1. admin@ichchashakti.com : admin :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

১৫ই জুলাইয়ের ১৫টি বিদ্রোহ কবিতা

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৫২ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

১৫ই জুলাইয়ের ১৫টি বিদ্রোহ কবিতা

মোঃ সাগর ইসলাম মিরান

 

 ০১

ঘুড়ে দাঁড়াও বাংলাদেশ

 

এসো এসো, ছাত্র ভাই

চলো সবাই, যুদ্ধে যাই।

আমার বোন, আমার ভাই

বেঁচে নাই, বেঁচে নাই।

স্বৈরাচারী, তামাক খায়

আদুভাইয়েরা, নেতৃত্ব দেয়।

চামচিকারা, ঘুম দিয়েছি

আমার ভাই, খুন হয়েছে।

দেখ, দেখ বাংলাদেশ

স্বাধীনতার সবই শেষ।

দেখ, দেখ সোনার দেশ

চোর ধরেছে সাধুর বেশ।

আয়, আয় বাংলা ভাই

আমরা সবাই, যুদ্ধে যাই।

আমার ভাই, আমার বোন

বেঁচে নাই, বেঁচে নাই।

শহীদ বোন, শহীদ ভাই

আমরা কেহ, মরি নাই।

তোদের রক্তের, মুল্য ভাই

এবার আমরা, তুলতে চাই।

তাই’তো এবার, করব লড়াই

ডাক দিয়েছি আমি।

আমরা সবাই, দেশের সন্তান

মোদের রক্তে কেনা ভুমি।

 

০২

জাগো কবি

 

আজ কলম চললে, বোধহয়!

হারাবে, বাংলা একাডেমি পুরস্কার।

নয়তো তোমার, সন্ত্রাস দাদারা

করবে তোমায় তিরস্কার।

শোনো কবি, কলম ধরো

জাগ্রত করো বিবেক।

মরার মত নাহি বেচে

তানিয়া মরে গেছে।

মরে গেছে, আরো এক ভাই

নামটি জানা নাই।

তাদের আমি প্রানভরে

লাখো, শ্রদ্ধা জানাই।

আরে ও কবি ভাই

ঘুমে ঢলে যাই!

ছাত্রসমাজ বাইরে রেখে

কেমনে বিছানায় যাই?

আমরা যদি ঘুমাই গিয়ে

জাগবে কারা রাত?

আমার বুকের, রক্তে যেন!

ফুটে কাল প্রভাত।

কবিত্ব চাই না, পদক চাই না

চাই না পুরুস্কার বাংলা একাডেমি।

সারাজীবন প্রতিবাদ করে

আমি, হতে চাই বিদ্রোহী।

জাগো ওহে কবি, জাগো

কাগজে কলমে লেখো।

আমার ভাইয়ের, রক্ত ঝড়ে

তোমরা একটু দেখো।

 

০৩

আমার আঙুল কেটে দাও

 

শোনো হে, স্বৈরাচার

আমার আঙুল কেটে দাও।

নয়’তো আমার কলমে তুমি

কালি ভরে দাও।

কলমে মোর, কালি নেই

ভরে গেছে খাতা।

মনে আমার আগুন, দাউদাউ

আঙুল কাটো দাদা।

যুদ্ধ, যুদ্ধ, যুদ্ধ দেখিনি আমি

স্বৈরাচার দেখেছি আমি।

আমার মাটি আমার দেশ, থাকব কেন চুপ?

দালাদের কে পুঁজি করে, নেতা সেজেছো খুব।

হুশিয়ার সাবধান, কলম উঠবে জেগে

বাংলার ছেলেরা উঠলে, এবার পথ পাবিনা ভেগে।

ফিরে যা, ফিরে যা, অস্ত্র ফেলে চলে যা

আমার বাংলা, আমার দেশ, সন্ত্রাসীরা ঘড়ে যা।

আঙুল আমার, কাটতে করাত

ধার করতে যা, বিদেশে

এদেশের বেইমান অস্ত্রে

আঙুল কাটবেনা শেষে।

আমার আঙুল কাটার পরে

জাগবে আমার ভাই।

তোদের এবার রক্ষা নাইরে

নিপাত করা চাই।

 

০৪

কবি নিরব কেন ?

