেক অনেক কথা?

মনের ডাইরি খুলে লিখতে বসলে ভিজে যায় সেই ডাইরির অশ্রুকে পুরো পাতা।

 

তুমি আমার জীবনে হয়ে আছো অসমাপ্ত গল্প মত,

তাই তো এই হৃদয় হয়ে আছে তোমাকে না পেয়ে আহত!

 

তুমি হীনা আমার প্রতিটা সময় কাটছে বিষন্নতার সাথে,

রোজ তো ভাবি তোমার কথা নীরব মনে,

সাথে “ডাইরি” আর “কলম”হাতে!

 

ডাইরি এবং কলম হয়ে আছে আমার ভাবনার একমাত্র সাক্ষী,

তুমি হীনা আমার প্রতিটা সময় কাটছে কেমন সেই ডাইরির অশ্রু ভেজা পাতায় লিখে রাখি.!

 

০৩

দুঃখ আমি পুষি

 

আমি এখন দুঃখকে নিজের করে পুষি,

দুঃখের সাথে বাকি জীবন টা কাটাতে চাই হাসিখুশি।

 

এই জীবনের সুখ টা সংযুক্ত হয়ে গেছে স্থার্থ পরের মত,

আমার এক প্রহর সুখ কাটলেও দুঃখ গুলো সাথে থাকছে নিয়মিত।

 

তাই তো দুঃখ গুলোকে রাখছি যত্ন করে মনে এক কুনে,

যেন থাকে তারা আমার সাথে জীবনও মরণে!

 

সত্যি আমি আজ খুবই হাতাশ,

দুঃখ ভরা মন নিয়ে মাঝে মাঝে

দেখি চিরচেনা আকাশ।

 

ধীরে ধীরে আকাশ দেখা হয়ে যাচ্ছে আমার নেশা,

কারণ কেন জানি আকাশে দিকে যখন চোখ তাকাই চলে যায় মন থাকা সকল হতাশা!

 

০৪

স্মৃতি গুলো চমৎকার 

 

সময়ের ভীড়ে আছে অনেক স্মৃতি,

সময়ে সাথে করা যায় না একটু খানি চুক্তি!

 

আবার কি পাওয়া যাবে নিজের করে সেই স্মৃতি গুলি,

নাকি চিরকাল এভাবে থেকে হয়ে মুখের ভুলি।

 

কিছু কিছু স্মৃতি থাকে খুবই চমৎকার,

ভাবনা জগতে বসলে চোখ থেকে ঝরতে

থাকে অশ্রু মনের গহীন থেকে আসে চিৎকার,

কেন জানি নিজেকে  লাগে খুব একাকার।

 

সময়ের সাথে সাথে কিছু কিছু চেনা

মুখ যাচ্ছে না আর দেখা,

কোথায় গেলে পাবো আমি এই জীবনের

আসল উদ্দেশ্য ও মূল ব্যাখা!

 

দিন শেষে মনে হচ্ছে বৃক্ষের পাতার মত এই জীবন টা যাচ্ছে শুকিয়ে,

আমার আমি টাকে ধীরে ধীরে “সময়” নিচ্ছে  লুকিয়ে।

 

অথচ আমার সেই বিষয় নিয়ে উদাসীন,

সময়ে সাথে সাথে এই জীবন টা হয় একেক রঙে রঙিন!

 

০৫

আমার মৃত্যু 

 

আমার মৃত্যুতে তোমরা কেউ হইনা হতাশ,

কইরো না তোমরা কোনো প্রকারের দুঃখ প্রকাশ।

 

কি লাভ বলো এই দুঃখ প্রকাশ করে,

কিছু ক্ষণ পরে তো দিবে বিদায় চিরতরে,

থাকতে হবে ছোট একটা মাটি ঘরে,

জনম জনম ধরে।

 

বরণ তোমরা রবের কাছে চাও আমার জন্য

একটু খানি ক্ষমা,

বেদনার অশ্রু গুলো ছাড়ে দেও মোনাজাতে মনে

যত আছে জমা।

 

হয়তো সেখান থেকে পেতে পারি একটু খানি আসান,

তোমার চোখের অশ্রু গুলো তখন দিবে জাহান্নাম

থেকে বের হওয়ার মুক্তির সন্ধান।

 

এই পৃথিবীতে নেই কোনো আমার জান্নাতের যাওয়ার নেই কোনো তেমন ফল,

তোমাদের মোনাজাতে ফেলা অশ্রু গুলো তখন হবে একমাত্র জান্নাতে যাওয়ার মনোবল।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park