1. admin@ichchashakti.com : admin :
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

লেখক, কবি ও সাহিত্যিকদের কেনো বই প্রকাশ করা উচিত !

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৬৯ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

কবি ও সাহিত্যিকদের বই প্রকাশ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ, কারণ এটি কেবল তাঁদের ব্যক্তিগত সৃষ্টিশীলতাকে প্রকাশ করার সুযোগ দেয় না, বরং সমাজ, সংস্কৃতি, এবং মানুষের জীবনে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাবও ফেলে। নিচে এর কারণগুলো তুলে ধরা হলো:

 

১. মানবিক চিন্তা ও অভিজ্ঞতার সংরক্ষণ

কবিতা ও সাহিত্য মানুষের চিন্তা, অনুভূতি, এবং অভিজ্ঞতার প্রতিফলন। বই প্রকাশের মাধ্যমে এই চিন্তাগুলো সংরক্ষণ করা যায়, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মূল্যবান সম্পদ হয়ে ওঠে।

 

২. সমাজের প্রতিফলন

সাহিত্য সমাজের আয়না। একজন লেখক তাঁর লেখায় যে গল্প বা কবিতা রচনা করেন, তাতে সময়, সমাজ এবং সংস্কৃতির ছবি ফুটে ওঠে। বই প্রকাশের মাধ্যমে এই প্রতিফলন আরও বিস্তৃত শ্রোতাদের কাছে পৌঁছায়।

 

৩. শিক্ষা ও জ্ঞান বিস্তার

কবিতা ও সাহিত্য পাঠকের মননশীলতা ও সৃজনশীলতাকে জাগ্রত করে। এটি মানুষকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবতে শেখায় এবং তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করে।

 

৪. অনুপ্রেরণা দেওয়া

কবির লেখা অনেক সময় পাঠকদের অনুপ্রেরণা জোগায়, জীবনের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করার শক্তি দেয়, এবং নতুন কিছু করার সাহস তৈরি করে।

 

৫. নিজের পরিচয় প্রতিষ্ঠা

বই প্রকাশ একজন লেখকের সৃজনশীল পরিচয়কে প্রতিষ্ঠিত করে। এটি তাঁর সৃষ্টিকর্মকে স্থায়ী করে এবং তাঁকে পাঠক মহলে একটি জায়গা তৈরি করতে সাহায্য করে।

 

৬. সংস্কৃতির বিকাশ

একজন কবি বা সাহিত্যিকের লেখা একটি দেশের ভাষা ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে। তাদের সৃষ্টিকর্ম নতুন ভাবনা ও চর্চার জন্ম দেয়, যা সমাজে সংস্কৃতির বিকাশ ঘটায়।

 

৭. বিনোদন ও মানসিক স্বস্তি

সাহিত্য পাঠ মানুষের জন্য বিনোদনের একটি মাধ্যম। কবিতা বা গল্প পাঠ করে মানুষ মানসিক স্বস্তি ও আনন্দ লাভ করে।

 

৮. চিরস্থায়ী কীর্তি তৈরি

লেখকের বই তাঁর জীবনের চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী। মৃত্যুর পরেও তাঁর ভাবনা ও সৃষ্টি বইয়ের মাধ্যমে বেঁচে থাকে। এটি লেখকের জন্য অমরত্বের একটি মাধ্যম।

 

বই প্রকাশ একজন লেখকের নিজস্ব ভাবনার পৃথিবীকে বৃহত্তর সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার একটি মাধ্যম। এটি কেবল লেখকের নয়, পাঠকের জীবনকেও সমৃদ্ধ করে। তাই প্রতিটি কবি ও সাহিত্যিকের উচিত নিজের সৃষ্টিকে বই আকারে প্রকাশ করে একটি চিরস্থায়ী প্রভাব সৃষ্টি করা।

—লেখকঃ মোঃ নাছিম প্রাং 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park