 

কবি, আমার শার্টটা রক্তমাখা

আজ বুকটা করছে, খাঁ, খাঁ।

তোমার কলম কেন? আজ বন্ধ

আমরা কী বোবা? নাকী তুমি অন্ধ।

আমাদের চিৎকার কী

যায়না কানে কবি?

নাকী তুমি দেখছো শুয়ে

মীরজাফরের ছবি?

ওহে বাংলার কবি

তাকাও মোদের পানে!

রাজপথে লুটেছে দেহ

নেই যে কোনো শ্বাস।

তোমার কলমে, লিখে রাখো

আমাদের এই ইতিহাস।

কবি আজকে নিরব কেন

কয়না কেন কথা?

আজ কেন ধরেনা কলম

লিখেনা কেন কবিতা?

ছাত্রদের এই দুঃখের দিনে

কবিদের নিরাবতা!

এই কী দেশের বুদ্ধিজীব?

এই কী স্বাধীনতা?

কবি, আজ তোমার মনের মাঝে

কোনো ছন্দ নাই?

নাকী তোমার অস্ত্র ভয়ে?

কালি ফুরিয়ে যায়।

 

০৫

ছাত্রভাই দাবি রাখি

 

আমার নামে, কালো তালিকা

হয়ে গেছে ভাই।

কবি সাগর, কলম ধরছে

মাথাটা ওড় চাই।

ওরে পাগলা, মাথা আমার

নিজেই রাখব কেটে।

কষ্ট করে তুই, শুধুই

নিয়ে যাস, এসে হেঁটে।

বাংলা আমায়, জন্ম দিছে

কবি রুপে ভাই।

বাংলার, ছাত্রসমাজের জন্য

কলম ধরা চাই।

আমায় যদি কাল সকালে

হত্যা করে তাই।

আমার সকল কবিতাগুলো

মলাটবদ্ধ, করিও ছাত্রভাই।

আমি তোমাদের, কবি বলছি

বড়ই অসহায়, হায়।

কলম ধরার কারনে এবার

আমার, জীবন দিতে হয়।

তোমরা কেহ, ছাড় দেবেনা

কাপুরুষদের কভু।

শত দুঃখে হবেনা নত

সহায় তোমাদের প্রভু।

 

০৬

শোনো সন্ত্রাসী

 

ক্ষমতাবলে আজ তুমি

হত্যা করছো কাকে?

মানবকুলে ধন্য করে

খোদা পাঠালো যাকে!

সভাপতি, সেক্রেটারী, যতিন

তুমি, কদিন থাকবে ভাই।

কবর তোমায় ডাকিতেছে

সময় বেশি নাই।

আযরাইল ঐ, মোদের নামে

তাসবী পড়ে ভাই।

ঘড়ি টিকটিক বাজিলে পরে

রশি টানবে তাই।

রোজ হাশরে শহীদের লাশ

দেখলে বলবা কী?

ফেরেশতারা সেদিন করবে

লাশের তদারকী।

ওদের অধিকার ওরা চাচ্ছে

মারার দরকার কী?

হানাহানি, কুরান বিরোধী

তুমি জানো নাকী?

আছে যত, বেদ, গীতা

মারতে কেউ বলেনি।

বাইবেল,ত্রিপিটকে কোথায় ও

সন্ত্রাস প্রশ্রয় দেয়নি।

মায়ের জাতি খুন হইল

জবাব দিবা কী?

কবরেতে, জবাব দেবার

প্রশ্ন কিনেছো নি?

