1. admin@ichchashakti.com : admin :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

কবি- মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রঞ্জু’র ৫টি কবিতা

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৬৮ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

কবি- মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রঞ্জু’র ৫টি কবিতা

কবি পরিচিতিঃ

মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রঞ্জু

ইচ্ছাশক্তি আইডি নং ০০২০২২০১৯০

 

নাম: মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রঞ্জু, পিতা: মোঃ আব্দুল খালেক, মাতা: মোছাঃ আনোয়ারা বেগম। গ্রাম ও ডাকঘর: সোনারায়, উপজেলা: গাবতলি, জেলা : বগুড়া, বাংলাদেশ।

জন্ম: ০১-০৯-১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ।

শিক্ষাজীবনঃ সর্ধ্বনকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে বৃত্তিসহ ৫ম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ। ডেমাজানী শ.ম.র উচ্চ বিদ্যালয় হতে বৃত্তিসহ ৮ম শ্রেণিতে ও একই বিদ্যালয় হতে ১৯৮৯ সালে এস এস সি এবং বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এ্যাণ্ড কলেজ থেকে এইচ এস সি তে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন।পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। রাজশাহী সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে ২০০০ সালে তিনি বি-এড ডিগ্রি লাভ করেন।

কর্মজীবন: প্রাচীন বাংলার রাজধানী খ্যাত “মহাস্থান মাহীসওয়ার ডিগ্রি কলেজ”, মহাস্থান,  বগুড়া’য় সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। ছাত্রবস্থায় সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

সাহিত্য জীবন: লেখালেখি শুরু ছাত্রজীবন থেকে। দৈনিক করতোয়া ও দৈনিক উত্তর বার্তা পত্রিকায় প্রথম প্রকাশ।

মানবদরদী কবি। স্বদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, প্রকৃতি ও মানবপ্রেম,অন্যায়-অত্যাচার, দুর্নীতি,  সমাজের অসঙ্গতি ইত্যাদি বিষয় তার লেখার মূল উপজীব্য। স্বপ্ন দেখেন লেখালেখির মাধ্যমে সমাজকে বদলানোর।  বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক পত্রিকায় তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের অপেক্ষায়। সাপ্তাহিক ইচ্ছাশক্তি পরিবারের একজন সক্রিয় সদস্য।

 

 

০১

অসৎ পথের লড়াই 

 

আন্দোলনে জন্ম যাদের

তাদের রাখো ভয়ে!

অসৎ পথে করলে লড়াই

পঁচবে জীবন ক্ষয়ে।

ধানাইপানাই করে কোনো

লাভ হবে না বাছা,

ছেঁড়া নেংটি টাইট করে

পরে বাঁচাও পাছা।

সম্পদের ঠিক হিসাব দিতে

হচ্ছে কেন কষ্ট?

নষ্ট টাকার নেশায় কি রে

সব করেছো নষ্ট?

অসৎ পথে এতদিনে

করছো অনেক কামাই,

গতর খাটো এখন থেকে

আর সেজো না জামাই।

থাকতে সময় শুধরে জীবন

সোজা পথে চলো,

নইলে তুমি মরার সময়

পাবে না তো জলও।

 

 

০২ 

শিক্ষাগুরুর শ্রদ্ধা আসন 

 

শিক্ষক হলেই ভালো হবে

এই ধারণা মিছে,

অপমানটা অসৎ লোকের

ঘোরে পিছে পিছে।

শিক্ষক হয়ে যারা সাজে

দালাল কোনো দলের,

অপমানের শিকার তারাই

হচ্ছে শিকার বলের।

সত্যিকারের শিক্ষাগুরু

হয় না কভু নত,

অবিচল যে থাকেন তাঁরা

হিমালয়ের মতো।

শিক্ষক না হোক বিবেক হারা

সাজুক না কেউ অন্ধ,

দলবাজি আর তেলবাজি হোক

চিরতরে বন্ধ।

শিক্ষাগুরু ঊর্ধ্বে সবার

থাকুক উঁচু শিরে,

শ্রদ্ধা ভরা আসন তাঁহার

থাকুক শত ভিড়ে।

 

 

০৩ 

বৈষম্যের কবর দিন 

 

সামনে আসছে শুভ দিন

বাজে প্রলয় সৃজন বীণ।

খালি গায়ে জুতা ফালায়

অসৎ যারা ভয়ে পালায়।

শিখবো না আর অলীক ছড়া

অসার বইয়ের মিথ্যা পড়া।

সত্য ছোঁয়ায় জীবন গড়া

হোক যে ব্রত সুখের ধরা।

দুর্নীতিবাজ পাচারকারী

দিচ্ছে ঠেলায় বিদেশ পাড়ি !

স্বার্থ যাদের হচ্ছে হানি

গা জ্বালাটা তাদের জানি।

মোসাহেবের জ্বালা বাড়ে

গালিতে তাই ঝালটা ঝাড়ে।

আজ বুঝি আর নাইরে আরাম

মুখোশধারীর ঘুমটা হারাম।

স্বাধীনতার শিক্ষা নিন

বাজুক মেধার  বিজয় বীণ।

শুধুন শহিদ রক্তের ঋণ

বৈষম্যের আজ কবর দিন।

 

 

০৪ 

নদী পাড়ের কান্না 

 

উজান ঢলে ভাঙ্গে নদী

ভাঙ্গে বাড়ি ঘর,

গ্রীষ্মকালে শুকনা নদীর

বুকে জাগে চর।

বর্ষাকালে ভরা নদীর

দেখি ভয়াল রূপ,

নদীপাড়ের মানুষগুলো

সব হারিয়ে চুপ।

চর এলাকার মানুষ যারা

চরে করে বাস,

দুঃখ যেন চিরসাথি

তাদের বারো মাস।

জলে ডুবে খরায় পুড়ে

হারায় তারা সব,

হে দয়াময় তুমি সহায়

রক্ষা করো রব।

নদী ভাঙ্গন রোধের নামে

ওঁতপাতা সব চোর,

নিমিষেতে উধাও হয়ে

আসুক আলোর ভোর।

 

 

০৫ 

খেলা হবে খেলা  

 

খেলা হবে খেলা তোমার

দম্ভ ভরা উক্তি,

চলন বলন স্বৈরাচারের

মানলে না তো যুক্তি।

আমজনতার প্রাণের দাবি

করলে হেলা ফেলা,

তাইতো শেষে হাড়েহাড়ে

বুঝলেে তাদের ঠেলা।

কাউয়ার মতো অন্ধ হয়ে

করলে কা কা শুধু,

জনরোষের ঠেলায় জীবন

হলো মরু ধূ-ধূ।

খেলা হবে বলে তুমি

কোথায় চলে গেলে?

সাধারণে করতো বিচার

তোমায় কাছে পেলে।

বেশি বেশি সবই খারাপ

বুঝলে অবোধ বাছা,

পরন থেকে কাপড় খুলে

হয় রে উদোম পাছা !

ভিন্ন মতে নাইরে যাদের

একটুখানি শ্রদ্ধা,

তাদের শিক্ষা হয়ে আসে

চব্বিশেরই যোদ্ধা।

 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park