গ্রামের এক যুবক ছিলো নাম শাহরিয়ার সোহান। ছোটবেলা থেকেই তার মন ছিলো দুষ্টুমি আর খেলাধুলায় ভরা। নামাজ-রোজা, কুরআন—এসব তার কাছে ছিলো দূরের ব্যাপার। বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডা, গান-বাজনা, মোবাইল—এসবেই সে বেশি সময় কাটাতো।
একদিন হঠাৎ তার জীবনে ঘটে গেলো বড় পরিবর্তন। গ্রামের পাশেই এক সড়ক দুর্ঘটনায় তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মারা যায়। বন্ধুর জানাজায় গিয়ে সে প্রথমবার গভীরভাবে মৃত্যুর কথা ভাবতে শুরু করে। মনে হলো—”আজ সে গেছে, কাল তো আমিও যেতে পারি!”
সেই রাতেই ঘুমাতে গিয়ে সে অস্থির হয়ে উঠলো। চারপাশ অন্ধকার, কিন্তু অন্তরের ভেতরে এক অদ্ভুত আলো জ্বলে উঠলো। সে আল্লাহর সামনে হাত তুলে বললোঃ
“হে আল্লাহ! আমি পথ হারিয়ে ফেলেছি, আমাকে সঠিক পথে ফিরিয়ে নাও। আমাকে হেদায়েত দাও।”
এরপর থেকে তার জীবন বদলে যেতে শুরু করলো। ধীরে ধীরে সে নামাজ শুরু করলো, মসজিদে যেতে শুরু করলো। একদিন ইমাম সাহেব তাকে বললেনঃ
“হেদায়েত এমন এক আলো, যেটা আল্লাহ যার হৃদয়ে দেন, সে-ই তা পায়। তুমি যদি আন্তরিক হও, আল্লাহ কখনো তোমাকে ফিরিয়ে দেবেন না।”
সোহান এরপর নিয়মিত কুরআন পড়তে লাগলো। কুরআনের আয়াতগুলো তার মনে এক নতুন শক্তি জাগালো। সে বুঝতে পারলো—ইসলাম শুধু নামাজ-রোজার ধর্ম নয়, এটা জীবনকে সুন্দর করার পূর্ণ দিশা।
আজ গ্রামের মানুষ তাকে দেখে অবাক হয়। যে ছেলেটি আগে গান-বাজনা, আড্ডায় ডুবে থাকতো, এখন সে ভোরে মসজিদের আযান দেয়, ছোটদের কুরআন শেখায়, আর নিজের জীবনে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দেয়।
গল্পের শিক্ষা: