লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় গত কয়েকদিন থেকে বেড়েছে শীত ও কুয়াশা। পড়ছে শিশির কণা,বইছে হিমালয় থেকে আসা হিমেল হাওয়া। প্রকৃতির রূপকে যেন কুয়াশা চাদর দিয়ে ঘিরে রেখেছে। মাঝে মধ্যে বইছে হিমালয় অঞ্চল থেকে আসা হিমেল হাওয়া। সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। অল্প সময়ের জন্য উঁকি দিয়ে আবার হারিয়ে যাচ্ছে। এই উপজেলাটি হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় প্রত্যেক বছর ব্যাপক পরিমাণে ঠান্ডা হয়৷ অগ্রহায়ণ মাস শেষ হতে না হতেই বেড়েছে শীত কুয়াশার দাপট। গত ৯ ডিসেম্বর সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। আকাশ ছিল মেঘলা মনে হয় বৃষ্টি আসবে।
কুয়াশা এমন ভাবে ঢেকে নিয়েছে যে গাছ পালা পশু পাখি রাস্তা ঘাট দিয়ে চলার পথে কাছাকাছি মানুষজনকেও দেখা যাচ্ছে না। রাস্তা ঘাটে যানবাহন চলছে খুবই ধীর গতিতে। ছোট বড় সকল যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছে। শীত বাড়ার পাশাপাশি কষ্টে ও ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের সকল মানুষ।
কয়েকটি স্থান ঘুরে মানুষের কাছে শোনা যায় কন না বাহে সন্ধ্যা হইতে খালি খালি ঠান্ডা নাগে। যে কুয়াশা হইছে ঠান্ডায় ঘর থেকে বেড়ায় যায় না। হামরা তো সারাদিন লেপ কম্বল কেতা গায় দিয়া তো বেরের পাই না। যদি একনা বেড়াই তাহলে আগুন জ্বালিয়ে বসি তবুও সকাল হলে পেটটার জন্যে কামাইয়ের জন্য যাওয়ায় নাগে। পাঁচ দশ হাত পর সামনের কোনো কিছুকেই দেখা যাচ্ছে না। সন্ধ্যার পরপরই অন্ধকারের মতো ধেয়ে আসছে কুয়াশা। রাতের বেলা তো টিনের চালে বৃষ্টির মতো টিপটিপ করে পড়ছে শিশির কণা।
এদিকে শীতের প্রকোপের পাশাপাশি বেড়েছে গরম কাপড় কেনার ধুম। শীত বাড়ার পাশাপাশি ধুম বেড়েছে গরম কাপড়ের তবে দেখা দোকানের চেয়ে ব্যাপক ভীড় জমেছে ফুটপাতের ছোট খাটো দোকানগুলোতে। কাপড় ব্যবসায়ীরা বলেছেন শীতের কাপড়ের খুবই চাহিদা বেড়েছে। মোটামুটি শীতের কাপড়ের ব্যবসা ভালোই চলছে।