নাম. মতিউর রহমান, গ্রাম. লাকী, ডাক. তোয়াকুল, থানা. গোয়াইনঘাট, জেলা. সিলেট। লেখাপড়া. শুরু থেকে এ পর্যন্ত একটি কওমী মাদ্রাসা (বর্তমানে আলিয়া ৪র্থ বর্ষে) জামিয়া ইসলামিয়া তোয়াকুল, গোয়াইনঘাট, সিলেট এ অধ্যায়নরত। পাশাপাশি আল কোরআন ওয়াস সুন্নাহ শিক্ষা কেন্দ্র থেকে রমজানিয়া কোর্স (সনদ) সমাপ্ত করেন। এবং পশ্চিম গোয়াইনঘাট দাখিল মাদ্রাসা থেকে এসএসসি পরিক্ষার্থী। এখনও বিভিন্ন মাধ্যমে পড়া-লেখায় আবদ্ধ। তিনি ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের একজন সক্রিয় সদস্য। ইচ্ছাশক্তি আইডি নং- ০০২০২২০৮৪৬
কবিতা নং ১
চায়নি মুজিব এমন স্বাধীনতা
২৬ ই মার্চ তুমি স্বাধীনতা দিবস,
কত রক্ত ঝরাতে হয়েছে তোমারই পরশ।
স্বপ্ন ছিলো মুজিবের দেশটা হোক স্বাধীন,
হয়েছেতো বটে মাজলুমরা আজ পরাধীন।
চায় নিতো মুজিব এমন স্বাধীনতা!
যেথায় হাহাকারে থাকে আমজনতা।
আগমন কি হবে আবার সেই মুজিবের!
শাসন করবে যে বাংলাদেশের।
কবিতা নং ২
আমি কারাগারে
ধর্ম বিরোধী, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করি
বিধায় আমি কারাগারে,
চোর-ডাকাত, বাটপার, মির্জাফররা খাচ্ছে
দেশটা তাদের মতো করে।
ইলমের কথাগুলি জনগণকে জানাই
বিধায় আমি কারাগারে,
ক্ষমতার দাপটে কত মা-বোনদের ইজ্জত
নষ্ট করছে ওরা দেখো না হাতে গুণে।
চাইনি সত্য গোপন ও মিথ্যার জয়
বিধায় আমি কারাগারে,
ন্যায়ের পক্ষে হবে মরণ ভয় করি না তাতে।
আমি নির্দোষ তবু মরণ হাসিমুখে করবো বরণ
খেদার রহমতে।
খোদা বিহীন কে আছে জগতে জীবন দাতা,
তাই সর্বদা থাকতে চাই সত্য নিয়ে,
কার আছে আটকানোর ক্ষমতা।
শুনো জাতি! থেকো না আর ঘরে বসে,
দ্বীনকে বাঁচাতে, দেশকে বাঁচাতে তৈরী করো নিজেকে।
কবিতা নং ৩
২৪ এর স্বাধীনতা
আবু সাইদ, রাফি, ওয়াসিম, আদনান
শহীদ হলো বীরের মতো পিছপা হতে বেমানান,
অধিকার আদায়ে আরও শহীদ হলো কতজন
দোষ কি ছিলো তাদের জবাব কি পারবে দিতে প্রশাসণ!
রক্তাক্ত হলো রাজপথ সোনার দেশের
কতো মায়ের বুক খালি হলো হাতে স্বৈরাচারের,
জনগণের ক্ষতি এড়াতে, দেশে শান্তি ফিরাতে
প্রয়োজন ছিলো জাগ্রত তারুণ্যের।
বাঘের মতো হুংকার দিয়ে উঠলো নাহিদ,আসিফ,সারজিসসহ ছাত্র জনতা
যাদের ডাকে লংমার্চে আসলো আমজনতা,
সত্যের হলো জয় করলো পলায়ন স্বৈরাচার
আবার স্বাধীন হলো প্রিয় বাংলার।
শুনো জাতি! যখনই আসবে বাতিল
তখনই মোকাবেলা করতে হবে তরুণদের
তবেইতো ঠিকে থাকবে স্বাধীনতা আমাদের।
কবিতা নং ৪
ঈদের আমেজ
চাঁদের হাসি বলছে উঠে আজকে খুশির ঈদ,
ভুলে যাবো সব ভেদাভেদ চোখ জুড়ে নাই নিঁদ।
ধনী- গরীব নেই ভেদাভেদ মোরা সবাই সমান,
পরস্পরের মোলাকাতে গড়ে উঠুক সম্প্রীতি মহান।
মাস শেষে ফের হাতছানি দিলো সবার খুশির দিন,
মুছে যাক সবার থেকে আছে যতো বদ-দ্বীন।
প্রিয়জনদের বিরহে কাতর সেই আমি আজ খুশি,
আনন্দের ভাগ বসাতে আজ কাকেইবা দুষি।
এমনদিন বার-বার আসুক এটাই মোদের প্রত্যাশা,
সামনের ঈদ পাবো কি-না তাই বড়ই হতাশা।
কবিতা নং ৫
রক্তাক্ত ফিলিস্তিন
রক্তাক্ত আজ আমাদের প্রিয় ফিলিস্তিন
জাগো মুসলিম থাকো নাকো আর ঘরে বসে,
এসেছে তোমার পরিক্ষার দিন।
সব মতবাদ দূর করে আজ ঝড়ো হও
যা আছে তা নিয়ে তুমি তৈরি হও।
দেখো থাকিয়ে!
সন্ত্রাস ইসরাইলের বুলেট আর গুলিতে
মরছে কত ফিলিস্তিনি,
শিশু-বৃদ্বা কারোরই দেয় না ছাড় ঐ হারামি।
মেরাজে ইমামুল মুরসালিন হয়েছিলেন
নবীজি যে আকসায়,
সেথায় দেয় নাকো নামাজের সুযোগ
ঐ সন্ত্রাস দখলদার ঈসরাইল।
লক্ষ- কোটি মুসলমানের প্রিয় আকসা
আজ জালিমের হাতে বন্দি,
তৈরি হও মুসলিম জালিমের থেকে ফিরাতে হবে
আমাদের আকসা, চালাও ফন্দি।
হোক বিজয় ফিলিস্তিন
মুক্তি পাক লক্ষ অসহায় শিশু-মা, বৃদ্ধা।
আযাদ হোক আমাদের প্রিয় আকসা।