1. admin@ichchashakti.com : admin :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

সৈনিক জীবন — মোহাম্মদ ফয়সাল

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫
  • ২৪৭ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

সৈনিক জীবন

মোহাম্মদ ফয়সাল

 

দুর্গম গিরি কান্তার-মরু দুস্তর পারাবার  হে,লঙ্ঘিত হবে রাত্রিতে নিশীথে যাত্রিরা হুঁশিয়ার। বিদ্রোহ কবি

কাজী নজরুল ইসলামের লিখা এই কবিতার লাইনের মতো আমার সৈনিক জীবন প্রতিটি স্মৃথি বিজডিত।

সৈনিকদের গল্প গুলো পাঁচ তালা আলিশান ফ্লাট হতে শুরু হয় না। একজন সৈনিকের গল্প গুলো শুরু হয়  শীতের মাঝ রাতে কনকনে ঠান্ডা আর কুয়াশা আবরনে দাঁড়িয়ে–ডিউটিরত আবস্থায়।সৈনিকের  গল্প গুলো কেউ লিখে না কিনবা লিখতে পারে না কারন সৈনিকের গল্পে মুগ্ধ হওয়ার কিছু নেই।আশ্চর্য হবেন না! যেনে  তারা নিন্ম মধ্যবৃত্ত পরিবার হতে উঠে আসে।কেউ চিন্তাও করতে পারে না সৈনিকদের  মনটা কত বড।সৈনিক কোন কিছু চিন্তা না কেরে  নিজের স্বর্থকে বিশর্জন দিয়ে দেশের স্বর্থ রক্ষাত্তে নিজের জীবনটা শুধু দেশের নামে লিখে দেয়।তারা নিজের সব সুখ বাদ দিয়ে পরিবারের সুখের জন্য জীবনটা লিখে দে পরিবারের নামেও”!!একজন সৈনিজ সময় দেয় দেশকে আর আর্থ দেয় তার পরিবারকে।।

 

সৈনিকদের নিজের বলতে কিছু নেই কিনবা কিছু হয় না। তারা পরিবারের চাহিদা পূরন করতর করতে নিজের চাহিদা টার কথাই ভুলে যায়। তারা জীবনে কত আজস্র মাইল পায়ে হেঁটেছে তার কোন হিসাব নেই। কিন্তু ১০০ কদম দুরে থাকা সুখ পযন্তা তারা পৌঁছাতে পারে না।একটা সৈনিকের জীবন টা হচ্চে সংরক্ষিত আবদ্ধ কাটা তারের খোঁছা খেতে খেতে শেষ হয়ে যায়। যা কখনো বুঝতে কিনবা অনুভব করতে পারে না।কি আজব তাই না যারা দেশের স্বাধিনতার জন্য লড়ে জীবন বিলিয়ে দে তাদের স্বাধিনতার গন্ডিটা কত ছোট।ডিউট পোষ্ট থেকে ৫ কদম সামনের খোলা স্থানটাতেও যেতে পারে না। প্রত্যেকটা সৈনিকের কষ্টো লুকানো হাসি মুখটা দেখেছেন

 

কিন্তু কখনো কেউ মনের ভিতরে কষ্ট লুকানো মলিন মুখটা দেখে নি।হয়তো সেই দিন তার বোনের বিয়ে ছিলো কিনবা তারা জীবনের সাথে জডিয়ে থাকা মানুষটি চরতরে হারিয়ে গিয়ে ছিলো সে তো কাজের জন্য ছুটি পাইনি।তখন তারা কষ্ট গুলো লুকাতে  হাসি মুখে থাকে যাতে কেউ বুঝতে না পারে।১৬ ডিসেম্বরে জাতীয় কুচকাওয়াজ দেখে সবাই তো মুগ্ধ হয়।কিন্তু কেউ তো আর জানেনা এই ড্রিল মিলাতে প্রতিটি সৈনিককে দিনরাত  ১৮ ঘন্টা ধরে নিংডানো হয়েছে।

 

