1. admin@ichchashakti.com : admin :
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

সীমার মাঝে অসীম তুমি — জাকির আলম

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৫৮ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

তোমার হাত ধরেই আমার লেখালেখির হাতেখড়ি। তুমি আমার জীবনে না এলে হয়তো কোনোদিন আমি লেখক হতে পারতাম না। তুমি আমার জীবনে আসার পর থেকে লেখালেখির সাথে আমি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছি। তুমি আমার এমন একজন মানুষ, যাকে এতো ভালোবাসার পরেও আমার মন ভরে না। মন চায় আরো বেশি তোমাকে ভালোবাসতে। তোমাকে ভালোবাসার পিপাসা অনেক গভীরতম। যা কোনো ভাবে নিবারণ করতে পারিনা। তুমি আমার অসম্ভব প্রিয় একজন মানুষ।

 

যাকে আমার মাথার মুকুট বানিয়ে রেখেছি। তোমাকে ঘিরেই আমার যতো পরিপূর্ণতা। তুমি আছো বলেই হৃদয়ের সবটুকু ভালোবাসা আমি দিয়ে কবিতা,গল্প লিখতে পারি। আমি যখন দশম শ্রেণীতে পড়ি, তখন থেকেই তোমার সাথে আমার পথ চলা শুরু। তুমি আমার সহপাঠী ছিলে বলেই তোমার এতোটা কাছাকাছি আমি আসতে পেরেছিলাম। যদিও শুরুর দিকে আমাকে তুমি এড়িয়ে চলতে। সহজে কথা বলতে চাইতে না৷ কিন্তু সময়ের ব্যবধানে অনেক সাধনার পর তোমাকে কাছে পেয়েছি। তারপর থেকে মাঝেমাঝেই তোমার বাসার বেলকনিতে বসে তোমার সাথে গল্প কথায় কাটিয়ে দিয়েছি কতো না বিকেল !  কখনো বা রাত হয়ে যেত তোমার সাথে গল্প করতে করতে। তখন সময় কিভাবে চলে যেত বুঝতেই পারতাম না। তুমি পাশে থাকলেই মনে হতো স্বর্গ আমার হাতের মুঠোয়। কতোদিন  তোমার হাতে রান্না করা কতো না মুখরোচক খাবার খেয়েছি ! তোমার হাতে হাত রেখে কল্পনার মাঝে দূর পৃথিবীতে কখনোবা হারিয়ে গেছি। তোমার আমার ভালোবাসার সম্পর্ক তোমার মা খুব সহজেই মেনে নিয়েছিলো৷ সেজন্য তোমার মা বাসায় গেলেই আমাকে অনেক আদর করতো। দু’দিন তোমার বাসায় না গেলেই তোমার মা আমার উপর রাগ করতো।

 

তোমাকে কাছে পেয়ে এতোটা সুখী হবো কোনোদিন ভাবতে পারিনি। সোনার চামচ মুখে নিয়ে তোমার জন্ম হয়েছে বিধায় বাবা-মায়ের অনেক আদরের মধ্যে তুমি বড় হয়েছো। তার কিছুটা নির্যাস আমিও পেয়েছিলাম তোমাকে কাছে পেয়ে। আমার ভাবনার সবটা জুড়ে তোমার বসবাস। প্রতিদিন তোমাকে নতুন উদ্যমে ভালোবাসি। তোমার কােলে মাথা রেখে গভীর সুখের মাঝে ঘুমিয়ে পড়ি। তোমার মায়াবী চোখের চাহনি দেখে কেটে গেছে আমার আনীত সময়। তোমার তুলতুলে নরম গালের বিন্দু বিন্দু শিশির কণা মেখে নিয়েছি আমার শরীর জুড়ে। তোমাকে বিয়ে করার প্রথম রাত ছিলো অনেক আনন্দের।

 

ফুলশয্যা রাতে তোমাকে খুব কাছে পাওয়ার খুশিতে ঘুম আসেনি দু’চোখের পাতায়। সারা রাত জেগে থেকে তোমার বাহুবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কেটে গেছে আমার স্বপ্নের রাত। তোমাকে প্রথম স্পর্শ করতেই শিহরণে কেঁপেছে আমার কলেবর। সে রাতে তোমার মুখ থেকে ঘোমটা সরাতেই লজ্জায় তুমিও নিস্তেজ হয়েছিলে আমার বুকের পাঁজরে। এভাবেই চলতে চলতে কেটে গেলো কয়েক বছর। এখনো তুমি প্রাণবন্ত উচ্ছ্বল এক মানবী। যাকে দেখলেই গভীর মায়ায় সমুদ্র সাঁতরাই। তোমার ঠোঁটে হাসি দেখলেই ভুলে যাই হাজারো কষ্ট। সত্যি বলতে তোমার ভালোবাসার কাছে পৃথিবীর সবকিছুই বেমানান। তুমি আছো বলেই নতুন করে বাঁচার শক্তি খুঁজে পাই। এক জীবনে তোমাকে পেয়ে লক্ষ জনমের সাধ মিটে গেছে। মন চায় হাজার বছর তোমাকে নিয়েই বেঁচে থাকি। কোনো অভিযোগ অনুযোগ নেই তোমার প্রতি। আপাদমস্তক তোমাকে আমি অত্যধিক ভালোবাসি। তোমাকে নিয়ে কতো না স্বপ্ন দেখি ! এতো কথা বলি তোমার সাথে তবুও যেন শেষ না হয় কথার ফুলঝুরি। চোখ মেলে তোমাকে এতো দেখি কভুও যেন মন ভরে না। মন চায় সারাক্ষণ তোমার মাঝে ডুবে থাকি। কবিতার ছন্দে ছন্দে তোমাকে সাজিয়ে রাখি।

