1. admin@ichchashakti.com : admin :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

কবি- মোঃ রুবেল হোসাইনী’র কবিতা

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১১৯ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

 কবি পরিচিতিঃ

মোঃ রুবেল হোসাইনী পিতা: মোঃ ইছব আলী, মাতা মোছা: আনোয়ারা খাতুন, জন্ম: ০২/০১/২০০০ ইং। তিনি বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের অন্তর্গত হবিগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী আদর্শ রিচি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মোবাইল নং- ০১৭৪৩-৪৫৩৪৪৮।

তিনি ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের একজন সক্রিয় সদস্য। ইচ্ছাশক্তি আইডি নং- ০০২০২২০৭২৪।

 

০১

মুহাম্মদ ইয়া রাসূল 

 

স্রষ্টার সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ তুমি, নাম যে হয় আহমদ!

সর্ব সৃষ্টি তোমার তরে, তুৃমি যে রবের রহমত।

তুমি যে রবের অতি প্রিয় হাবিবে আহমদ!

মক্কার বুকে জন্মিলে তুমি জগৎ তে মুহাম্মদ।

 

তুৃৃমি জগৎ ও রবি,সত্যের বাহক,রবের প্রিয়তম,

আল আমিন তুমি বিশ্ব জাহানে বিশ্বাসের আলো।

নবীদের ও নবী তুমি, সকল নবীদেরই ইমাম,

বিশ্বজাহান জানায় তোমায় দূরূদ অ সালাম।

 

তুমি রব হতে ধরায় এসেছো প্রেরিত রহমত,

দূর করে দিয়াছো যত জাহেলীযুগের আলামত।

উম্মতে করিতে বলিলে যত নৈতিক ইতিবাচক,

আখলাক চরিত্রবান হও ওহে আমার যত উম্মত।

তুমি চাওনি কবু ধন,দৌলত আভিজাত্য কি মান,

মহান রবের থেকে পেয়েছো জগতে চির-সম্মান।

তুমি শোনাও কুরআনেরবাণী,দাও ইমানের ডাক,

কাফের,বেইমান মারিলেও তুমি দাওনি অভিশাপ।

তোমার আখলাকে মুগ্ধ হয় যত নাস্তিক,মুর্দাদ,

জবানে শুধু তাওহিদী কালিমা রবেরই যত হামদ্।

জগতের অন্ধকার করিতে দূর করিলে কত কষ্ট,

তাই তোমারই শান ও মানে আজও জগতবাসী তুষ্ট ।

তুমি মোদের ইমানী নেতা,জগতের শিক্ষক,

তোমার আগমনে খুশি হয়ে ছিল জগৎ সর্বস্তর।

মরুর বুকে ফুটিয়াছিলে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মহা ফুল,

তাইতু ধরাতে আজও অক্ষত মুহাম্মদ ইয়া রাসূল।

 

০২

শৈশব 

 

দিনশেষে বিষন্নতায় কল্পনা তে একা ,

স্মৃতির পরশে শৈশব কেন মনে দেয় মোর দেখা?

সেই শৈশবের স্মৃতি গুলো কল্পনাতে আকাঁ,

কেমন করে ফিরে যাই বলো শৈশব ছোট্ট বেলা!

 

দিনশেষে স্মৃতির কুটিরে শৈশব মারে  উঁকি,

মন ছুঁয়ে যায় মনের পরশে আমি ছোট্ট খোকী।

কল্পনা তে খেলি কত যদু, মধুর, খেলা,

আপন মনে ফিরে যাই শৈশব ছোট্ট বেলা!

 

শৈশব যে মোর ডুবে গেলো সময়ের স্রোতে ,

চাইলেই কি আর ফিরা যায় শৈশবের ভূত হয়ে।

ঘাস ফড়িং এর পিছনে কি ফিরবে ছুটবার দিন,

কানামাছি খেলবো  কি আর, জোসনা রাতেরদিন!

 

আনন্দিত শৈশব,কৈশোর স্মৃতির পাতায় আকাঁ,

হাসি-খুশি, দুষ্টমীতে মহা আনন্দে থাকা।

এখন হঠাৎ কোথায় গেলো আমার শৈশব খেলা,

কল্পনাতেই ভাবি শুধু  শৈশব  ছোট্ট বেলা।

 

কল্পনাতে হই আমি শৈশবের খোকা রাজা,

সবাই মোরে করে আদর হয়ে যেন প্রজা।

শৈশব রাজা রাগ করিলে রাজ্য বিষম ঢেউ,

কল্পনা টা হঠাৎ আমার ভাঙ্গিয়ে গেলো কেউ।

 

০৩

মনের প্রশ্ন 

 

ইহ রূপসীর মায়ায় পরে, ক্ষণস্থায়ী এই ধরাতে,

প্রতিনিয়ত মানুষ কিসের তরে,নিত্য নতুন স্বপ্ন বুনে?

হার জেনেও বিশ্বাস করে চলছো তুমি দিবা রাতে,

কিসের আশায় মানুষ তুমি করছো জীবনযুদ্ধ?

