কবি পরিচিতিঃ
কবি খাদিজা আক্তার কুমিল্লা জেলার, চান্দিনা থানার বশিকপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা মোহাম্মদ আবুল হাশেম খন্দকার, পেশায় চাঁদপুর জেলার একটি আলিম মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক। ছোট বেলা থেকেই এই কবির মাদ্রাসায় পরাশোনা । বর্তমানে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা ঢাকা বোর্ডের অধীনে থাকা কুমিল্লার একটি ফাযিল মাদরাসায়, ফাযিল প্রথম বর্ষে অধ্যায়নরত আছেন। ছোট বেলা থেকেই তার কাব্যের প্রতি অধিক আগ্রহ। তিনি ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের একজন সক্রিয় সদস্য। ইচ্ছাশক্তি আইডি নাম্বার- ০০২০২২০৯২১
বাবা এক উজ্জ্বল নক্ষত্র
লুকিয়ে থাকা আকাশ
যেই আকাশের ভালোবাসা
হয়না কভু প্রকাশ।
নিজের যতো সুখ আহ্লাদ
করেনা কিছুই পূরণ
বটবৃক্ষের মতো হয়ে
ছায়া দেয় আমরণ।
রোদে পুরে বৃষ্টিতে ভিজে
ছুটে দূর দূরান্তে
কখনো পায়ে কাটা ফুড়ে
মনের ও অজান্তে।
করেনা প্রকাশ তাই বুঝিনা
বাবার ভালোবাসা
বাবা’রা’ইতো আকাশ হয়ে
দেখায় বাঁচার আশা।
বার বার হেরে যাই
শুধরাবো বলে তাই,
নফস এর কাছে ফের ফিরি
কেনো জানা নাই।
দুনিয়ায় বেড়াজালে
নফসের প্রেমে পড়ে,
রবের যে ভালোবাসা
আমরা জ্বলে ফেলাই।
ইবলিশ দেয় ধোকা
আমিও যে বড় বোকা,
নিজের স্বার্থে আমি
রোজ রোজ লড়ে যাই।
ঠকে যাই প্রতিবার
বুঝে না যে মন আমার,
অনুতপ্ত হয়ে আমি
নিভৃতে কেঁদে যাই।
শোক, দুঃখে পড়লেই স্মরে যাই প্রভুকে,
আনন্দ উল্লাসে মিশে থাকি আমিতে।
এ কেমন ভালোবাসা,
আত্মার ও মিল নাই
ঈমানি শক্তি দাও প্রভু আমায়,
করতে পারি যেনেো আমি
নফসের বিরুদ্ধে লড়াই।
রাত শেষে ভোর হবে ঠিক প্রতিদিন,
সূর্যটা আলো দিয়ে করবে রঙিন।
জল কুমুদী বিলের জলে ফুটবে নিতুই,
খুশবো ছড়িয়ে যাবে বেলি আর জুই।
নিজস্ব স্থানে রবে সেতারা আকাশে,
প্রকৃতি দুল খাবে দক্ষিণা বাতাশে।
প্রিয়জন – পরিজন গহন- ব্যাথায়,
কিছুকাল অশ্রু ফেলে ভুলে যাবে আমায়।
আমিহীন দুনিয়ায় থামবেনা কিছুই,
থেমে যাবো আমি সবি চলবে নিতুই।
বেড়ে উঠা উঠুনের কিছু কিছু স্মৃতি,
আমার লাশের সাথে হয়ে যাবে মাটি।
স্রষ্টার সৃষ্টির এইতো নিয়ম
ছাড়তে হবে বসুধা ও ভুমির চারণ,
আমিহীন দুনিয়ায় থাকবোনা তো আমি,
কেমন হবে ঐ দুনিয়া জানেন অন্তর্যার্মী।
জীবনে চলার পথে পা বাড়িয়ে
অগ্রে ও পশ্চাতে চোখ ফিরিয়ে
রেখে সদা নজর, নিয়ে খোঁজ খবর
নয়নের আড়ালে লুকিয়ে আছে
কত শত মুখোশের আসর।
ভালোর কৃতিত্বে দেখাবে যে রুপ
ব্যার্থতা পরাজয়ে ঠিক উল্টো রুপ,
পিঠে আঘাত করা খঞ্জরের স্বরূপ
দেখিও লুকিয়ে আছে কত শত মুখ।
আসল নকল খুঁজতে দিগ দিগন্তে
মুখোশের আড়ালে অমানিশা রূপ
সময় ফুরিয়ে যায় তাদের চিনতে।
এক সাথে হেঁটে চলে পাশাপাশি
বুঝা যায় না কে বহুরূপী
সঠিক সময়ে নিয়ে মুখোশ উন্মুক্তে
থাকা যায় একলা একান্তে।
প্রীতি-স্নেহের, বিশাল আকাশ থাকে হয়ে ছায়া,
মায়ের মতো কেউ করেনা আমায় এতো মায়া।
মা যে আমার ঘুমের ঘোরে ঊম জড়ানো গা,
আমার জন্যে জান্নাত যে মায়ের ঐ দুটি পা।
দুঃখ, সুখের অনুভূতিগুলো বদলায় প্রতিদিন
মায়ের স্নেহ, মায়া,মমতার শুধ হবেনা ঋণ।
মা আমার প্রথম শিক্ষক প্রথম প্রশিক্ষক
রবের পরে মা’ই আমার দ্বিতীয় রক্ষক।
মা’ই আমার হাসি – কান্না, মা’ই আমার সব
মা কে আমার শ্রেষ্ঠ সম্পদ করে দিলেন রব।
মা যে আমার হৃদয় পটে খুশবো মাখা আতর
মায়ের সঙ্গ না পেলে যে হয়ে যাই আমি কাতর।
মা যে আমার দুঃসপ্নের মাথায় রাখা হাত
মা’ই আমার ছোট্ট পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নেয়ামত।
হাকিছে মুয়াজ্জিন ফজর বেলায়,
করিছে আহবান রেখোনা হেলায়।
আলসেমি দুরে ঠেলে ওজু করে নাও,
সালাত পড়তে তুমি মসজিদে যাও।
দুনিয়াবি যতো কাজ থাক না সে পরে,
আসবে না কোনো কাজে রোজ হাশরে।
পড়লে সালাত হবে তুমি সদা সম্মানি,
নয়তো পাপাচারে হবে যে মানহানী।
সালাত হলো জায়নামাজে
রবের সাথে কথা,
প্রাণঢেলে বলা যায়
যত দুঃখ -ব্যাথা।
ভেবেছো কি এক এক করে
চলে যাচ্ছে দিন রাত,
এভাবেইতো ফুরিয়ে যায়
আমাদের জীবনের হায়াত।
দুরে ঠেলে দিয়ে উঠো মুসলিম
নীশি প্রভাতের ঘুম,
ঐ শোনা যায় আযানের ধ্বনি
আস সালাতু খাইরুম মিনান্নাওম।