বডারে গোলাগুলির খবর শুনর তো সবাই গরম হয়েছেন নতুন দৃশ্যের অবতারনায়  দ।আর তখন  বলতে থাকে সৈনিকরা কি করচে তাদের কেন বসিয়ে রাখচে।কিন্তু জানেন না সে সময় ডিউটি রত আবস্থাতে থাকা সৈনিকের কানের পাশে কেটে যাওয়া বুলেটের শো শো  আতঙ্কিত বাতাশের প্রবার কতটা ভয়ানক।সবাই তো বলেন সৈনিক রা আনস্মার্ট গেও মাটিকাটা সৈকিদের দেখে বিরক্ত হন।কুচকে যাওয়া শার্ট বেডক আকৃতির পেন্ট ইন করা দেখে সবাই তো তখন মুচকি মুকচি হাসেন।কিন্তু কখনো নি বুঝচেন কিনবা বুঝার চেষ্টা করেচেন আপনার শরিরে যে পোশাকটি জডিয়ে আছে তাতেও প্রতিটা সৈনিকের কৃতিত্বটা জড়িয়ে আছে তা কি কখনো অনুভব করচেন।কখনো কি অনুভব করেচেন দেশের সৈনিকরা না থাকলে কবেই কাপনাের সাদা কাপডে কবরে শুয়ে থাকতেন।হোটেলের বাহিরে তাদের বুবুক্ষের মতো খেতে দেখলে লজ্জাহিন হাসি দিয়ে দিয়ে মুখ ফিরিয়ে নেন।কিন্তু জানেন কি সেই সৈনিকটাই ১ মাস পর টাটকা খাবার খেলো  কেন জানেন কারন দুর্গম পাহাডি এলাকাতে তো আর টাটকা খাাবার পায়না তারা। তারা সেখানে মাসের পর মাস ডিউটি করে ফ্রিজিং করা খাবার টা খেয়ে। কখনো যদি আপনাকে এই খাবার দেওয়া হয় আপনি খেতে পারবেন তো নিজেকে একবার প্রশ্ন করে দেখবেন।কয়টি টাকা বাচানোর জন্য দোকানদারের সাথে দামাদামি করতে দেখলে ভাবতে পারেন কত ছোট লোকরে বাবা।কিন্তু আপনি তো জানেন না তারা শরিরের ঘাম আল্প কিছু বৈইধ বেতনের টাকাতে আবদ্ধ।এতে তাকে চালাতে হয় তার বাবা মা স্ত্রী সন্তান সন্তানদের ভরণপোষণ পডাশোনা বাসা ভাডা সবার খারাবের ব্যাবস্থা করে কিভাবে চলতে হয় কখনো কি একবার কল্পনা করে দেখেচেন দেখননিতো। ১০ টাকা রিক্সা ভাডা বাঁচাতেসে প্রতিটি সৈনিক প্রতিদিন পায়ে হেটে চলে।মাঝরাতে যখন আপনি কম্বলের নিচে আরেকটু গুটি মেরে শুয়ে থাকেন–তখন সৈনিকরা ঘুম থেকে উটে পায়ে বুট পরে চলে যায় ডিউটি করতে যারে আপনারে ভালোভাবে ঘুমাতে পারেন। সৈনিক তো জানে সে ঘুমালে চলবে না কারন তার দেশ ও দেশের মানুষকে ঘুমানোর ব্যাবস্থা করে দিতে হবে।

 

গরমের দিনে আপনি এসি ছেরে দিয়ে কলেয় জালিয়ে মশারি টানিয়েও বলেনকত মশা।আর একজন সৈনিক তখন ঝোপের পাশে দাঁডিয়ে দাঁডিয়ে অযস্ত্র মশার কমড শয্য করতে হয় তাকে টানা ২/৪ ঘন্টা কাটিয়ে দিচ্চে তাতে কোন কষ্ট হয়না তার। কারন তো চিন্তুা করে এটা তো আমার দায়িত্ব।সবচেয়ে অভাক করা বিষয় কি জানেন একজন সৈনিক তো সবাইকে নিরাপত্তা দেন কিন্তু আপনি জনেন কি তার জীবনের কিন্তুু কোন নিরাপত্তা নাই।সময় অসময়ে কর্ম সম্পাদনের দুর্ঘটনা শত্রুপক্ষের একটি বুটেল এসে যে কখন জিবন প্রবাহ নিভিয়ে দিয়ে যায় সেই চিন্তা সৈনিকদের অন্তের ককনো থাকে না।সন্ধ্যা হতে শুরু করে ভোর পযন্ত বাঙ্কার আর ট্রেন্স তৈরি করার পর ২০ কিঃমিঃ পায়ে হেঁটে মহরা দিতে হয় সেটা আপনারা কি করে বুঝবেন আপনার তো কখনো ১ কিঃমি কখনো হাটেন নি।তখন তো প্রতিটি সৈনিকের পরতে পরতে ক্লান্তি থাকে রোমান্টিকতা আসবে কোথায় থেকে?এটাই হলো সৈনিক জীবন।বেলা শেষে যখন আপনি প্রিয় মানুষের সাথে দেখা করে আড্ডা দিয়ে ফিরেন!সৈনিকরা তখন সারা শরিরে লেগে থাকা ঘামকে শাওয়ারের নিছে দাঁড়িয়ে পরিষ্কারে ব্যাস্ত থাকেন।কথার ছলে একটি কথা সৈনিকরা প্রায় বলে থাকে তাদের পা নাকি প্রতিদিন আল্লাহর কাছে প্রর্থনা করে বলে আর যদব পুনর্জন্ম জয় তাহলে আমাকে কখনো সৈনিকের হাঁটুর নিচে যোগ করে দিও না।হাজার হাজর পোসকা পডে গোলে গিয়ে শক্ত হয়ে যাওয়া পা গুলি দেখে আপনার মনে প্রেম আসবে না।প্রতিটি সৈনিকের জীবনেরও গল্প আছে কিন্তু কি জানেন এতটা ব্যাস্তার কষাঘাতে সেগুলিধুসর অন্ধকার হয়ে যায়।

