1. admin@ichchashakti.com : admin :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

কবি- মোঃ মেহেদী ইকবাল জয় -এর ৫টি কবিতা

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১১৮ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

কবি পরিচিতিঃ

মোঃ মেহেদী ইকবাল জয় ১০ই ডিসেম্বর ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোণা জেলার সদর উপজেলায় ঠাকুরাকোণা ইউনিয়নের তাতিয়র গ্রামে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নেত্রকোণা সরকারি কলেজ থেকে প্রথম বিভাগ পেয়ে  যথাক্রমে এইচএসসি, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ২০২০ সালে বাংলা পত্রিকা ও দৈনিক আলোকিত নয়া দিগন্ত পত্রিকায় কাজ করেন। কবি’র অসংখ্য কবিতা ম্যাগাজিন, পত্রিকা ও যৌথ কাব্যগ্রন্থে স্থান পেয়েছে। কবি’র প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ: যত আছে ভালোবাসা। দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ: নতুন আলোর সন্ধান চাই। তিনি ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের একজন সক্রিয় সদস্য। ইচ্ছাশক্তি আইডি নং- ০০২০২২০৪৪৬

 

 

০১

যত আছে ভালোবাসা

 

ধরণীর মাঝে দেখেছি যেদিন

তোমার মায়ারীমুখ,

অশান্ত মনে জেগে ওঠে ছিলো

অনাবিল কিছু সুখ।

 

দেখেছি তোমাকে পড়েছি বিপাকে

হৃদয় হয়েছে সারা,

এসো তুমি কাছে বহু কথা আছে

হয়ো না নয়ন হারা।

 

ওগো মায়াবতী তুমি যে আমার

মায়াবী রূপসী চাঁদ,

তুমি যে জোছনা তোমার রূপেতে

ভেঙেছে আমার বাঁধ।

 

মনের গভীরে রেখেছি যে আমি

তোমার মুখের ছবি,

সকাল দুপুর সন্ধ্যায় ভেবে

হলাম আজকে কবি।

 

তোমারি প্রেমেতে হারিয়ে গিয়েছি

আমার আমি তো নাই,

অতল সাগরে ডুবিয়া মরেছি

কোথায় তোমাকে পাই।

 

তোমার হাসিতে প্রাণ ফিরে পাই

তোমাতেই সুখ খুঁজি,

আপন বলতে তোমাকেই জানি

তোমাকেই শুধু বুঝি।

 

মনটা মেতেছে জ্যোৎস্না রাতে

দেখবো তারার মেলা,

নির্জনতায় তোমায় ভেবেই

চলে যায় মোর বেলা।

 

তুমি যে আমার ভোরের কুসুম

রোজ সকালের রবি,

স্বয়নে স্বপনে মন যমুনায়

একে যাই শত ছবি।

 

তুমি সেই মেয়ে ছন্দের নারী

কবিতার লেখা বাণী,

হৃদয়ের মাঝে জেগে থাকো সদা

তুমিই রাতের রানী।

 

তোমার ডাগর দু’চোখেতে যাদু

ঘায়েল হয়েছি আমি,

তোমারে ভাবিয়া কেটে যায় ক্ষণ

কত যে দিবস যামী।

 

 

০২

বই

 

বইয়ের মতো প্রাণের প্রিয়

নাই যে ধরার মাঝে,

অনেক মানুষ পাঠ করে যায়

যতই থাকে কাজে।

 

হৃদয় দিয়ে লেখেন কবি

খুশি খুশি মনে,

পাঠক যদি পড়ে লেখা

ভাব হয় যে তার সনে।

 

প্রেম প্রীতি আর ভালোবাসা

লেখা বইয়ের মাঝে,

দেশের কথা দশের কথা

জেনে লাগায় কাজে।

 

নবীন প্রবীণ লেখক কবি’র

অনেক পুস্তক থাকে,

আপন আপন পছন্দের বই

কিনে সবাই রাখে।

 

“যত আছে ভালোবাসা”

বইটি অনেক খাসা,

আমার লেখা বইটি পড়লে

মিটবে মনের আশা।

 

 

০৩

সুনয়না

 

ডেকো না আর পিছন থেকে

যাবো আমি ভুলে,

সুগন্ধি ফুল দেবো না আর

তোমার কালো চুলে।

দেবো না দোষ ভালো থেকো

হয় তো ছিলাম ভুলে,

আর ডেকো না সুনয়না

মনের দুয়ার খুলে।

ছেড়ে যখন গেলে আমায়

আবার কেন ডাকো?

নতুন করে গড়বো জীবন

তুমি সুখে থাকো।

তুমি ছিলে মনের মাঝে

নিখুঁত প্রেমের ছবি,

তোমায় আমি ভালোবেসে

হয়েছিলাম কবি।

সারাজীবন সুখে থেকো

এমন দোয়া করি,

অশ্রু ধারায় বৃষ্টি ঝরুক

চলুক কষ্টের তরী।

 

 

০৪

পরাণের সাথী 

 

আহত হয়েছে মন           তোমার প্রেমেতে,

হারানোর ভয়ে ভিজে       অশ্রু আঁখি পাতে।

জ্বলে বিরহ আগুন          সদা মোর বুকে,

জানি আমি আছো তুমি    খুব মহাসুখে।

 

জুড়াও এসে আমার       এ মনের আশা,

সুখ শান্তি দাও মোরে      দাও ভালোবাসা।

অঝোরে ঝরছে জল       তোমাকে না পেয়ে,

এসো আমার বুকেতে      প্রেম গীত গেয়ে।

 

ভালোবাসি তাই আমি   পেলাম যাতনা,

তোমারে করেছি প্রিয়    করেছি কামনা।

জ্বলছে আমার বুকে     রাবণের চিতা,

ভালোবাসি খুব বেশি    পরাণের মিতা।

 

যদি তুমি কাছে আসো    ব্যথা দুরে যাবে,

তোমার পরশ পেয়ে        মন সুখ পাবে।

যত বেশি ভালোবাসা      ততো রবো সুখী,

কভু থাকবো না আর       আমরা যে দুখী।

 

দিনে রাতে ভাবি শুধু     পুরাতন স্মৃতি,

যত দিন গত হয়           বাড়ে শুধু প্রীতি।

সারাক্ষণ দেখি শুধু       তোমারই ছবি,

আজ তুমি নাই বলে      আমি মন কবি।

 

যদি তুমি পাশে থাকো    মরিতেও পারি,

স্বয়নে স্বপনে থেকো      যেও না’কো ছাড়ি।

জীবনে মরণে চলো       থাকি একসাথে,

অভিমান ভেঙে দিয়ে     হাত রাখি হাতে।

 

 

০৫

আমার গাঁ

 

আমার গাঁয়ের পথের পাশে

সবুজ গাছে ঘেরা,

রুপের রাণী গ্রামটি আমার

সকল দেশের সেরা।

 

নানা ফলের বাগান সেথায়

সারা গ্রামটি জুড়ে,

পাখিদের সব কাকলিতে

ভরে থাকে সুরে।

 

কংস নদী বইছে সুখে

নিয়ে সুধার ধারা,

স্বর্গ সুখের ঠিকানা আমার

স্বজন ঘেরা পাড়া।

 

গোধুলিতে কিচিরমিচির

গান গেয়ে যায়  পাখি,

সূর্য অস্তে লাগে ভালো

দেখে যখন আঁখি।

 

ছবির মতো সাজানো গ্রাম

আমার প্রাণের ভূমি,

একটুখানি সময় করে

ঘুরতে এসো তুমি।

 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park