লেখক পরিচিতি লেখার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম ও দিকনির্দেশনা অনুসরণ করতে হয়, যা লেখকের পরিচয়কে সঠিক, সংক্ষিপ্ত ও আকর্ষণীয় করে তোলে। নিচে এই নিয়মাবলি উল্লেখ করা হলো:
১. সংক্ষিপ্ত ও প্রাসঙ্গিক থাকা
লেখক পরিচিতি খুব বেশি দীর্ঘ হওয়া উচিত নয়। সাধারণত ২-৩টি অনুচ্ছেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়। এতে লেখকের প্রাসঙ্গিক তথ্যগুলো তুলে ধরা হয়।
২. মূল তথ্য উপস্থাপন
পরিচিতিতে লেখকের নিম্নলিখিত বিষয়গুলো উল্লেখ করা উচিত:
৩. ভাষার শুদ্ধতা ও পাঠযোগ্যতা
লেখকের পরিচিতি সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় লিখতে হবে। অত্যধিক জটিল শব্দ বা বাক্য পরিহার করা উচিত।
৪. প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখা
পরিচিতি লেখার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে, কোন প্রসঙ্গে পরিচিতি ব্যবহার হবে। উদাহরণস্বরূপ, বইয়ের জন্য পরিচিতি এবং ওয়েবসাইটের জন্য পরিচিতি কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।
৫. সৃজনশীল ও আকর্ষণীয় রূপদান
পরিচিতি এমনভাবে লেখা উচিত, যা পাঠকের মনে কৌতূহল সৃষ্টি করে এবং লেখক সম্পর্কে আরো জানার আগ্রহ জাগায়।
৬. ব্যক্তিগত ও পেশাগত দিকের ভারসাম্য
লেখকের ব্যক্তিগত জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য (যদি প্রাসঙ্গিক হয়) উল্লেখ করা যেতে পারে। তবে এটি পেশাগত পরিচয়ের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ হওয়া প্রয়োজন।
উদাহরণ
মোহাম্মদ হাসান একজন খ্যাতিমান বাংলাদেশি লেখক ও কবি। তিনি ২০০২ সালে ২২ আগস্ট বগুড়া জেলাধীন শ্যামলীতে জন্মুগ্রহণ করেন। পিনা মোঃ লুৎফর রহমান এবং মাতা আনেছা বেগম। তিনি বাংলা সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং তাঁর রচিত গ্রন্থসমূহ পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো “জীবনের রং” এবং “স্বপ্নের আকাশ”। সাহিত্যিক অবদানের জন্য তিনি “বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার” অর্জন করেছেন। এছাড়া, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি তরুণ লেখকদের পরামর্শ দিয়ে আসছেন।