1. admin@ichchashakti.com : admin :
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

হরিনগর-পুটিয়া নদীর বাঁধ ভাঙার নেপথ্যের কালো ছায়া

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৪২ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

মুহাম্মদ আয়ুব খান, জামালগন্জ প্রতিনিধি 

 

হাওর মানেই নদী, আর নদীর সাথে বাঁধ। সেই বাঁধ এখন রক্ষাকবচ নয়, বরং অনিয়ম ও দুর্নীতির শিকড়।

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের হরিনগর–পুঠিয়া নদীর বাঁধ ঘিরে দীর্ঘদিনের এক গোপন রহস্য ধীরে ধীরে উন্মোচিত হচ্ছে।

 

বর্ষা মৌসুমে হাওরে দেখা যায় নিষিদ্ধ জালের আধিপত্য — কোনাজাল, বড় জাল, কারেন্ট জাল ইত্যাদি ব্যবহার করে নির্বিচারে ধরা হচ্ছে ডিমওয়ালা মাছ ও পোনা। এতে হাওরের দেশি মাছ এখন বিলুপ্তির পথে। এর পেছনে রয়েছে ক্ষমতাশালী ইজারাদার চক্র।

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘সোনার বাংলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি’ নামক মূল ইজারাদার তাদের ইজারাকৃত মৌজা ছাড়িয়ে বৌউলাই নদীও দখল করে রেখেছে। প্রতি বছর সাব-ইজারা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছে তারা। গ্রামবাসী কেউ ২,০০০ টাকা চাঁদা না দিলে নদীতে মাছ ধরতে পারে না।

 

মাছ ধরা নয়, বাঁধ কেটেই চলছে “ব্যবসা”।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল উদ্দীন জানান, প্রভাবশালী ইজারাদার সাব-ইজারাদার সমন ও তার লোকজন পরিকল্পিতভাবে বাঁধ কেটে দেয়। এতে একদিকে হাওরের পানি নিষ্কাশনের সমস্যা তৈরি হয়, অন্যদিকে বালু ও কৈলের কারণে কৃষিজমি অকৃষিতে পরিণত হচ্ছে।

 

ইউপি সদস্য আরও জানান, হরিনগর নদী খননের জন্য ব্যয়  হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ টাকা। এবং বাঁধ পুনঃ নির্মাণ কাজে প্রতি বছর সরকারের পি আই সি কাজে এ বাঁধে ব্যয় হয় ২৫ লক্ষ টাকা। তারপরও বাঁধ রক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ার কারন একমাত্র  ইজারাদার।  চাপিলা, মখা, ছাদা রকমারি ছোট মাছগুলো ধরার জন্য বাঁধ কেটে স্রোতের মুখে জাল ধরা হয়।

 

ক্ষতিগ্রস্তদের কণ্ঠে হতাশা:

কোনারহাটির ইউনুস মিয়া বলেন, “আমার দুই একর জমি এখন আর চাষযোগ্য না। ধান হয় না, শুধু বালু জমে থাকে।”

 

হরিনগর, পুটিয়া, বাগানি, রাজাপুর, ইনাতনগর, গোপালপুর ও নিতাইহাটির লোকজন একযোগে দাবি করেছেন —

  •  এই নদীর ইজারা বাতিল করতে হবে।
  •  বাঁধে স্থায়ীভাবে একটি সুইস গেট নির্মাণ করতে হবে।
  •  হাওরের ফসল রক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park