শব্দের রুপকথা – মেহেদী হাসান সাব্বির
ভূমিকা:
কাব্যিক সৃষ্টি মানুষের মনের অভিব্যক্তি প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম। তরুণ কবি মেহেদী হাসান সাব্বির তার প্রথম কবিতার বই “শব্দের রূপকথা” প্রকাশের মাধ্যমে সাহিত্য জগতে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। এ বইটি তার চিন্তা, সমাজের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি, এবং আত্মিক জাগরণকে সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছে, যা পাঠকদের মনোজগতে গভীর ছাপ ফেলবে।
বইটির বিষয়বস্তু:
“শব্দের রূপকথা” মূলত সমাজের নানা দিক, বিশেষ করে সংগ্রাম, মানবতা, প্রেম এবং জীবনের নানা স্তর নিয়ে রচিত কবিতার এক সংকলন। প্রতিটি কবিতায় লেখক জীবনের জটিলতা ও সৌন্দর্যকে সাবলীল ভাষায় প্রকাশ করেছেন। কবিতাগুলোর শব্দচয়ন ও ছন্দ পাঠককে ভাবনার এক নতুন দিগন্তে পৌঁছে দেয়। মেহেদী হাসান সাব্বিরের এই কবিতাগুলোতে শুধু রোমান্টিকতা নয়, বরং সমাজের অসংগতি, সংগ্রামের চিত্রও অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
লেখকের উদ্দেশ্য:
মেহেদী হাসান সাব্বির তার কবিতার মাধ্যমে সমাজের নৈতিকতা এবং মানবিকতার বার্তা পৌঁছে দিতে চান। তার ইচ্ছা হলো নতুন প্রজন্মকে সাহিত্যের প্রতি আগ্রহী করা এবং তাদের মধ্যে সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা। বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে—স্বাধীনতা সংগ্রামী আব্দুল মজিদ, যিনি তাকে লেখালেখির দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, এবং তার বন্ধু তানভীর আহমেদ, যিনি তাকে প্রতিনিয়ত সমর্থন ও সাহস জুগিয়েছেন।
বইটির বৈশিষ্ট্য:
ভাষা ও ছন্দ: সহজ এবং প্রাঞ্জল ভাষায় রচিত কবিতাগুলোতে রয়েছে সুনির্দিষ্ট ছন্দ ও অর্থপূর্ণ বার্তা, যা পাঠকের হৃদয়ে গেঁথে যাবে।
বিষয়বস্তু: প্রেম, সংগ্রাম, মানবতা, এবং জীবনের নানা পর্যায় নিয়ে কবিতাগুলোতে গভীর চিন্তা প্রকাশ পেয়েছে।
প্রেরণা: এই বইতে সাব্বির তার চারপাশের পরিবেশ এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাগুলোকে কেন্দ্র করে নতুন ধরণের ভাবনা তুলে ধরেছেন।
উপসংহার:
“শব্দের রূপকথা” কবিতার এক নতুন ভুবনে প্রবেশের দ্বার। তরুণ লেখক মেহেদী হাসান সাব্বির তার কাব্যিক প্রতিভার মাধ্যমে সমাজের নানা দিক নিয়ে ভাবনার খোরাক যোগাতে সক্ষম হয়েছেন। তার এই কবিতা সংগ্রহ নিঃসন্দেহে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি প্রেরণা হয়ে থাকবে।