1. admin@ichchashakti.com : admin :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

লেখক- মোঃ রেজাউল ইসলাম -এর একগুচ্ছ কবিতা

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫
  • ১২৮ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

মোঃ রেজাউল ইসলাম ঠাকুরগাঁও জেলায় ৩০ ডিসেম্বর ২০০৪ ইং জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোঃ হাফিজুল ইসলাম এবং মাতা মোছাঃ রেহেনা বেগম। তার পৈত্রিক নিবাস ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানার আমতলা গ্রামে। তিনি বালিয়াডাঙ্গী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি বালিয়াডাঙ্গী টেকনিক্যাল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন। অনার্স ১ম বর্ষের (বিএ) এর শিক্ষার্থী। একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা সময় কালে তার কবিতা জীবন শুরু করেন। তার কবিতা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার, ম্যাগাজিন, বইয়ে প্রকাশিত হয়। তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য-যৌথ কাব্যগ্রন্থ শেষ চিরকুট, আকাশ ভালবাসি, অভিমানী, অজানা প্রান্তর,ও দশকন্ঠে কবিতা, কবির যুদ্ধ কলমে, যৌথ গল্পগ্রন্থ কবিদের গল্প, বইয়ে কিছু কবিতা ও গল্প লেখেছেন।

 

আমৃত্যু ভালোবাসি তোকে

 

তোমার চোখেই দেখেছিলাম জীবনের নতুন মানে,

ভালোবাসা যে সত্যিকারের, বুঝেছি তোমার টানে।

হাত ধরেছি যেমন করে শিশির ধরে পাতা,

ভবিষ্যতের প্রতিটি দিন তুমিতেই সাজাই কথা।

 

তোমার হাসি, তোমার ছোঁয়া, হৃদয়েরই রং,

তুমি ছাড়া এ জীবন যে বড়ই অনুকরণ।

প্রেম হোক নদীর মতো, তবু থাকো তীরে,

তোমার সাথেই স্বপ্ন গাঁথি প্রতি দিনের নীরে।

 

আমৃত্যু এই ভালোবাসি, ছাড়বো না কোনদিন,

তুমি আছো হৃদয় জুড়ে, রক্তে প্রতিদিন।

চোখে চোখে কবিতা খুঁজি, ঠোঁটে রেখে গান,

তোমায় নিয়ে ভাবতেই যে কাটে আমার প্রাণ।

 

যদি চলে যাই চিরতরে, একদিন হারিয়ে,

তবু ও তুমি রবে মোর ভালোবাসার তারিয়ে।

এই প্রেমেরই অগ্নি শপথ, রইলো প্রাণে বাঁধা,

আমৃত্যু ভালোবাসি — শুধু তোমাকেই রাধা।

 

তোমার চোখে হারিয়েছি এক জীবনের মানে,

ভালোবাসা শিখেছি আমি তোমার হাতে টানে।

তুমি ছুঁয়ে দিলে হৃদয় হয় উজ্জ্বল আলো,

তোমার নামে বেঁচে থাকা, তাতেই সুখের আলো।

 

যদি কোনোদিন না থাকি পাশে, তুমি থেকো মনে,

ভালোবাসা গাঁথা থাকুক তোমার স্নিগ্ধ নয়নে।

আমৃত্যু যে ভালোবাসি — এই তো শেষ বলি,

প্রেমে লেখা নামটি তোমার, জীবন জুড়ে চলি।

 

 

অনুভবে তুমি

 

তুমি আছো, আমার অনুভবে, চিরকালীন আলো,

যতবার তোমাকে ভাবি, মনের গহীনে ছড়িয়ে যায় আলো।

তোমার হাসি যেন সুর, বাজে মনের এক মধুর রাগ,

তুমি যে অমৃত, পিপাসিত হৃদয়ে, তোমারই অভিমান ব্যাধ।

 

তুমি যেন আমার সাঁঝের আকাশ, রঙিন স্বপ্নের কাঁথা,

তোমার ছোঁয়ায়, মুছে যায় সব দুঃখ, মনের কঠিন কথা।

হৃদয়ের গভীরে গাঁথা, তোমার নামের একটি গান,

যতবার তোমায় স্মরণ করি, হয় জীবনের নতুন প্রাণ।

 

তুমি আমার অনুভবে, সময়ের মতো এক অন্তহীন,

তোমার চোখে, আমি দেখি সাগর, দূরতম স্বপ্ন।

তোমার স্পর্শে জেগে ওঠে এক অজানা অজান্তে,

দূর গগনে রূপ নেয়, এক নতুন শপথ, এক শান্তি অদ্বান্তে।

 

তুমি আছো, রাত্রির তিমিরে, প্রাতঃসন্ধ্যায় বর্ণালী,

তোমার মাধুরীতে ভাসে হৃদয়, এক স্বপ্নের সুরালী।

তুমি যেখানেই থাকো, মন সেখানেই পৌঁছায়,

যতই দূরে থাকো তুমি, অনুভবে হৃদয় তোমাকেই খোঁজে পায়।

 

