1. admin@ichchashakti.com : admin :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

লেখিকা- উম্মি হুরায়েরা বিলু’র কবিতা গুচ্ছ

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৮৬ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

কবি পরিচিতিঃ

কবি পরিচিতিঃ

ছদ্মনামঃ উম্মি হুরায়েরা বিলু, পিতার নামঃ মাওলানা আবু বকর ছিদ্দিক, মাতার নামঃমনোয়ারা, জন্ম স্থানঃ বরিশালের পিরোজপুরের, জন্ম সনঃ ২৮-১২-২০০৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ পিএসসি (২০১৬) ২২ নং কাইছকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শরীয়তপুর জেডিসি (২০১৯) ও এসএসসি(২০২২) নুরজানপুর দাখিল মাদ্রাসা, বাগেরহাট, এইসএসসি (২০২৪) পিরোজপুর ফাজিল মাদ্রাসা, পিরোজপু, প্রকাশিত কাব্য গ্রন্থঃ হলুদ খামে কবির চিঠি, চব্বিশের গনবিস্ফোরণ। তিনি ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার এর একজন সক্রিয় সদস্য। ইচ্ছাশক্তি আইডি নংঃ ০০২২০০৮২৮

 

কবিতা নংঃ ০১

আমার দেশ

 

সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা

সোনার বাংলাদেশ,

কৃষক জেলে কামার কুমার

মিলে মিশে আছে বেশ।

 

ছয়টি ঋতু আমার দেশে

আসা-যাওয়া করে,

গাছের ডালে দোয়েল পাখি

সুর তুলে গান ধরে।

 

শরৎ কালে  নীল  আকাশে

সাদা সাদা মেঘ ভাসে,

নদীর  পাড়ে  কাশ  ফুলেরা

মাথা দুলিয়ে হাসে।

 

আমার দেশটি নদ নদীতে

হয়ে আছে ভরপুর,

মাঠে  মাঠে  সবুজ  ফসল

সোনালি রোদ্দুর।

 

আমার দেশের দখিনা হাওয়ায়

মায়ের গন্ধ ভাসে,

শীতের দিনে অতিথি পাখি

আমার দেশে আসে।

 

আমার দেশের মেঠো পথে

চলতে লাগে ভালো,

অপরূপা দেশ দেখতে হলে

আমার দেশে চলো।

 

কবিতা নংঃ ০২

মাতৃভাষা

 

বাংলা আমার মাতৃভাষা

খোদার দেওয়া দান,

এই ভাষাতে কথা বলে

জুড়ায় আমার প্রাণ।

 

এই ভাষারি ছন্দে মন

আকুল হয়ে ওঠে,

এই ভাষাতে মনের ভাব

অন্য ভাবে ফোটে।

 

এই ভাষাতে গান লিখিলে

কন্ঠে আসে সুর,

বাংলা আমার মাতৃভাষা

মিষ্টি সুমধুর।

 

কবিতা নংঃ ০৩

বিজয় দিবস

 

একাত্তরে এ দেশেতে

হানাদার দেয় হানা,

ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিকামী

বীর বাঙালি সেনা।

 

একাত্তরে বীর সেনারা

করে সে এক যুদ্ধ,

বীরত্বের সেই কাহিনী শুনে

শ্বাস হয়ে যায় রুদ্ধ।

 

লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে

মুক্ত হলো দেশ জনতা,

১৬ ই ডিসেম্বর পেলাম ফিরে

আমরা প্রিয় স্বাধীনতা।

 

বীর শহীদদের রক্তে কেনা

আমার সোনার দেশ,

বাঙালি আজ মিলেমিশে

আছে সবাই বেশ।

 

বিজয় দিবস রক্তে ধোয়া

বীর শহীদের স্মৃতি,

বাঙালি তাই করছে স্মরণ

নিয়ে শ্রদ্ধা প্রীতি।

 

কবিতা নংঃ ০৪

পরাধীনতা

 

রন্ধ্রে  রন্ধ্রে  বয়ে  যায়  এখন

ক্রন্দন শ্বাসের দল,

নীতি আদর্শ করে কেন এখন

মানুষের সাথে ছল।

 

স্বাধীন  বলে  কেন  আজ হায়

পরাধীন বাঙালি,

নাম না জানা হাজারো কারণে

খায় কেন তারা গুলি।

 

প্রতিবাদ করলে জেলে যেতে হয়

হতে হয় কারাবন্দী,

এসব  কিছু করছে আজি তারা

কার সাথে করে সন্ধি।

 

প্রতিবাদের  অধিকার  আজ

হারিয়েছে জনতা,

এ কেমন দেশ একে কেনো বলি

আজও স্বাধীনতা।

 

স্বাধীনতার নাম দিয়ে আজ মোরা

পরাধীনতায় বন্দী,

বাঙালি জাতিকে শেষ করে দিতে

করেছে তারা ফন্দি।

 

স্বপ্ন  দেখি  আমার  দেশে

আসবে স্বাধীনতা,

জাতির মাঝে ফিরবে সে দিন

ফিরবে মানবতা।

 