 

প্রতিটি সৈনিক কেকতটা সংকির্ণতা নিতে  বাঁচতে হয় সেটি হয়তো  আপনার কল্পনার বাহিরে যা আপনার কল্পনাকেও হার মানতে বাধ্য করবে।সৈনিকরা প্রতিদিন মারা যায় তাদের ভিতরে। তার বুকের রক্তক্ষরন কেউ বুঝবে না কখনো অনুভব কিনবা কল্পনাও করতে পারবে না।তার সাক্ষী হলো তার একাকৃত্ব।পরিবার ওপ্রিয় মানুষ গুলোকে ছেডে থাকতে হয় তাকে। সেটি তো বুঝবেন না করাণ আপনারা তো সেই সব দৃশ্যর সম্মুখিন হন নি। সৈনিকের ইউনিফর্মের যৌলসে তো মুগ্ধ হন সবাই।  কিন্তু তার নিচে যে প্রান আছে সেটাকে কেউ বুঝতে পারে না।বুঝতে পারে না তার ভিতর লুকিয়ে থাকা কত শত কষ্ট দুঃখআর অভিমান।সব্যা জন্ম হওয়া সন্কাকেও পর  ৩ মাসের পরে সুযোগ হয় তার সন্তাকে  দেখতে পারার।কিছু লিখা কখনো কখনো গুছিয়ে প্রকাশ করা যায় না আমিও এই লিখা গুলো তেমন গুলিয়ে প্রকাশ করতে পারি নাই।এত বছর ধরে নিজের মনের ডাইরিতে লিখেছি। কিন্তু তাও গুলিয়ে রাখতে পারিনাি কিনবা গুছিয়ে লিখতে পারি নি।এলোমেলো হয়ে যায় কিছু লেখার ভিতরে অমিলটাও তার সৈান্দর্য। ছুটি শেষে ব্যাগ কাধে ফিরে ফিরে দেখা দাঁডিয়ে থাকা তার প্রিয় মানুষটির মুখ আত্মতখন একাকৃত্ব শারিরিক ও মানসিক যন্ত্রনা।এটাই সৈনিকের নৃত্য সঙ্গি যা কখনো কাওকে বলে বুঝাতে পারবো না। এত কিছুর পরেরও আমরা গর্বিত।কারন কোন বাধাই আমাদের গৌরবকে মলিন করতে পারে না।আমরা দুর্বার আমরা যোদ্ধা কাদামাটি আর স্বল্প বারুদের ক্ষতবিক্ষত পা নিয়ে আদরা চলমান। আমাদের সাথে ভোর চলে সুর্যাস্তের সন্ধানে।আর স্যান্ধা চলে সুর্যদয়ের অপেক্ষায় পথে পথে রাস্তায় রাস্তায় পাঁয়ে পাঁয়ে হেঁটে যাই আমরা যে ভাই পথের পথিক পথ ছেডে কোথায় যায়।নেইকো রথ ক্লান্ত পাজুগুল সময় ফুরোলো পথে ঘাটে পাথার ভাঙছি অবেলা আধিবেলা।কুড়িয়েছি ধুলো স্বপ্ন চতুর ছায়া।নদীর উপর কণ্ঠ চেয়ে ফিরেছি হাওয়ায় ফিরেছি ধুলো প্রলয়ে ডাকা বালুঝডড়ে।আশায় দ্বিপ জেলে জেগেছি  বুকের দির্ঘশ্বাস চেপে রেখেচি আয়ত্বপক্ষে।ছুটি শেষে আসার সময় ছেয়ে দেখেচি প্রিয় জনের অশ্রুসজল চোখ।তাইতো আমরা সিভিল সমাজের কুটচাল বুঝিনা।বুঝিনা  ছলছাতরা ঠিকবাটপারি, জানিনা প্রতারণা, করতে পারি না বাহানা।রাজনীতির ছলাকালা সম্পর্কে অজানা।স্বর্থের বেডাজালেও ন্যায় নিতিকে ভুলিনা।  এটাই তো হলো আমাদের সৈনিকদের মূল।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park