1. admin@ichchashakti.com : admin :
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

আমি কিভাবে সুপর্ণার প্রেমে পড়লাম 

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৬১ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

রাজেক আলম ,ভারতবর্ষ, পশ্চিমবঙ্গ।

আইডি নাম্বার- 0020220638

 

“লেখকের প্রেমে পড়লে কারো মৃত্যু হয় না”   এটা জানবার পর আমি সুপূর্নার প্রেমে পড়লাম। বাস্তব না হলে এটা লিখতাম না, পাঠককে ঠকাতাম। ঘটনাটা  হলো একদিন রাত্রে সুপূর্না আমায় হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেছে । আগে আমাদের অনেক দেখাশোনা হতো। ওর কালো দুটি চোখ সব সময় আমার হৃদয়ে গিয়ে বাঁসা বাধতো । ভালো কথা হলো সে আমার থেকে বয়স ও বাস্তবে জুনিয়র । হোয়াটসঅ্যাপে কথা হল। আমি বেশি আগ বাড়িয়ে রিপ্লাই দি নাই।আমি যেহেতু মহাকবি ও বড়লোক তাই প্রাইভেসি বলে একটা কথা আছে। বড়লোকদের কথায় কথায় বিজি দেখাতে হয় সেটা আমি করেছি। পরের দিন আমাদের মিট হল। এর আগেও অনেক দেখা হয়েছে। কিন্তু এবারের সাক্ষাৎকারটা ছিল একটু অন্যরকম। ও নীল আর  সবুজ পড়েছে যেটা আমি চয়েস করে দিয়েছিলাম। মেয়েরা প্রশংসার কবুতর   তাই আমি তার অমায়িক  প্রশংসা করে তার  মন ভরিয়ে দিলাম।আমার বিখ্যাত কবিতার লাইন বললাম  । সুপর্ণাকে শোনালাম “আমি ঘৃণা কে ঘৃণা করি /যদি একটিবার পাশে বসে হাতে হাত রেখে বলো তোমায় ভালোবাসি।”

 

যে ছেলে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেল করতে পারে মেয়েদের সে ছেলে এমনিতেই সাকসেস । আমার ক্ষেত্রেও ঘটনা হলো সেম। সে আমার নিবিড় প্রেমে পড়লো। পরের দিন মেসেজ হল । ও আমাকে  কফি হাউসে দেখা করতে বলল। পৃথিবী সাক্ষী কবিদের কাছে  কফি কিংবা চা ফেভারিট।আমরা যথাস্থানে দেখা করলাম। আমার জীবনের প্রথম বড় ভুল করলাম আমি চায়ের অর্ডার দিয়ে ।

 

মন থেকে কফি অর্ডার চেয়েছিলাম। যেহেতু  আমি  বড়লোক  তাই মুখ থেকে চা এর কথা বেরিয়ে যাই । গরিবরাও কফি পান করে এটা আমার বিশ্বাসে ছিল না। যাক প্রেমে পড়লে সব যুক্তিতে হয় না কিছু কিছু অবিশ্বাসকে বিশ্বাস করতে হয়।আমি তাই করলাম।ওর সৌন্দর্য , কোমর ধাঁধানো লম্বা চুল , হৃদয়ে গিট দেওয়ার মত দুটো চোখ, এমন রূপসী মেয়ে আমি আমার জীবনে দ্বিতীয়টি দেখি নাই বললেই চলে ।  সুপর্ণা খুব কম কথা বলে তবে তার হাসি এতই সুন্দর ও স্বচ্ছ যে তাকে কিছু বলে বোঝাতে হয় না।। তার হাসিতে সব বুঝে যাই আমি।। মূলত তার মুচকি হাসির প্রেমে পড়ে যায় আমি।মননে, গড়নে, বলনে, চলনে , রূপ, রস, সৌন্দর্যে সুপর্ণা যে জীবনানন্দের বনলতা  অথবা শেক্সপিয়ারের ডার্কলেডি এটা পৃথিবীর যেকোনো প্রেমিক বিশ্বাস করবে এতে দ্বিমত নাই।

 