কবিতা নংঃ ০৫

অমানুষ

 

শূন্য পেটে খিদের জ্বালা

মিটমিটিয়ে জ্বলে,

খিদের জ্বালায় ক্লান্ত দেহ

সামনে নাহি চলে।

 

এমপি মন্ত্রী ঘুষের টাকায়

তাদের পকেট ভরে,

না খেয়ে আজ কত মানুষ

রাস্তা ঘাটে মরে।

 

কত মানুষ শীতের রাতে

থাকে বস্ত্র হীন,

খিদের জ্বালায় শরীরটা আজ

হচ্ছে ওদের ক্ষীণ্।

 

মানবতা আজ মরে গেছে

পড়ে আছে কফিন,

দিন যত যাচ্ছে চলে পৃথিবী

হচ্ছে মানবতাহীন।

 

ওরাও মানুষ আছে ওদের

ছোট একটি প্রাণ,

দিচ্ছি মোরা সবাই মিলে

অমানুষের প্রমাণ।

 

কবিতা নংঃ ০৬

জীবন প্রদীপ

 

জীবন নামক ছোট্ট ভেলা

ভেসে ভেসে চলে,

জীবন নামক ছোট্ট প্রদীপ

মিটমিটিয়ে জ্বলে।

 

হঠাৎ করে  মাঝ নদীতে

থামবে জীবন ভেলা,

শেষ হবে গো জীবন নামক

একটি নিঠুর খেলা।

 

দমকা হাওয়ায় জীবন প্রদীপ

নিভে যেদিন যাবে,

জীবন নামক ডায়েরির পাতা

বন্ধ সে দিন হবে।

 

কবিতা নংঃ ০৭

হিমেল হাওয়া 

 

শীত এসেছে ধরার বুকে

কুয়াশা চাদর গায়ে,

রোজ-বিহানে দূর্বাঘাসে

শিশিরবিন্দু পায়ে।

 

শীতের সকাল মুক্ত মালা

শিশির আবরণ,

ঝির ঝিরে হিমেল হাওয়া

জাগায় শিহরন।

 

শীত এসেছে ধরার বুকে

স্নিগ্ধ সকাল নিয়ে,

আনাচ কানাচ ভরে আছে

ফুলের গন্ধ দিয়ে।

 

শীতের সকালে পাখিরা করে

কিচিরমিচির গান,

শীতের দিনে অতিথি পাখির

সুরের আহ্বান।

 

শীতের সকালে পিঠা পুলির

ধুম পড়ে ঘরে ঘরে,

শীতের দিনের খেজুর রসের

গন্ধে মন ভরে।

 

শীত এসেছে ধরার বুকে

ধরছে পাখি গান,

হিমেল  হাওয়া  লাগছে  গায়ে

জুড়িয়ে যাচ্ছে প্রাণ।

 

কবিতা নংঃ ০৮

খোকন সোনা

 

খোকন সোনা দুষ্টুমি নয়

এবার পড়তে বস,

জ্ঞান পাখিরা কই রে সবাই

খোকনের কাছে আস।

 

করতে হবে লেখা পড়া

হতে হবে বড়,

লেখা পড়া শিখে যেনো

মানুষ হতে পারো।

 

বড় হয়ে জ্ঞানী হবে জ্বালবে

জ্ঞানের আলো,

বলবে তখন সবাই মিলে

খোকন কত ভালো।

 

কবিতা নংঃ ০৯

জেগে ওঠো জনতা

 

স্বাধীনতা তুমি মায়ের অশ্রু

বোনের হারানো মান,

স্বাধীনতা তোমায় পাবার জন্য

বাঙালি জীবন করেছিল দান।

 

স্বাধীনতা তুমি এসেছিলে হয়ে

লাল সবুজের পতাকা,

আজকে কেন স্বাধীন দেশটা

পরাধীনতায় ঢাকা।

 

আজকে কেন স্বাধীন দেশে

পাই না অধিকার,

স্বাধীন দেশটা হয়ে গেছে আজ

জনতার কারাগার।

 

পরাধীনতার কালো মেঘে আজ

কালো হয়েছে আকাশ,

সীমান্তে রোজ  দেখতে পাই

বাঙালি ভাইয়ের লাশ।

 

চাইছে বাঙালি ফিরে পেতে আজ

আবারও স্বাধীনতা,

করবো স্বাধীন দেশটা আবার

জেগে ওঠো জনতা।

 

কবিতা নংঃ ১০

 নিন্দুক

 

নিন্দুকেরা নিন্দা করছে

তাতে কি,

নিন্দা করে তারা কিছু

পেয়েছে কি।

 

তাদের করা নিন্দায়

তুমি কেঁদো না,

নিন্দুকেরা দেয় যে

শুধু বেদনা।

 

নিন্দুকের নিন্দা করায়

হয় না কিছু,

শুধু শুধুই নিন্দুকেরা

নেয় যে পিছু।

 

নিন্দুকের নিন্দা করায়

দিও না তুমি কান,

তাদের করা নিন্দাই তোমার

হৃদয় করবে শান।

 

 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park