1. admin@ichchashakti.com : admin :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

শিক্ষা জাগরণ দেশ সেবা জাগ্রত শিক্ষার্থী বাংলাদেশ

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৩১ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সব ধরনের বৈষম্যমুক্ত ও সাম্যভিত্তিক একটি পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। অতীতে আমরা দেখেছি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যখন স্পোর্স বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হতো তখন অনেক শিক্ষার্থী নিজেদের মতো করে “যেমন খুশি তেমন সাজ” প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতো।

 

কিন্তু দুঃখজনকভাবে যদি কেউ বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর মা বা বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার সাজ গ্রহণ করতো তাদের প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় ঘোষণা করা হতো অথচ, যদি কেউ অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা বা নেত্রীর সাজ গ্রহণ করতো তাহলে তা গ্রহণযোগ্য হতো না। এমনকি যাদের সাজটা হয়তো আরো সৃজনশীল বা ভালো ছিল তাদেরকে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হতো কিংবা স্কুল থেকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) দিয়ে বের করে দেওয়া হতো। কারণ তারা আওয়ামী লীগ দলের সাজ না সেজে অন্য দলের সাজ সাজতো বলে। এ ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত সংস্কৃতি ও প্রতিযোগিতার পরিবেশ থাকতে হবে, যেখানে প্রতিটি জাগ্রত শিক্ষার্থী তাদের সৃষ্টিশীলতা এবং দক্ষতা অনুযায়ী ন্যায্য মূল্যায়ন পাবে। ক্ষমতা বা রাজনীতি চিরদিন থাকে না এবং যেসব প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাদেরকে বুঝতে হবে যে ন্যায় ও নীতির উপর দাঁড়িয়ে শিক্ষার পরিবেশকে সংরক্ষণ করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।

 

আমাদের মনে রাখতে হবে শিক্ষার মঞ্চে সকলের সমান অধিকার এবং ন্যায়সঙ্গত আচরণ অত্যন্ত জরুরি। সৃজনশীলতা এবং সৎ মূল্যায়ন কখনোই রাজনৈতিক চাপে পড়ে বিকৃত হওয়া উচিত নয়। ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অন্যায্য আচরণের কোনো স্থান নেই শিক্ষার মধ্যে। সবারই উচিত এ বিষয়গুলোতে সতর্ক থাকা এবং একটি ন্যায় বিচারপূর্ণ বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য কাজ করা। জাগ্রত বাংলাদেশ ও এর সংগঠন জাগ্রত শিক্ষার্থী বাংলাদেশ, এসব মূল্যবোধ ধরে রাখার এবং কোনো ধরনের অন্যায় কে প্রশ্রয় দেওয়া যাবেনা এই লক্ষ্যে কাজ করছে, যাতে শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক চাপ থেকে মুক্ত থেকে তাদের সৃজনশীলতা এবং মননশীলতার বিকাশ ঘটাতে পারে। জাগ্রত বাংলাদেশ এর সভাপতি আজমুল জিহাদ একজন দক্ষ ও ন্যায়নিষ্ঠ নেতৃত্ব প্রদান করছেন যার মাধ্যমে আমরা আশাবাদী ভবিষ্যতে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা আরও উন্নত ও সুশৃঙ্খল হবে। সকলকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। আপনারা ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আজমুল জিহাদ ভাইয়ের হাতকে শক্তিশালী করতে এবং আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে জাগ্রত বাংলাদেশ সংগঠনে যোগদান করুন। আসুন মানবতার বার্তা ছড়িয়ে দিই সারা বাংলায়। আপনারা সবাই একসঙ্গে থেকে মানবতার কল্যাণে কাজ করে একটি সুন্দর ও ন্যায়নিষ্ঠ সমাজ ও একটি জাগ্রত বাংলাদেশ গড়ে তুলুন।

 

লেখক- মেহেদী হাসান সাব্বির

প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ লেখক ও কবি জাগ্রত শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ।

 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park