শবে মেরাজের ফজিলত:

1. আল্লাহর নৈকট্য লাভের বিশেষ সুযোগ:
   এটি এমন একটি রাত, যেখানে নবী করিম (সাঃ) আল্লাহর সান্নিধ্যে গমন করেন। এটি মুসলমানদের জন্য আল্লাহর অনুগ্রহ ও ক্ষমার প্রতি চিন্তাভাবনার রাত।
2. পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের আদেশ:
   মেরাজের রাতেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয়, যা ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ।
3. ক্ষমা ও দোয়ার রাত:
   শবে মেরাজে আল্লাহর কাছে ইবাদত ও দোয়া করার মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনা করা হলে আল্লাহ তা কবুল করেন বলে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে।
4. কুরআন ও হাদিসের আলোকে বিশেষ মর্যাদা:
   কুরআনের সূরা ইসরার প্রথম আয়াতে (সূরা বনী ইসরাইল: ১) শবে মেরাজের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। এটি আল্লাহর কুদরতের এক বিশেষ নিদর্শন।

শবে মেরাজের আমলগুলো:

1. নফল ইবাদত:
   এ রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা উত্তম।
2. তাওবা ও ইসতিগফার:
   আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফ চাওয়া এবং জীবনের ভুল-ত্রুটি থেকে ফিরে আসার প্রতিজ্ঞা করা।
3. দোয়া:
   নিজের, পরিবার ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণের জন্য দোয়া করা। শবে মেরাজের রাত দোয়া কবুলের রাত।
4. কুরআন তিলাওয়াত:
   এ রাতে কুরআন পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর বাণী নিয়ে ভাবা এবং আত্মার পরিশুদ্ধি করা।
5. সালাতুত তাসবীহ:
   এই রাতে সালাতুত তাসবীহ নামাজ পড়ার গুরুত্ব অনেক। এটি আত্মার পরিশুদ্ধি ও গুনাহ মাফের বিশেষ একটি ইবাদত।
6. রোজার প্রস্তুতি:
   যদি সম্ভব হয়, মেরাজের রাতের ইবাদতের পর পরদিন রোজা রাখা একটি সুন্নত আমল। কারণ নবী করিম (সাঃ) বিশেষ দিনগুলোতে রোজা রাখতেন।

মনে রাখার বিষয়:

• শবে মেরাজে আমল করার জন্য বিশুদ্ধ নিয়ত রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হওয়া উচিত।
• কোনো প্রকার বিদআত বা নতুন সংযোজন থেকে বিরত থাকা উচিত এবং আমলগুলো কুরআন ও হাদিসের আলোকে হওয়া প্রয়োজন।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে শবে মেরাজের গুরুত্ব অনুধাবন করে সঠিকভাবে ইবাদত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।