যেদিন বাবার বুকের সঙ্গে
মিশিয়ে দিই নিজের কাঁপতে থাকা হৃদয়,
চুপিচুপি বলি
“বাবা, ভালোবাসি”,
সেদিন আমার ভেতরের সহস্রাব্দ-নীরবতা
একটি সাগর হয়ে জেগে উঠবে
টুপটাপ শব্দে ভিজবে ভিতরের মরুভূমি।
বাবা কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকবেন
চোখে থাকবে না কোনো অশ্রু,
তবু তার নীরব দৃষ্টিতে
আকাশ ভেঙে পড়বে এক গোপন বৃষ্টি
যেমন বৃষ্টি হয় সন্ধ্যাবেলায়
যখন পাখিরা নীড়ে ফেরে,
আর পৃথিবী নীরবতা গিলে খায়।
তিনি কিছু বলবেন না,
শুধু হাতে রাখবেন হাত
যেন হিমালয় তার শান্ত ছায়া বিছিয়ে
বলছে, “আমি আছি, সব ঝড়ের আগে-পরে।”
তখন আমি বুঝব—
ভালোবাসা কোনো উচ্চারণ নয়,
তা চোখের ভাষা, হাতের ভাষ্য,
আর না-বলা হাজার কথার
একটি গোপন নদী,
যা কেবল হৃদয় জানে।
সেদিন আমি বুঝব
সব যুদ্ধের শেষে থাকে এক ভূমিকা,
যেখানে বাবা আর কোনো দূরের ছায়া নন,
একটি জীবন,
একটি নিঃশব্দ আশ্রয়,
যিনি দাঁড়িয়ে থাকেন
আমার সমস্ত ভাঙনের পেছনে,
আমার সমস্ত দাঁড়িয়ে যাওয়ার পাশে।