————–উৎসর্গ————–
“চব্বিশের গণবিস্ফোরণ” কাব্যগ্রন্থটি জুলাই চব্বিশের সকল আত্মত্যাগী গণঅভ্যুত্থানকারী শহীদ ও যোদ্ধাহতদের প্রতি উৎসর্গ করা হলো।
“চব্বিশের গণবিস্ফোরণ” সম্পর্কে কবি, সাহিত্যিক, লেখকদের অভিব্যক্তি-
বি এম মিজানুর রহমান
দেশের মানুষ ও মাটিকে ভালোবেসে স্বৈরশাসক এর প্রতি কলম ধরার জন্য চব্বিশের গণবিস্ফোরণের কলম যোদ্ধা প্রিয় কবি বন্ধুদের বিজয়ী শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বাক-স্বাধীনতা ফিরে আসুক, অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলুক বাংলাদেশের সকল পেশা ও জাতিসত্তার মানুষেরা। সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়ে উঠুক এই প্রত্যাশা।
মিফতাহুল জান্নাত তাসফি
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে নিজ দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে স্বৈরাচার হতে মুক্ত করার লক্ষে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সৈরাচারের বিরুদ্ধে যে সকল কবি, সাহিত্যিক, লেখক, লেখিকারা কলম চালিয়েছে, সেই সকল কলম যোদ্ধাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা একটা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রত্যাশা করেছি। যেখানে আমরা স্বাধীনভাবে মত বিনিময় করতে পারবো, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারবো। আলহামদুলিল্লাহ আমরা সফল হয়েছি। আমরা আপনাদের সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী, এভাবেই যেন সারাজীবন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সকল কলম যোদ্ধারা স্বাধীনভাবে কলম চালিয়ে যেতে পারি।
মোঃ জয়নুল ইসলাম
চব্বিশের গণবিষ্ফোরণ বইটি হয়ে উঠুক চব্বিশের গণ আন্দোলনের একটি প্রতিচ্ছবি। এই বইটি হয়ে যাওয়া জুলাই ও আগস্টের প্রত্যেকটি ঘটনা সম্পর্কে যথার্থ সারমর্ম উপস্থাপন ও বাংলাকে কিভাবে স্বৈরাচার ও বৈষম্য মুক্ত করেছেন তা কবিতা আকারে জনসম্মুকে প্রকাশ করা এবং আগামী প্রজন্মকে জানান দেওয়ার একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।
মোঃ ফারুক মন্ডল
চব্বিশের গণবিস্ফোরণ বা গণআন্দোলন ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। এই সময়কালে সাহিত্যিকরা তাদের কলমকে হাতিয়ার করে জনগণের আবেগ, আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষোভের স্পন্দনশীল প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছেন। তাদের লেখাগুলোতে স্বাধীনতা সংগ্রামের আগুন জ্বালিয়ে তুলেছিল। স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে গণআন্দোলনে তাদের অবদান ছিল অসামান্য। তাদের লেখাগুলো আজও আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে।
ফাতেমা আক্তার মীম
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরেছে তারা সবাই কলমযোদ্ধা। যেকোনো যুদ্ধেই প্রয়োজন অনুপ্রেরণা। সকল কলমযোদ্ধা এই গণঅভ্যুত্থানে স্ব-শরীরে অংশগ্রহণ না করলেও সকলেই তাদের লেখনীর মাধ্যমে অবদান রেখেছে। আমরা সকল লেখক, লেখিকা, কবিগণ আপনাদের সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী; আমরা যেন এভাবেই সবসময় সর্বকালে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরতে পারি।
মোঃ ইউনুছ উদ্দিন
সবুজ শ্যামল প্রিয় মাতৃভুমি বাংলাদেশে জেগে বসা স্বৈরাচার তাড়িয়ে অস্তমিত স্বাধীনতার সূর্য যারা ফিরিয়ে আনলো তাদের ত্যাগ ও সংগ্রামকে স্মরণীয় করে রাখার অনবদ্য একটি কাব্যগ্রন্থ “চব্বিশের গণবিস্ফোরণ”। মেধা সৈনিকরা তাদের লেখনীর মাধ্যমে অংশগ্রহণ করছে চব্বিশের আন্দোলনে। চব্বিশের দ্বিতীয় স্বাধীনতার ইতিবৃত্ত কাব্য দিয়ে সাজানো বইটি। চব্বিশের লড়াকুদের ত্যাগ ও তার প্রতিফল আমরা কখনো ভুলবো না।
তৌহিদুল ইসলাম
“চব্বিশের গণবিস্ফোরণ” বইটি তার নামের মাধ্যমে বলে দিচ্ছে প্রতিবাদ ও চেতনাবোধ থেকেই রচিত এই সামান্য প্রয়াস। গণঅভ্যুত্থানের ফসল ছাত্র-জনতার রক্তে ফলেছে, তার ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম জানবে বা জানার চেষ্টা করবে ও অনুপ্রাণিত হবে বাংলাকে আগামী সময়ে শোষক-বুর্জোয়ার দুষ্কৃত থেকে স্বীয় মহিমায় অক্ষুণ্ন রাখতে। আর সে মহান যাত্রায় “চব্বিশের গণবিস্ফোরণ” খানিকটা হলেও ভূমিকা রাখবে এবং গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে প্রত্যাশা রাখি।
শামীমা বেগম
নব্বইয়ের পর ইতিহাসের এক অবিস্মরনীয় গণঅভ্যুত্থান হলো চব্বিশের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন। যেটি বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এক কাতারে নিয়ে এসেছে যা বাংলার ইতিহাসে খুবই বিরল একটি ঘটনা। এক খলতন্ত্রের তান্ডবকে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা তৈরি করল বৈষম্যহীন এক নতুন বাংলাদেশ। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদের মত কলম যোদ্ধারা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে কলমকে হাতিয়ার বানিয়েছি যা সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে।
মুহাম্মদ কাউছার আলম রবি
চব্বিশের গণবিস্ফোরণ কাব্যটি তাদের জন্য, যারা আমাদের কলমকে শৃঙ্খলমুক্ত করলো। তারা দিয়েছে মত প্রকাশ, চিন্তাভাবনা ও লেখনীর স্বাধীনতা। ভাবতে পারা যায় ইচ্ছাশক্তি কতটা প্রবল হলে দাম্ভিক, চরম ক্ষমতাধরকেও হাতকড়া পড়ানো যায়। চব্বিশের স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে যেসকল কবি ও লেখকরা তাদের লেখনী দিয়ে তারুণ্যকে জাগ্রত করেছেন তারা কলম যোদ্ধা। বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা চব্বিশের শহীদ ও গাজীদের প্রতি। আসুন ইচ্ছাশক্তি’কে কাজে লাগিয়ে বৈষম্যহীন একটি মানবিক রাষ্ট্র গড়ে তুলি।