 

পাপ যেনেও করছি সদা পাপে কর্ম ঘাঁটি ভরা,

হারাম টা কে হালাল কেন মনে করে সদা?

আইন বলো আর বিচার বলো দূর্নীতির শিকা,

সদা মানুষ ঘুরছে পিছু গড়বে অট্টালিকা!

 

এই দুনিয়ার মোহ-মায়ায় রইলি পরে কি সে ?

চৌদ্দ সিঁড়ি গেছে তলে, চিনিস কতজন কে ?

এই ধামেতে একদিন তুমি পরবে গণনায় চৌদ্দসিঁড়ি!

কে চিনিবে তরে?  কার জন্য অট্টালিকা,কে খুঁজিবে তরে ?

 

আমি তুমি সবাই মানি মরণ হবে একদিন জানি,

তারপরেও কেন মনে ভয় আসে না বলো?

মনের কাছে প্রশ্ন করো, মন কি শুদ্ধ হলো?

অন্তর ক্বলব মরে গেলে খুঁজলে কি আর পাবে।

 

সময় গেলো আয়ূ ফুরোলো ভাববে বেলা গেলে,

মরণ তোমার পিছু আছে বাঁচিবে কি বলে?

নারী-বাড়ী,জমিদারি সবই ছিলো পূর্বসরীকে ই বা কি রইলো ?

মরার আগে জিন্দা মরা কয়জন মরে বলো?

মরা ক্বলব জিন্দা করতে চাবি লাগে দমের ঘরে,

মনের ঘরে বিবেক তালা,তার চাবি খোঁজে আন!

সেই চাবি তে খুললে তালা, দম ফিরিয়ে টান।

 

০৪

সুস্বাগতম   বৈশাখ 

 

প্রভাতে সূর্য্য উঠিলে মিষ্টি হাওয়া গায়,

সুরের পাখি নব সুরে প্রিয় গান গায়।

বছর ঘুরে ফিরে এলো দেখো নববর্ষ মোদের,

পহেলা বৈশাখ তুমায় স্বাগতম মোর স্বদেশের।

 

মুগ্ধ হাওয়ায় আবাস এলো, বাংলা ঋতু সাজে,

অতিত ভুলে আবর্জনা যাক সব যাক মুছে।

নয়ন মেলে পিছে দেখো বসন্ত নাহি রহে!

আম কাঁঠালের মিষ্টি স্বাদে গ্রাণ আসে মোর নাকে।

নব ঋতু বছর ঘুরে আসছে আবার তটে,

পহেলা বৈশাখ জানাই তোমায় সুস্বাগত বটে।

 

মাঠ ফাটা রোদ,শুকনা নদী,ফুলফলহীন চৈত্র ,

যাক ধুয়ে যাক, সব মুছে যাক ক্লান্তি যত্রতত্র ।

চৈত্র পরে বৈশাখ আসে উল্লাসেতে মেতে,

চৌচিরে তে মৃত সবই,বৈশাখে তে সাজে।

রূপ স-রূপে ফিরে আসো ওহে বাংলা বৈশাখ,

চৈত্র র আঁধার দূর হয়ে যাক, ওহে পহেলা বৈশাখ!

 

শান্ত হাওয়া লাগছে দেখো মৃত প্রাণের হৃদে,

সুরে বাউল গান ধরেছে রমনা বট মূলে।

নদীর পানি ছিলো চৌচির, শুকিয়ে ছিলো ফাটা,

বৈশাখ তুমি ভিজিয়ে দিবে, এইতু মোদের আশা!

বাংলা প্রাণের জোয়ার তুমি, যৌবন না হয় ভাঁটা,

বৈশাখ তুমি ফিরে এসো চৈত্র’র হয়ে কাটা।

 

সম্রাট আকবর চালু করে ‘ফসলি সন’ বাংলা,

‘বঙ্গাব্দ’ তুমি কালক্রমেতে বর্ষবরণের রাজা।

বৈশাখ তুমি প্রথম ঋতু, সোনার হাসি হেঁসো,

সুস্বাগতম তোমার তরে বারবার ফিরে এসো।

 

০৫

স্বাধীনতা তুমি ২৬ শে মার্চ

 

আহা! স্বাধীনতা তুমি ২৬ শে মার্চ,

রক্ত স্রোতের ধারায়,

স্বাধীনতা তুমি এনে দিলে,

বাঙ্গালীর বাংলায়।

 

তাজা প্রাণের বিনিময়ে

আহা! পেলাম স্বাধীনতা,

২৬ শে মার্চ ভুলি কি আর,

লাখো শহীদদের কথা।

 

আহা! স্বাধীনতা তুমি এলে ঠিকই

রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মেতে, তাজা রক্ত ক্ষয়ে,

কত যে প্রাণ নিলে কেড়ে,মায়ের ইজ্জতে হাত দিয়ে।

 

তাই তু মোরা ২৬ শে মার্চ স্মৃতিসৌধে গিয়া

শ্রদ্ধার সাথে করি স্বরণ পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে।

বাংলার বীর শহীদদের  শ্রদ্ধায় স্বরণ রেখে,

সারা বাংলার সোনার মানুষ স্বাধীনতা দিবস পালন করে।

 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park