1. admin@ichchashakti.com : admin :
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

সবার জন্য সাহিত্য — উন্মুক্ত

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৯২ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

সাহিত্য কেবলমাত্র কোনো শ্রেণি, সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীর জন্য নয়; এটি সবার জন্য। মানব জীবনের ভাবনা, আবেগ, চিন্তা, আর অভিজ্ঞতাগুলো সাহিত্যে মূর্ত হয়ে ওঠে। এটি মানুষের আত্মার এক গভীর অভিব্যক্তি, যা কোনো বাধা মানে না। কিন্তু আমাদের সমাজে অনেক সময় দেখা যায়, সাহিত্যকে একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ করে রাখা হয়। অথচ সত্যিকারের সাহিত্য সবার জন্য উন্মুক্ত হওয়া উচিত।

 

সাহিত্য শুধু একটি বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি একটি শিক্ষা। এটি আমাদের সমাজকে জানতে, বুঝতে এবং পরিবর্তন করতে সাহায্য করে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে সাহিত্য পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে আমরা কেবল তাদের বিনোদনই দিতে পারি না, তাদের জীবনের মানোন্নয়নও করতে পারি। কারণ, সাহিত্যের শক্তি মানুষের মনের গভীরে প্রভাব ফেলে, তাকে ভাবতে শেখায় এবং নতুন স্বপ্ন দেখায়।

 

তবে প্রশ্ন হলো, কীভাবে সাহিত্য সবার কাছে পৌঁছাবে? প্রথমত, সাহিত্যের ভাষা ও ভাবনাকে সহজবোধ্য করা প্রয়োজন। উচ্চশ্রেণির বুদ্ধিবৃত্তিক জটিল সাহিত্য যদি সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য হয়, তবে তা সবার জন্য হতে পারে না। তাই সাহিত্য রচনা এমনভাবে হওয়া উচিত, যাতে প্রতিটি মানুষ তার মধ্যে নিজের গল্প খুঁজে পায়।

 

দ্বিতীয়ত, প্রান্তিক মানুষদের সাহিত্যচর্চার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। তাদের অভিজ্ঞতা, সংগ্রাম এবং জীবনবোধ সাহিত্যে আসতে দিলে সাহিত্যের পরিসর আরও সমৃদ্ধ হবে। গ্রামের কৃষক, শহরের শ্রমিক, কিংবা পাহাড়ের আদিবাসীর জীবনও সাহিত্যের অংশ হতে পারে।

 

তৃতীয়ত, প্রযুক্তির এই যুগে সাহিত্যকে ডিজিটাল মাধ্যমের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে। মোবাইল অ্যাপ, ওয়েবসাইট, অডিওবুক—এসব মাধ্যম ব্যবহার করে আমরা গ্রামীণ এবং শহরের সাধারণ মানুষের কাছে সাহিত্য পৌঁছে দিতে পারি।

 

অবশেষে, “সবার জন্য সাহিত্য” মানে হলো এমন একটি সমাজ, যেখানে প্রতিটি মানুষ সাহিত্যে নিজেকে খুঁজে পাবে। সাহিত্য হবে সেই সেতু, যা বিভিন্ন শ্রেণি, সংস্কৃতি এবং ভাবনার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে।

 

আসুন, সাহিত্যের এই শক্তিকে সবার জন্য উন্মুক্ত করি। কারণ, সত্যিকারের সাহিত্য কেবলমাত্র পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি সবার জীবনের অংশ। সাহিত্যের আলোতে আলোকিত হোক প্রতিটি হৃদয়।

—লেখক: মোঃ নাছিম প্রাং

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park