শিক্ষকরা হচ্ছে জাতি গড়ার কারিগর। শিক্ষকরা আমাদের জ্ঞানার্জন এবং শিক্ষার পথে প্রথম ও প্রধান পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করেন। তাদের মাধ্যমেই আমরা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে শিখতে শুরু করি এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হই। শিক্ষকরা আমাদের চিন্তার ক্ষমতা বৃদ্ধি করেন, সৃজনশীল যে কোনো কাজ করতে উৎসাহিত করেন এবং যুক্তিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলতে সাহায্য করেন। তারা শিক্ষার্থীদের স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে ও নানা রকম সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করেন। শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নয়, শিক্ষকরা আমাদের নৈতিকতা, মূল্যবোধ এবং ভালো মন্দের পার্থক্য কী তা শেখান,যা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজে লাগে। শিক্ষকেরা আমাদের জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে এবং সেগুলোর জন্য প্রচেষ্টা চালাতে অনুপ্রাণিত করেন। তারা আমাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য সহায়তা ও অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকেন। শিক্ষকদের মাধ্যমে সমাজের ভবিষ্যৎ নেতা, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পেশার মানুষ গড়ে তোলেন ।
একজন ভালো শিক্ষক মানেই সমাজের জন্য, জাতির জন্য, দেশের জন্য ও সর্বোপরি বিশ্বের জন্য ভালো ভবিষ্যতের প্রস্তুতি। শিক্ষকেরা তাদের অভিজ্ঞতা এবং পরামর্শের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জীবনের বিভিন্ন সংকট মোকাবেলায় সাহায্য করেন এবং তাদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করেন। শিক্ষকতা হচ্ছে সম্মানিত একটি পেশা। একমাত্র শিক্ষকরাই পারে একটা জাতিকে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দিতে। তাই তো বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে মেধাবী ও পরিশ্রমী শিক্ষার্থীদের কে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং উচ্চ সম্মানি প্রদান করা হয়। বিশ্বের ন্যায় আমাদের বাংলাদেশেও মেধাবীদেরকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষকতার প্রতি অনীহা প্রকাশ করতে দেখা যায়। তার মূল কারণ হচ্ছে শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষার্থীদের সম্মান দেখানোর প্রবণতা দিন দিন কমে যাওয়া এবং দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষকদের মূল্য কম দেওয়া। যার ফলে দেশের রত্ন গুলোও এই পেশা থেকে আস্তে আস্তে দূরে সরে যাচ্ছে। যোগ্য ভবিষ্যত প্রজন্ম গড়ে তোলার জন্য যোগ্য শিক্ষকের বিকল্প নেই।
শিক্ষার্থী,
ইয়াছিন আরাফাত
কবি ও গল্পকার।
অর্থনীতি বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।