1. admin@ichchashakti.com : admin :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

সেলিমপুর জ্ঞানের আলো পাঠাগার

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২৪৬ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

“সেলিমপুর জ্ঞানের আলো পাঠাগার”

অবস্থান: সেলিমপুর গ্রাম, বাটামারা ইউনিয়ন, মুলাদী থানা, বরিশাল জেলা

প্রতিষ্ঠার তারিখ: ০৫ মে, ২০১৬

প্রতিষ্ঠাতা: জনাব আজমুল জিহাদ, সভাপতি, জাগ্রত বাংলাদেশ এবং মোঃ শামসুদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক, জাগ্রত বাংলাদেশ

স্থান: সেলিমপুর বাজার লাইব্রেরি ভবন, কক্ষ নং ১০১

পাঠাগারে বইয়ের সংখ্যাঃ ৩০০০ (প্রায়)

 

পাঠাগারের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যঃ

২০১৬ সালের ৫ মে সেলিমপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত “জ্ঞানের আলো পাঠাগার” একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। এর লক্ষ্য হলো সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া এবং তরুণ প্রজন্মকে মুক্তচিন্তার পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বিশেষ করে তরুণরা যাতে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতার পরিসর বাড়াতে পারে এবং একটি প্রগতিশীল চিন্তাচর্চার সাথে সংযুক্ত হতে পারে, তার জন্য পাঠাগারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু বই পড়া নয়, বরং জ্ঞানচর্চার এক বিশাল পরিসরে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের গড়ে তুলছে।

 

সাংগঠনিক কাঠামো ও নেতৃত্বঃ

“জ্ঞানের আলো পাঠাগার” এর নেতৃত্বে রয়েছেন কিছু উদ্যমী এবং সমাজসচেতন ব্যক্তি, যারা সমাজে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে নিজেদের নিয়োজিত করেছেন। সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন জনাব আজমুল জিহাদ, যিনি জাগ্রত বাংলাদেশের সভাপতি এবং সমাজকল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোঃ শামসুদ্দিন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে কয়েকজন শিক্ষার্থী সেচ্ছাসেবী সদস্য যারা নিয়মিতভাবে পাঠাগারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সহায়তা করে থাকেন। শিক্ষার্থী সেচ্ছাসেবী সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন মোঃ মেহেদী হাসান সাব্বির, একজন প্রতিশ্রুতিশীল অর্থাৎ উদীয়মান  লেখক ও কবি এবং সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন মোঃ জিহাদ হোসেন। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন মোঃ সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাহিদ হাসান এবং পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী সেচ্ছাসেবী সদস্য হিসেবে আছেন মোঃ শাহাদাত হোসেন সাব্বির (ডুবাই প্রবাসী) এবং মোঃ মাহাদী হাসান (কুয়েত প্রবাসী)। এরা সকলেই পাঠাগারের প্রতিটি কার্যক্রমকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

 

সাপ্তাহিক পাঠচক্র ও সাহিত্যিক কার্যক্রমঃ

“জ্ঞানের আলো পাঠাগার” এ সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে বিভিন্ন বিষয়ের উপর পাঠচক্রের আয়োজন করা হয়। যেখানে অংশগ্রহণকারীরা নতুন কিছু শিখতে পারেন এবং জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে পারেন। এই পাঠচক্রে আলোচনা করা হয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে, যেমন বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি। পাঠচক্রে অংশগ্রহণকারীরা নির্বাচিত বিষয়ের উপর নিজেদের মতামত এবং ধারণা বিনিময় করেন যা তাদের চিন্তা এবং জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে। নতুন প্রজন্মকে পাঠ্যবইয়ের বাইরে বিভিন্ন বিষয়ের সাথে পরিচিত করানোর মাধ্যমে তাদের মধ্যে জ্ঞান এবং দক্ষতার পরিসর বাড়ানো হয়। বর্তমানে ৪২৪ তম পাঠচক্র চলছে  এবং ২৪ সংখ্যা ম্যাগাজিন ও ২৪ তম সংখ্যা প্রকাশন চলছে।

পাঠাগারে নবীন লেখকদের জন্যও একটি বিশেষ আয়োজন রয়েছে। এখানে তারা তাদের লেখা কবিতা, ছোট গল্প, উপন্যাস, নাটক, ভ্রমণ কাহিনি, কৌতুক রম্য রচনা পাঠ এবং আলোচনার সুযোগ পান। এতে নবীন লেখকরা তাদের প্রতিভা প্রকাশের মঞ্চ পান এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শে নিজেদের সাহিত্যচর্চাকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারেন। এসব সাহিত্যিক কর্মশালা, পাঠচক্র এবং সাহিত্য আড্ডা নবীন লেখকদের অনুপ্রাণিত করে এবং তাদের লেখনীকে উন্নত করে।

