কবি পরিচিতঃ
মুহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, জন্মঃ ০১/০৯/১৯৭৮ ইং সালে ঐতিহাসিক মহাস্থান গড়ের সরকারপারা গ্রামের সম্ভ্রান্ত মৌলভী মরহুম বদিউজ্জামান আকন্দের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন, মায়ের নাম মোসাম্মাৎ ডালিমননেছা।ছয়বোন ও দু’ভাইয়ের মধ্য তিনি সর্বকনিষ্ঠ। শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ দাখিল বিঃ প্রথম বিভাগ,আলিম বিঃ প্রথম বিভাগ নিয়ে, সরকারি মুস্তাফাবিয়া আলিয়া মাদরাসা বগুড়া থেকে সনামের সাথে পাশ করেন। পরে সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া থেকে বিএ অনার্স, বাংলা, এম, এ দ্বিতীয় শ্রেণিতে পাশ করেন।। পরে পেশা হিসাবে অধ্যপনা শুরু করেন ২০০২ সালে জনতা ডিগ্রি কলেজ, বগুড়া সদর বগুড়া, বাংলাদেশ। বর্তমানে তিনি জনতা ডিগ্রি কলেজ, বগুড়া সদর বগুড়ায়, সহকারী অধ্যাপক বাংলা হিসাবে দায়িত্ব রত আছেন। তিনি ২০২২ সালে হজব্রত পালন করেন। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন সাহিত্যে পরিবারে নিয়মিত কবিতা চর্চা করেন। তিনি ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের একজন সক্রিয় সদস্য। ইচ্ছাশক্তি আইডি নং- ০০২০২২০২৮১
০১
বাংলা আমার মায়ের ভাষা
মায়ের মুখে শুনি
শুয়ে শুয়ে মায়ের কোলে
শুনি বাংলা ধ্বনি।
সোহাগ ভরা মায়ের বচন
আধো আধো বলি,
মায়ের সাথে তাল মিলিয়ে
শিখি কথার কলি।
সেই খুশিতে কোমল গালে
মায়ের সুধা মিলে,
মানিক আমার রতন আমার
ব্যাকুল মায়ে বলে।
বাংলা মায়ের বাংলা বোলে
বলি আমার কথা
তাই না দেখে পাক হায়েনার
মনে লাগে ব্যথা।
স্বর্গ আমার গর্ব আমার
প্রাণের বাংলা ভাষা
বিশ্বসেরা বাংলা ভাষায়
জুড়ায় মনের আশা।
আসুক প্রীতি সবার মনে
হিংসা যাবো ভুলে,
পরের ভালো চাইবো সদা
আপন হিয়া খুলে।
পরের ক্ষতি নরক রীতি
আমি সভ্য হবো,
মানুষ আমি সৃষ্টি সেরা
সরল পথে রবো।
হিংসা হলো অগ্নি সমো
দগ্ধ করে ভালো,
সালাম হলো শীতল ছোয়া
দিবে মুছে কালো।
ভাঙা হিয়া জুড়বো সবে
নবীর পথে চলে,
অগ্নি হিয়া শীতল করি
হেরার শিখা বলে।
থাকবো ভালো সবাই মিলে
রবো সঠিক পথে,
হেরার আলো সঠিক দিশা
চলি সঠিক রথে।
ভালোবাসায় মাতি সবাই
হাসি ফুলের ঘ্রাণে,
মনের মাপে আপন খুঁজি
সুবাস মনে প্রাণে।
এখন সহিতে পারিনা যে ভার
জীবন জুড়িয়ে ব্যথা
কোথায় খুঁজেছি তোমায় স্মরেছি
কহিতে মনের কথা ।
তোমায় বিহনে আমার জীবনে
নেই কোন সুখ আশা
বুকের জমিনে করি ব্যথার চাষ
বারো মাস নেই ভাষা।
অনেক ব্যথার অনেক নমুনা
বুকেতে আমারি জমা
পারলে আমায় হৃদয় সুখেতে
একটু করিবে ক্ষমা।
দয়ার দানেতে ভুলেরে ভোলাতে
করোনা আমারে ক্ষমা
পারলে আবার হওনা আমার
মানসী আমার তমা।
গোমরা মুখেতে দেখনা আমাকে
একটু মুচকি হাসো
করিতে আপন হৃদয় বীনায়
হৃদয় কাছে আসো।
সারাটি জীবন রেখেছো জড়িয়ে
মনেতে রেখেছি ধরে
জীবনে তোমায় ভুলিতে পারিনা
ফিরাবো কেমন করে।
আঁচল তলে মায়ের কোলে
মিলে শান্তি সুখ,
অবুঝ শিশু বুকের ঘ্রাণে
চেনে মায়ের মুখ।
অবুঝ কালে তোমার কোলে
লাগেনা তো ভয়,
আদর করো সোহাগ করো
মনে সাহস হয়।
তোমার দয়া তোমার মতো
নেই তুলনা যার,
সবার চেয়ে আপন তুমি
মাগো সুখের হার।
স্নেহ মায়া সবার মিলে
ফারাক চেনে মন,
কষ্ট কালে আমার পাশে
থাকো সারা ক্ষণ!
ছায়ার মতো মাগো তুমি
তুমিই পাশে রোজ,
খাওনি মাগো পেটের ক্ষুধায়
মুখে দিলে ভোজ।
এই ভুবনে তুমিই সেরা
পায়ে দিয়ো ঠাঁই,
স্নেহ মায়ায় তুমিই সেরা
তোমার পরশ চাই।
একটু যদি বুঝতে মেয়ে
আমার হতে তুমি,
ভালোবাসার মানুষ হয়ে
অধর দিতে চুমি।
হৃদ কাগজে লিখা আমার
উঠতো চোখে ভেসে,
ভালোবাসার মানুষ হতে
আমার অবশেষে।
একটু যদি হাসতে তুমি
দিনটা যেতো ভালো,
একটু যদি আসতে কাছে
হতে খুশির আলো।
ভাবছো আমি মিথ্যা বলি
তোমায় খুশি দিতে,
একটু যদি বুঝতে তুমি
হৃদয় মনে নিতে।
যাও এড়িয়ে তবু আমায়
ভেঙে খুশি শতো
দাও তাড়িয়ে তাও যাবো না
তুমি মনের মতো।
হৃদয় পেলে চাই না কিছু
অবুঝ আমি মনে,
ডাকলে রাধা তোমার হবো
যাবো বৃন্দাবনে।
ভালোবাসার মানুষ গুলো
কষ্ট নিয়ে বাঁচে,
সারা জীবন দূরে থেকেই
হৃদয় খুশি যাচে।
দূরেই থাকি দূরেি আছি
দেখলে বুকে লাগে,
তবুও তুমি হৃদয় জুড়ে
আছো মনের বাগে।
সুখের পারা হৃদয় তারা
যায় না কভু ভোলা,
মনের ঘরে বসত করো
দাও যে মনে দোলা।