প্রথম প্রথম হয়তো খুব হালকাভাবে শিশু মিথ্যা কথা বলা শুরু করে।
কিন্তু বাঁধা না পেলে ধীরে ধীরে মিথ্যা বলার প্রবণতা বাড়তে থাকে। এক সময় এটা অভ্যাসে পরিণত হয়। প্রথম থেকেই শিশুদের মিথ্যা বলার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করতে হবে।
শিশুর মিথ্যা বলার অভ্যাস দূর করতে যা করবেন-
১. প্রথমত, মিথ্যা কথা বলা যে খারাপ এটা শিশুদের বোঝাতে হবে। সত্যটা যে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এটাও বোঝাতে হবে। মিথ্যা বললে তাকে কেউ পছন্দ করে না, তার সঙ্গে খেলে না, তাকে কেউ ভালোবাসে না-এমন একটা ধারণা শিশুদের মনে গেঁথে দিতে হবে। অর্থাৎ শিশুসুলভ আচরণ দিয়েই শিশুকে সত্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।
২. শিশুরা অনেক সময় ভয় পেয়ে মিথ্যার আশ্রয় নেয়। সত্য গোপন করে থাকে। শিশু কেন মিথ্যে বলছে সেটা আপনাকে অনুধাবন করতে হবে। ঘটনাটা যত খারাপই হোক না কেন, সত্যি বললে আপনি তাকে শাসন করবেন না এই আশ্বাস দিন। সে যদি প্রথমে মিথ্যা বলে, তারপর সত্যিটা স্বীকার করে তাহলে তাকে পুরস্কার দিন। সেক্ষেত্রে শিশু সত্যি বলার উৎসাহ পাবে।
৩. মিথ্যা বললেই শিশুকে শাস্তি দেবেন না। বরং তাকে সাবধান করুন, সংশোধন করে দিন। সেই সঙ্গে এটাও পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিন, আপনার কথা না শুনলে কী কী শাস্তি সে পেতে পারে।
৪. সাবধান করার পরেও শিশু আবার মিথ্যে বললে, তাকে শাস্তি দিন। সেটা শারীরিক শাস্তি কিংবা অতিরিক্ত বকাঝকা করে নয়। বরং সেক্ষেত্রে তার খুব পছন্দের কোনও জিনিস নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তার থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন।
৫. মিথ্যা বলার পর যদি সে সত্যিটা স্বীকার করে নেয়, তাহলে তাকে যতটা পুরস্কার দেবেন বলে জানিয়েছিলেন, তার চেয়ে বেশি কিছুদিন। তাতে তার বিশ্বাস বাড়বে অভিভাবকদের প্রতি ।
তাই সব সময় তার হৃদয়ের কথাগুলো বুঝার চেষ্টা করুন । সন্তান যদি আপনার সাথে ফ্রি ভাবে কথা বলতে পারে তাহলে সে মিথ্যা বলা বন্ধ করে দিবে । আশা করি উপরোক্ত বিষয় আপনাদের সহায়ক হবে । আল্লাহ আামাদের সন্তানদের নেককার ও সত্যবাদী হিসাবে মাকবুল করুন । আমিন ।