জীবনের গল্প আসলে এক বিশাল ক্যানভাস, যেখানে প্রতিটি দিন একটি নতুন রং যোগ করে। কেউ হয়তো শহরের কোলাহলে জীবন শুরু করে, আবার কেউ গ্রামে প্রকৃতির সান্নিধ্যে। প্রতিটি জীবন আলাদা, প্রতিটি গল্পের নিজস্ব সৌন্দর্য।
একটা ছোট্ট শহরে মায়া নামের একটি মেয়ে ছিল। ছোটবেলা থেকেই মায়ার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে একজন শিক্ষক হবে। তার বাবা ছিলেন ছোট্ট এক দোকানের মালিক, আর মা ছিলেন ঘরের গৃহিণী। তারা খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন, কিন্তু মায়ার পড়াশোনার জন্য কখনো কোনো কিছুর কমতি রাখেননি।
মায়া যখন স্কুলে পড়ত, তখন সে দেখত, গ্রামের অনেক বাচ্চা ঠিকমতো স্কুলে আসে না। কারণ তাদের বাবা-মায়েরা তাদের কাজে লাগাতেন। এই বিষয়টা মায়ার মনকে নাড়া দিত। সে ভাবত, “একদিন এমন কিছু করব, যাতে এই শিশুদের ভবিষ্যৎ পাল্টে যায়।”
দিনগুলো কেটে গেল। মায়া পড়াশোনা শেষ করে একজন স্কুল শিক্ষিকা হলো। কিন্তু সে শহরে চাকরি না করে নিজের গ্রামে ফিরে এল। গ্রামে ফিরে সে একটি ছোট স্কুল চালু করল, যেখানে শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষা দেওয়া শুরু করল। তার প্রচেষ্টায় গ্রামের অনেক বাবা-মা বুঝতে পারল শিক্ষার মূল্য।
ধীরে ধীরে মায়ার স্কুল বড় হতে লাগল। একসময় গ্রামের ছোট ছেলেমেয়েরা শুধু লেখাপড়া শিখে নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতেই শুরু করল না, তারা তাদের পরিবারকেও নতুনভাবে বাঁচতে শিখিয়ে দিল।
মায়ার জীবন ছিল সাধারন, কিন্তু তার ইচ্ছাশক্তি আর ভালোবাসা অসাধারণ। সে প্রমাণ করল, জীবনের গল্প বড় হতে হলে হৃদয়ও বড় হতে হয়।
—মোছাঃ সাথী খাতুন