বন্ধ করো, গুলি ও ভাই

অস্ত্র নামাও তোমার।

পাশে যাদের দেখছো সবাই

অতিথি, জানাযার তোমার।

 

০৭

গুরুজী

 

শিক্ষক আমার জননী মা

শিক্ষক আমার বাবা।

সারাজীবন করতে চাই

আদর্শ শিক্ষকের সেবা।

ছাত্রদের কে ন্যায়ের পথে

হাঁটতে শেখায় যে।

যুদ্ধের মাঠে শিষ্যের অনুপ্রেরণা

হয়ে দারায় সে।

আমার বাবা আমার গুরু

আমার শিক্ষা গুরু।

ছাত্র শিক্ষকের ভালবাসা

আজকে দেখো পুরু।

আমার ভাইকে পূলিশ যখন

জোর করে নেয় ধরে।

আমার বাবা শিক্ষাগুরু

প্রতিবাদ তখন করে।

শরিফুলদের শিক্ষক মহোদয়

ছাড়িয়ে এনে দেয়।

এমন গুরু ধরায় যে হায়

কজন পাওয়া যা।

আজকে আমি দ্বিতীয় বারে

গুরু প্রেমে মজিলাম।

গুরু রুপে আজকে যেন

পীর আউলিয়া দেখিলাম।

ও আমার গুরুজী

চরন খানি দিন।

আপনারে চরন হাজার সালাম

করিতে চাই ও ওস্তাদজ্বী।

 

০৮

কেঁদনা মা

 

তোমার ছেলে সঠিক পথে

শহীদ হয়ে গেছে।

তোমার মেয়ে প্রতিবাদ করে

আজকে মরে গেছে।

তারা সবাই বিনা হিসেবে

জান্নাতে যাবে চলে।

এ কথাটি হাদিস, কোরআন এ

স্পষ্ট ভাষায় বলে।

দোয়া করো মাগো তুমি

ওদের জন্য বেশি।

তোমার দোয়ায়, কবরে মাগো

থাকবে ওরা খুশি।

ও মা, মা মাগো ঐ ছেলেটা গেছে মরে

মরিনি তো আমি।

আজ থেকে তোকে যে হায়

মা ডাকব আমি।

তোর মেয়েটা মরেছে মা

কী হয়েছে তাতে।

হাজার, হাজার মেয়ের সুখে

তোর মেয়েটা মরেছে হাসতে হাসতে।

 

০৯

সর্প নাশ

 

বলতে গিয়েও আসি ফিরে

কালা মানব, অগ্নি ঘড়ে।

চুপিচুপি আনমনে, দাঁড়িয়েছি সাওয়ারে

মনপ্রান উতলা পাতাল খুঁজি পাহারে।

রক্তপিন্ডের বরফকন্ড, টিস্যুগুলো দলা

বুঝলাম না কিছুই, তাহার ছলাকলা।

দুধভাত মেখে সর্প, পুষিলাম বাবুসাপ

ঝড়ে ফেলে, ফনা তুলে, করিতেছে ফোঁসফাস।

বোকা চাষীর বোকাদল, দুধ দেয় পেয়ালায়

দুগ্ধভোজে তেজী সর্প, ফিরে যায় গোয়ালায়।

বুঝতে পারবে যখন, দেশী বোকা চাষী

ততদিনে সর্প মোটা, দুগ্ধ হবে বাসি।

বাসি দুগ্ধ ভক্ষন কী আর, বীরের পেটে সয়

বৈদ্য,কবিরাজ ঘেটেঘুটে, প্রান বাঁচানো দায়।

হায়রে বোকা চাষীর দল, হওনা হুশিয়ার?

মাঠ বাঁচাতে, ফসল তুলতে, সর্প দমন কর।

দুগ্ধভোজী সর্প কে দে, ইদুর মারার কীট

দুধমাখা ভাত বিড়াল খেলেও, বাড়বে যে হার্টবিট।

বিড়াল ছানা গর্জন করিবে, গত্রে পেলে বল

আজকে সবাই ভেদ ভুলে হায়, সর্প মারি চল।

 

১০

তুমি বীর

 

ভীতু নয় মন তোমার

পিছু কেন টান।

টাকা নয় অভাব তার

সাহস সমাধান।

তুমি বীর ধরো তীর

জাগাও এবার শীর।

বড় বড় কথা বলে

থাকবে কেন চুপ।

দূর্বল পেলে ঝাপ্টে ধরে

আঘাত করো খুব।

বীর হলে সাহস দেখাও

যুদ্ধ করো জয়।

ভীতু হলে বারে বারে

হবে পরাজয়।

তুমি বীর নও ধীর

তুমি ই বঙ্গবীর।

 

১১

ও মাসীমা

 

অন্ধ জাতি বন্ধ নীতি

আমড়া কাঠের ঢেঁকি।

গোরস্থানে চালাইতেছে

ভাটিয়ালি আর পল্লিগীতি।

দাসি বসছে রাজার চেয়ারে

প্রজা পড়িছে ঘুম।

দাসি এবার নিরিবিলি

গাঁজায় দিছে ধুম।

মাসের পরে মাস চলেছে

রক্ত বৃষ্টির স্রোত।

মাসীর বায়না ঘুড়তে যাবে

আছে নাকী ব্রত।

প্রজা পুত্র জোট বেদেছে

ধরেছে মাসীর খাট।

কোথায় যাচ্ছো ও মাসীমা

রাজ্য করে লাট।

যাব আমি কেষ্টপুরে

ব্রত আছে মোর।

আগে গেলেই ফিরব চালু

দেরিতে হবে ভোর।

মাসী তুমি যাও তো বেশ

দাবীর নেইকো শেষ।

সকল দাবী রাখি তবে

ফিরিয়ে দাও মেষ।

 

১২

উপাধি পদকের কবি

 

মহাকবি,শ্রেষ্ঠ লেখক

উপাধি বড় শখ।

লেখক বেশে পাঠকদেরকে

দিচ্ছে কারা ঠক।

বাংলা একাডেমি একুশে পদক

কবির কত দক।

জুলুম কালে সেই কবির

ভুমিকা কেন একক।

জুলুম কালে চুপ থাকিলে

জুলুমবাজ সে হয়।

প্রতিবাদ করেন যিনি

শ্রেষ্ঠ তিনি নিশ্চয়।

কলম ধরো লিখ সত্য

মিথ্যে বর্জন করো।

সত্য লিখে হালালভাবে

পদক অর্জন করো।

উপাধি আর পদক হলে

হয়না তিনি বড়।

বড় হবার আগে তোমার

বিবেক জাগ্রত করো।

 

১৩

একাত্তরের গল্প

 

বাবা বলেছিল ৭১ এ, স্বাধীন হইছে দেশ

আজকে তবে সেই দেশেতে, জুলুম কেন বেশ।

আমি বলি নয়কো স্বাধীন, শকুন করেছিল রেশ

শকুনগুলো খোলস বদলে, দেশটা করছে শেষ।

সেদিন নাকি মিলিটারি, রগু কে, করেছে গুলি

হাতেম আলী রাজাকারে, বলত শেখাবুলি।

আগুন ধরিছে সবুজ গায়ে, উড়িছে ধুলাবালি

রত্নাদীর সেই খড় কুটিরে, পড়িছে লাসের খুলি।

সেদিনের সেই গল্প শুনলে, বুক কাঁপিত খুব

আজকে সবই দেখে চোখে, তবুও কেন চুপ?

শুনেছিলাম হাবু কাকা, ছিলেন গুপ্তচর

পাগল সেজে নিয়ে আসতো, হানাদারের খবর।

আজকে দেখি হাবু কাকার, দরকার নেই ভাই!

গনহত্যা জুলুম সকল, প্রকাশ্য হয় তাই।

শুনেছিলাম রহমত মাষ্টার, প্রতিবাদী ছিল খুব

শিক্ষকের সেই অনুপ্রেরণায়, ছাত্র পেতেছে বুক।

তাহলে কী বাংলাতে আজ, রহমত মাষ্টার নাই?

থাকিলে কী! ছাত্র সমাজ, একাই মরে ভাই।

শুনেছিলাম কে যেন ভাই, পাঠ করত চরমপত্র

চমপত্রে গরম যোদ্ধা, হানাদার হত্যা করত।

তাহলে কী বাংলাতে আজ, পাঠক পাঠিকা নাই?