 

সদস্য সংখ্যা ও পাঠাগারের প্রসারঃ

বর্তমানে “জ্ঞানের আলো পাঠাগার” এ প্রায় ২০০০ এর বেশি শিক্ষার্থী নিবন্ধিত সদস্য হিসেবে রয়েছেন, যারা নিয়মিত পাঠাগারের বিভিন্ন সেবাগ্রহণ করছেন। সদস্যদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন বয়সের এবং পেশার মানুষ, যারা এ পাঠাগারকে মেধা বিকাশের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছেন। পাঠাগারটি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে জ্ঞানের প্রতি আগ্রহ এবং পাঠ্যাভ্যাস গড়ে তুলেছে। তরুণদের মধ্যে একে জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে এই পাঠাগারটি অনেক অবদান রাখছে। পাঠাগারের মাধ্যমে তাদের চিন্তাশক্তি এবং সৃজনশীলতাকে বিকশিত করার জন্য একটি অনন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে।

 

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও প্রেক্ষাপটঃ

সেলিমপুরের এই পাঠাগারটি জনাব আজমুল জিহাদের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়। পাঠাগারের ইতিহাসের সাথে যুক্ত রয়েছে সেই স্বপ্ন যা সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের কাছে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। এটির প্রতিষ্ঠাতা ও সদস্যরা একসাথে মিলে সমাজের মেধাবিকাশ এবং জ্ঞানের আলোকে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে একটি কেন্দ্র তৈরি করেন। পাঠাগারটি প্রথমে একটি ছোট কক্ষে শুরু হয়েছিল, তবে আজ এটি সেলিমপুর গ্রামে শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

 

একটি কেন্দ্রীয় শিক্ষামূলক ও সৃজনশীলতার কেন্দ্রঃ

“জ্ঞানের আলো পাঠাগার” শুধুমাত্র একটি বইয়ের পাঠাগার নয়; এটি একটি সৃজনশীল মঞ্চ যেখানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা এবং মতবিনিময়ের মাধ্যমে মানুষের চিন্তার বিকাশ ঘটে। এখানে শুধু বই পড়া নয়, বরং আলোচনা, মতবিনিময়, এবং বিভিন্ন সাহিত্য আসরের আয়োজন করা হয়, যা সমাজের তরুণ প্রজন্মকে মুক্ত চিন্তায় উদ্বুদ্ধ করে। সেলিমপুর বাজারের লাইব্রেরি ভবনের কক্ষ নং ১০১-এ স্থাপিত এই পাঠাগারটি বর্তমান প্রজন্মের জন্য একটি জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে।

 

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও লক্ষ্যমাত্রাঃ

আজমুল জিহাদ এবং মোঃ শামসুদ্দিনের নেতৃত্বে, “জ্ঞানের আলো পাঠাগার” এর প্রতিষ্ঠাতা ও সদস্যরা প্রতিটি ইউনিয়নে এই পাঠাগারের শাখা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছেন। তাদের লক্ষ্য হলো দেশের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা। ভবিষ্যতে, পাঠাগারটি বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগেও অংশগ্রহণ করবেl এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে শিক্ষা, সংস্কৃতি, এবং মুক্ত চিন্তার বিকাশ ঘটানোর মাধ্যমে একটি উন্নত সমাজ গড়ে তোলার পথে এগিয়ে যাবে।

 

পাঠাগারের ভূমিকা ও অবদানঃ

“জ্ঞানের আলো পাঠাগার” সেলিমপুর অঞ্চলের মানুষের মধ্যে জ্ঞান, চিন্তা, এবং সৃজনশীলতার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। এটি প্রতিদিন অসংখ্য শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের জন্য একটি জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। সদস্যরা বই পড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে যা তাদের জ্ঞানের পরিসর বৃদ্ধি করে এবং সামাজিক চেতনা গড়ে তুলতে সহায়তা করে।

বর্তমানে “জ্ঞানের আলো পাঠাগার” সেলিমপুরের একটি প্রেরণা হিসেবে গণ্য হচ্ছে এবং এটি ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে সমাজের সকল স্তরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়।

 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park