 

বেঁধে রাখি আমার আত্মা তোমার চুলের বাঁধনে। আমার অন্ধকার চলার পথে তুমিই আলোর দিশারী। তোমার বিস্ময় চোখে দেখি তেজোদ্দীপ্ত এক আকাশ। যে আকাশটা ঘিরে আবর্তিত আমার পৃথিবী। আমার স্বপ্ন সুখের লহরী তুমি। জোনাক জ্বলা রাতের অন্ধকারে তোমাকে নিয়ে গল্প করতে করতে ভালোলাগায় ভেসে যাই কালো মেঘের দেশে। তুমি পাশে থাকলেই প্রতিদিন আমার স্বপ্নের মতো মন হয়। তোমাকে নিয়ে গল্প/কবিতা লিখতে লিখতে হাজার জীবন কাটিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়েছি বিধাতার কাছে। এভাবেই পাশে থেকো সুন্দরী প্রিয়তমা। কখনো ক্ষণিকের বিচ্ছেদ টেনে ভাসিওনা কষ্টের নোনা জলে। তোমার বিচ্ছেদ আমি কভুও না সইতে পারি। শুধু তোমাকে ভালোবাসতে বাসতে মিশে থাকতে চাই তোমার মাঝে।

 

তুমিহীন বেঁচে থাকা সে বড় কষ্টের। তুমি আছো বলেই আমার অস্তিত্ব খুঁজে পাই। তুমি দূরে গেলে সত্যিই আমার মরণ হবে। আমার বিশাল আকাশে তুমিই একমাত্র চাঁদ, যাকে আমি ভীষণ ভালোবাসি। আগলে রেখেছি নিজের মতো করে। তোমার রূপের আলোয় দেখি অন্ধকার পৃথিবী। স্বপ্নের সিড়ি বেয়ে তোমাকে নিয়ে হেঁটে যাই অনাগত ভুবনে। যেখানে আছে শুধু সুখ আর সুখ। যে সুখের মাঝে নেই কোনো একঘেয়েমিতা। বসন্তের সমাগমে হাজারো ফুলের আলিঙ্গনে জড়াবো তোমার দেহখানি। মেখে দিবো ফুলের সুরভি তোমার পুরো অবয়বে। পলাশ ফুলের মালা গেঁথে পরিয়ে দিবো তোমার গলেতে। নতুন রূপে সাজাবো তোমার গড়নখানি। তোমাকে নিয়ে ভাবনার কোনো সীমা পরিসীমা নেই। যতোই ভাবি ততোই যেন জড়িয়ে যাই তোমার ভাবনার মাঝে। তোমাকে কাছে পেলেই কথার যেন কই ফোটে। কলম ভেঙে বেরিয়ে আসতে চায় সাজানো কথামালা।

 

কভুও যেন শেষ হবে না সে কথার। এভাবেই ভালোবাসি প্রতিদিন তোমাকে। তোমাকে ভালোবাসাতেই আমার যতো পরিতৃপ্তি। অন্যথায় সবই যেন বৃথা। তোমাকে ভালোবাসার মধ্যে দিয়েই বেঁচে আছি আন্তবিক সুখে। এই ভালোবাসার অবসান করো না কোনোদিন। হৃদয়ের সবটুকু অনুভূতি দিয়েই ভালোবেসে ফেলেছি শুধু তোমাকে। দূরে কভুও যেওনা আমাকে ফেলে। মরে যাবো আমি তোমার বিরহে। আমার অনুভূতির সবটা জুড়েই শুধু তোমার বসবাস। বলতে গেলে সীমার মাঝে অসীম তুমি ! অন্যথায় সব যেন বৃথা। তুমিহীন নেই আমার কোনো সুখ। যেদিকে তাকাই শুধু শূন্য শূন্য মনে হয়। মনে হয় এই পৃথিবীতে একমাত্র আমিই যেন বেঁচে আছি, যাকে আগলে রাখার মতো কেউ নেই। আছে শুধু ধোঁযা ধৌঁয়া কষ্টের সইতে না পারা অজস্র যন্ত্রণা। যে যন্ত্রণায় পুড়ে পুড়ে কয়লা হবো প্রতি মুহূর্তে। ভালোবাসা দাও, ভালোবাসা নাও প্রিয়তমা আমার।

 

সীমার মাঝে অসীম তুমি

জাকির আলম

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park