থাকিলে বলো চরমপত্র, পাঠ হয়না কেন ভাই।

শুনেছিলাম শারমিন আপাকে, তুলেছে রাজাকার

ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতনে, মেতেছে হানাদার।

আজ দেখিলাম ঢাবি তে’ সেই, শারমিন আপার মুখ

স্বৈরাচারীর লাঠিয়াল তার, খাবলে দিছে বুক।

শুনেছিলাম মিলিটিরি খেত, ডাঁশা ডাঁশা পেয়ারা

খেতে, খেতে, বলত নাকী! বহ্যাত আচ্ছা চেহারা।

আজ দেখি পুলিশ কেড়ে, নিচ্ছে আকিকার খাবার

খেতে খেতে বলিতেছে, এসো তুমি আবার।

তাহলে কী! একাত্তরের, রুপ নিবে চব্বিশ?

শাসক নামের, শোষক মোদের’ দিচ্ছে এ কোন বিষ?।

 

১৪

শহীদ তানিয়ার তরে

 

যাক মরে যাক, মরে যাক

কুকুরেরা বেশি খাক।

বাংলা আজ ভরে গেছে

হিংস্র্য পোষ্য কুকুরে।

কুকুরদের কে আদেশ দিচ্ছে

মস্ত বড় শুকুরে।

নপুংসক এক, পুরুষ জাতি

তাকিয়ে দেখছি শুধু।

মেধার উপর রাজত্ব করছে

অবৈধ সন্তান, আধু।

আমার মাথায় লাঠি মার

বুকে আগুন, জ্বলে ছাড়খার।

কী লাভ হবে বেঁচে, আমার

আমার বোনটি, নেই যে আর।

যাদের জন্য, আমার বোনের

প্রানটি গেল ঝড়ে।

তাদের আমি, ঘৃনা করি

আমার প্রানটি ভরে।

তানিয়া নামের, শহীদি বোনটি

ক্ষমা করো মোদের।

আমরা বোন, কাপুরুষ তাই

বাঁচাতে পারিনি তোদের।

তোর মরাতে, দুঃখ পেয়েও

প্রকাশ করে না কেউ।

জানিস রে বোন কথা বললেই

কুকুর করে ঘেউঘেউ।

তোর রক্তের ছিটা আমি

দেব কুকুরের গায়।

কুকুর ঘড়ে ফিরলে যেন

শুকুরে গন্ধ পায়।

ঘড়ে বসে, কুকুর পালে

জন্ম দেয়, পতিতালয়ে

কুকুর গুলো মা,বোন কামরায়

বেহায়া শুকর টা, আরাম পায়।

তানিয়া তুই, রাজাকার হলে

তোর লাশের সুচনায়।

আমার চোখের জলে, এদেশ

ভাসবে আজ বন্যায়।

সেই বন্যায় বৃষ্টি হবে না

জ্বলবে আগুন জ্বলবে।

তুই’তো বোন দেখতে পারি না

তবুও তোর, আত্মাটা যে হাসবে

 

১৫

সাংবাদিক ভাই

 

পৃথিবীর মহান পেশা

সাংবাদিকতা জানি।

তোমরা যদি চুপ থাকো

কী করে বলো মানি।

চরমবার্তা বাংলার খবর

নাম দিয়ে পত্রিকার।

তোমরা কেন চুপ করে আজ

হাতাও পুরস্কার।

ও সাংবাদিক ভাই

সময় কিন্তু নাই।

তোমরা সবাই পরবে ধরা

তিস্তার গেট ছাড়া।

পড়বা কলে ডুববা জলে

টেক্কা টা উল্টালে।

সাহেব মাঝে হরতোন পরলে

ইশকাপান যায় তলে।

কৃষক জেলে উঠলে জেগে

যাবে,তোমরা রসাতলে।

হলুদ সাংবাদিক বড়ই সাংঘাতিক

রং বাহারি ড্রেস।

গাড়ির পেছনে নম্বর প্লেট

নাম লাগাইছো প্রেস।

মহান পেশার, মহান দায়িত্ব

না পারলে, করিতে পালন।

পেপার গুলো পুড়িয়ে ফেলো

মাসিক তাজা দোলন।

 

——————————————-

মোঃ সাগর ইসলাম মিরান

গলাচিপা, পটুয়াখালী, বাংলাদেশ।  

ইচ্ছাশক্তি আইডি নং ০০২০২২০৭৯২

——————————————-

 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park