তুমি আমার অনুভবে, শব্দের বাইরে এক নিরব ভাষা,

যেখানে আমি তোমার কাছে, অশ্রু ছাড়া শুধু ভালোবাসা।

তুমি আছো, এক অদৃশ্য আশ্রয়ে, যা কখনো হারায় না,

তুমি অনুভবেই টিকে থাকো, প্রেয়সী, চিরকাল, সর্বদা।

 

 

কবিতা তুমি

 

তোমার ওই দুটি চোখে,

কবিতা খুঁজে পাই।

ভালোবাসার প্রতিটি ছন্দে,

তোমাকে কাছে চাই।

 

প্রতিদিন তোমায় দেখি, দূর থেকে আমি,

হৃদয়ের সবটুকু প্রেম দিয়ে ভালোবাসি।

তুমি আমার কবিতার ছন্দ, ও আমার গান,

তোমাকে ভাবতেই ভরে ওঠে আমার প্রাণ।

 

 

মায়াবতীর ভালোবাসা

 

ওগো মায়াবতী, নামটি যেন রাতের আঁধারে,

একটি তারা, জ্বলে ওঠে নিভৃতে সাঁতারে।

তোমার হাসিতে ফুটে আছে চাঁদের আলো,

হৃদয়ের পথে লাগে দোলা, লাগে তোলা।

 

চোখ দুটো তব নদীর মত গভীর সাঁতার,

ডুব দিলে সেথা হারিয়ে যাই, কোন পথহারা।

মুখরিত করে প্রাণের সব খোলা জানালা,

মায়াবতী তুমি, ভালোবাসা আমার অমূল্য মালা।

 

স্পর্শে তব কোমল যেন ফুলের পাপড়ি,

ঘ্রাণে মেশে বসন্তের মৌতাজের সুরভী।

কথাগুলো তব মধুর সুরে বাজে কানে কানে,

ভালোবাসা নামের নদীতে ভাসাও তুমি আমাকে ভাসানে।

 

কষ্টের দিনে তুমিই তো আমার আশ্রয় ছায়া,

সুখের মুহূর্তে সাজাও প্রাণে রংধনুর মায়া।

মায়াবতী নামে জ্বলে উঠুক আকাশের তারা,

ভালোবাসা দিয়ে ঘিরে রাখো আমার এ ভুবন ধারা।

 

ভালোবাসি আমি তোমার সব দোষ গুণ মিলিয়ে,

যেন সাগরের ঢেউ কূলে এসে লুটিয়ে পড়ে হিল্লোলে।

তোমার সঙ্গেই খুঁজে পাই জীবনের অর্থ খানি,

মায়াবতী তুমি, হৃদয়ে আমার চিরকালের বাণী।

 

এ ভালোবাসা রবে চিরকাল, না হবে ক্ষয়,

যত দিন রবে পৃথিবীতে চাঁদ আর সূর্য উদয়।

মায়াবতী তুমি, আমার প্রাণের অমর গাথা,

ভালোবাসা এই সুতোয় বাঁধা, না হবে কখনো বিথা।

 

 

বিদ্রোহী

 

বিদ্রোহী সত্তার চিহ্নে বাঁধা,

সত্যের পথে নীরবে চলা।

শৃঙ্খল ভাঙা সেই তার লক্ষ্য,

অবিচারের মুখে শপথ শক্ত।

 

অস্থির বাতাসে ভাসে এক সুর,

বিদ্রোহী জীবনের এক নতুন কুর।

অন্ধকার রাতেও দীপ্তি বর্ণিল,

শৃঙ্খলা ভেঙে আলোয় আসে রঙিন।

 

অভিযোগে তার শব্দ, বিক্ষোভে তার গান,

যা হারায় শাসকের গোঁড়ামিতে সম্মান।

প্রতিরোধের সুরে সে বাঁধে গান,

স্বাধীনতার উত্তাল তরঙ্গে তার ধ্যান।

 

অন্তরে তার আগুন, বাহিরে উত্তাপ,

প্রতিরোধের এ নদী ধরে রাখে স্রোত।

জীবনের সংগ্রামে সে চিরকাল বাঁচে,

বিদ্রোহী সে, তার সুরে ইতিহাস বাঁধে।

 

যুদ্ধের দামামা মঞ্চে তার গান,

অবিচারের অন্ধকার কাটানোর সৎ প্রাণ,

প্রতিবাদে তার চেতনার ঝলক,

মিথ্যার মুখোশ খুলে যায়, একে একে ফলক।

 

আমি কেবল নই নাম, আমি সেই পথ,

সেই পথ ধরে মানুষ খোঁজে মানবতার রত্ন৷

আমি সেই বিসোহী, থামবো না আর চুপে,

বাঁধা যতই আসুক দাঁড়াব দৃপ্ত প্রতিবাদে।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park