এস.এম জাহাঙ্গীর আলম, দিনাজপুর, চিরিরবন্দর প্রতিনিধি,
হিন্দু ছেলের প্রেমের প্রস্তাবে, মুসলিম মেয়ে রাজি না হওয়ায় ধর্ষণ করে হত্যাচেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে।
দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার ১নং নশরতপুর ইউনিয়নের, বশির মেম্বার পাড়ার মাহফুজা আক্তার (১৫) নামের মুসলিম বোনকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়, একই পাড়ার হিন্দু ধর্মের, মৃত নির্মল পালের পুত্র রুকন পাল ওরফে(কালু) ৩৫।কালু ব্যাক্তিজীবনে বিবাহিত। মুসলিম বোন মাহফুজা আক্তার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রুকন পাল ওরফে (কালু) বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখায় এবং মুসলিম মেয়ে মাহফুজা আক্তারের মাকে হত্যার হুমকি দেখিয়ে জোর পূর্বক শারীরিক নির্যাতন করে রুকন পাল ।
কয়েক দফায় শারীরিক যৌন নির্যাতনের স্বীকার হয়ে, গত ১৪ই ডিসেম্বর ২০২৪ ইং থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করায় গত ৭ই জানুয়ারি ২০২৫ ইং সেই ধর্ষণ মামলার জের ধরে প্রতিশোধ প্রবণ হয়ে বাড়ির চতুর দিকে খড় দিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে পুরো মুসলিম পরিবারকে পুরিয়ে মারার হত্যাচেষ্টা করে মানুষরুপী পশু রুকন পাল ওরফে (কালু)।
স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ব্যাক্তিগত ভাবে ফায়দা হাসিলের চেস্টা করছে বলে গোপনসূত্রে জানা যায়।ঘটনাটি হিন্দু মুসলিম দাঙ্গার সূত্রপাতের রূপ দিতে কাজ করছে বিগত আওয়ামী স্বৈরসরকারের সমর্থনকারী একদল কুচক্রী মহল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি গোপন সূত্রে জানায়,উপজেলা পুলিশের বর্তমান অফিসার ইনসার্চ এর অপকৌশলের বলি হয়ে হিন্দু পরিবারটির দ্বারা ভিকটিম মেয়ে পরিবারটি প্রতিনিয়তই বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। অর্থনৈতিক ভাবে প্রভাবিত করে, আসামী কালু প্রভাবশালী ব্যাক্তিবর্গের ছত্রছায়ায় নিজেকে এখনো বিচার এর আওতার বাইরে রেখেছে।
এহেন পরিস্থিতিতে ভিকটিম মাহফুজা সহ তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছে।সেই সাথে সুশীল সমাজের প্রশ্ন, এহেন বর্বরোচিত কর্মকান্ড করে আর কতকাল প্রভাবশালীরা পার পাবে।আর কতকাল বিচারের প্রার্থী হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে মাথা ঠুকে মরবে মাহফুজা’রা।এর শেষ কোথায়???