ও আমার পাশে বসলো। হাতে হাত রাখলো। সুপর্ণা বলল সাত জনম কেন হাজার জন্ম হলেও সে আমার সঙ্গে থাকবে । আমি একটু ভাবুক হলাম। ওর কন্ঠের আওয়াজ পৃথিবীর সেরা গানটির মিউজিকের কন্ঠ থেকে কম নয়। আমি পোলাপানদের ভালবাসতে দেখেছি। কবিতার সূত্র অনুযায়ী সুপর্ণার দুই সুদর্শনা নয়নের দিকে তাকিয়ে বলে দিলাম ” “সুপর্ণা আমি তোমাকে ভালোবাসি”।  আমি সুপর্ণা কে “আই লাভ ইউ” বলিনি কারণ  আমি জানতাম এদেশের বেশিরভাগ ভালোবাসা ইংরেজিতে হয় বলে টিকে না। আর আমি ওইসব গোলাপ টোলাপ নিয়ে যায়নি কারণ আমি নিজেই একটা ব্র্যান্ড। তারপর মেয়েটা আমার দিকে তাকালো আসমানের দিকে তাকালো …………

ঠিক এমন সময়ে আমার খুব ভয় হচ্ছিল। বাবার ছবি মনে পড়ছে। মায়ের চেহারার কথা মনে পড়ছে। দাদাদের চোখ দুটি ঝরঝর করে দেখতে পাচ্ছি। আমার ভয় হচ্ছে।আমি ঘেমে যাচ্ছি। ছাড় আমি এগুলোকে ধারধারি  না। সমাজ ,রাষ্ট্র পরিবার এগুলোর জন্য  আমি ভালবাসাহীন থাকবো এটা আমি মেনে নিতে পারলাম না। সুপর্ণা আমার ধর্মের ছিল না, তবে আমার ধর্মের প্রতি ওর সম্পূর্ণ রেস্পেক্ট ছিল। সবথেকে বেশি প্রতিকূলতায় পড়বো জেনেও আমি  সুপর্ণার মুখ থেকে বেরিয়ে যাওয়া “তুমি আমার আজীবন হয়ে থাকবে ” এ কথায় সম্মিতি দিলাম।

 

ওর হাত আমার হাতে রাখল। আমি আলগা হলাম। আজকাল পোলাপানেরা যেভাবে ঝুকিয়ে যায় আমিও ঝুকলাম‌। ও লাজুক হাতে আমার মাথা বোলাতে লাগলো। আমি ওর দিকে তাকালাম। ও আমার দিকে তাকালো আমি সুপর্ণার খুব কাছাকাছি হয়ে গেলাম। আমার ঘুম ভেঙে গেল।।দেখি একটা মোটা বই আমার বুকে লেগে আছে।ধুর মিয়া, কাল রাত্রে সমরেশ মজুমদারের “কালবেলা” উপন্যাসখানা পড়তে পড়তে কখন যে পড়ার টেবিলেই ঘুমিয়ে গেছে বুঝতে পারিনি । গরমের যা ঠেলা ।

 

কি ভাবছেন ,আমি স্বপ্ন দেখছিলাম? হ্যাঁ, অবশ্যই স্বপ্ন দেখছিলাম। বিছানা থেকে উঠলাম । দেখলাম বয়ামে মুড়ি নাই, ফোনে চার্জ নাই, রুমে কারেন্ট নাই। তবে দেখলাম আমার পাঠক বেড়েছে। বললাম ঠকাবো না। অথচ আপনি সম্পূর্ণটা পড়লেন ,আপনি ইন্টারেস্টড।  মানুষ নামক জাতের একটাই  সমস্যা তারা লেনিন ,মার্কস, গান্ধী না পড়লেও  সেক্স ,পরকীয়া, প্রেম থাকলে পড়বেই । আপনি ঠকেন নি। আমাকে পড়েছেন।

 

সুপর্ণাকে আমি জানিনা, চিনিনা তবে ও ভালো থাকুক। আপনি একটু হাসুন। হাঁসলে রোগ ব্যাধি কমে।এভাবে হাজারো সূপর্ণা মানুষের হৃদয়ে রাজ করে বেঁচে থাকুক। বলেন ঠিক কি না ?

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park