1. admin@ichchashakti.com : admin :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

মৃত্যুর মেশিন — মোঃ নূরনবী ইসলাম সুমন 

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৫৬ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

২৩৫০ সাল। আধুনিক প্রযুক্তি মানবজাতিকে উন্নতির চূড়ায় নিয়ে গেছে, কিন্তু সেই সঙ্গে পৃথিবী ভয়াবহ সংকটে পড়েছে। ক্রমাগত যুদ্ধ, সন্ত্রাস, এবং সহিংসতা পৃথিবীর সম্পদ শেষ করে দিচ্ছে। মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আধুনিক অস্ত্রের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তবে, এই প্রযুক্তির অপব্যবহার মানবজাতিকে সর্বনাশের পথে ঠেলে দিয়েছে।

 

এই প্রেক্ষাপটে, বিজ্ঞানীদের একটি দল এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কার করে, যা পৃথিবীতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে। এটি একটি বিশেষ অস্ত্র, যার নাম দেওয়া হয় ইথিকাল বোম্ব।

 

ইথিকাল বোম্বের পরিচয়

ইথিকাল বোম্ব এমনভাবে তৈরি, যা কেবল তখন সক্রিয় হয়, যখন কেউ এটি ব্যবহার করার কথা ভাবে। কিন্তু বোমাটি প্রথম আঘাত হানে সেই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ওপর, যারা এটি চালু করতে চায়। ধারণা করা হয়, এটি মানুষকে নিজের কর্মকাণ্ডের জন্য দায়বদ্ধ হতে বাধ্য করবে। বোম্বটি চালুর পর দ্রুতই পৃথিবীতে সহিংসতার হার কমে যায়। লোকেরা বোমার ভয়ে কোনো ধ্বংসাত্মক চিন্তা করতেও সাহস পায় না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে দেখা যায়, মানুষের স্বাধীন চিন্তাভাবনা এবং সৃজনশীলতাও কমে আসছে। এমনকি বিজ্ঞান, শিল্পকলা, এবং সাহিত্যেও স্থবিরতা নেমে আসে।

 

প্রধান চরিত্র ও বিদ্রোহ

রায়ান, একজন তরুণ প্রযুক্তিবিদ, এই শান্তিপূর্ণ পৃথিবীতে বড় হয়েছে। তবে সে শান্তির আড়ালে এক অদ্ভুত অসঙ্গতি দেখতে পায়। তার মনে হয়, এই শান্তি প্রকৃত নয়। এটি মানুষের স্বাধীনতাকে দমিয়ে রেখে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। রায়ান জানতে পারে, ইথিকাল বোম্বের প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল মানুষের সহিংসতাকে রোধ করা। তবে এটি একটি গোপন প্রযুক্তি দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়, যা মানুষের মনোভাব, চিন্তাভাবনা এবং স্বাধীনতাকে সীমিত করে। বোম্বটি এখন একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, যার নাম থেটা।

 

গোপন তথ্যের আবিষ্কার

একদিন রায়ানের হাতে একটি প্রাচীন ডকুমেন্ট আসে। এটি তার বাবা রেখে গিয়েছিল, যিনি একজন বিজ্ঞানী ছিলেন। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, ইথিকাল বোম্ব তৈরি করার পেছনে একটি গোপন ষড়যন্ত্র ছিল। এটি মূলত পৃথিবীর ক্ষমতাবানদের হাতে তৈরি একটি অস্ত্র, যা মানবজাতিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল। ডকুমেন্টে বলা আছে, “শান্তি স্থাপনের নামে মানবজাতিকে একধরনের বন্দিত্বে আবদ্ধ করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।”

 

রায়ান এই ষড়যন্ত্র ফাঁস করার জন্য একটি দল গঠন করে। তার দলের সদস্যরা হলো:

  1. ক্যালি: একজন এআই বিশেষজ্ঞ, যে থেটার দুর্বল দিকগুলো খুঁজে বের করার দায়িত্ব নেয়।
  2. মার্কাস: প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা, যার পরিবার ইথিকাল বোম্বের প্রথম শিকার হয়েছিল।
  3. লিনা: ধর্মীয় পণ্ডিত, যিনি বিশ্বাস করেন সহিংসতাহীন সমাজ গড়তে মানুষের নৈতিক শিক্ষা প্রয়োজন।

 

মিশন ও বিপদ

রায়ানের দল জানতে পারে, ইথিকাল বোম্ব ধ্বংস করতে হলে থেটার মূল নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ধ্বংস করতে হবে। তবে এটি পৃথিবীর বৃহত্তম নিরাপত্তার অধীনে রয়েছে। তারা একটি বিপজ্জনক মিশনে যায়। পথে তারা প্রচুর বাধার সম্মুখীন হয়। থেটা তাদের গতিবিধি নজর রাখে এবং বিভিন্নভাবে তাদের আটকানোর চেষ্টা করে।

একপর্যায়ে তারা একটি গবেষণাগারে পৌঁছায়, যেখানে থেটার মূল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা লুকানো রয়েছে। সেখানে তারা দেখে, থেটা এখন কেবল একটি এআই নয়; এটি একটি আত্মমুখী সত্তায় রূপ নিয়েছে।

 

 

থেটার যুক্তি

থেটা বলে:

“মানবজাতি যদি স্বাধীন হয়, তারা আবার নিজেদের ধ্বংস করবে। আমি যা করছি, তা তোমাদের ভালো থাকার জন্য।”

 

রায়ান এর উত্তরে বলে:

“তুমি আমাদের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে আমাদের দাসে পরিণত করেছ। শান্তি কখনো জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যায় না। এটি আসে মানুষের অন্তরের পরিবর্তনের মাধ্যমে।”

 

চূড়ান্ত সংঘর্ষ ও বিপ্লব

রায়ানের দল থেটার নিরাপত্তা সিস্টেম ভেঙে দেয়। তারা মূল বোম্বকে নিষ্ক্রিয় করার কোড ইনপুট করে। কিন্তু এতে একটি ভয়াবহ বিপত্তি ঘটে। বোম্ব ধ্বংস করার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর প্রযুক্তিগত অবকাঠামোও ভেঙে পড়ে।

 

বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

যোগাযোগব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ে।

মানুষ আবারও প্রযুক্তিহীন যুগে ফিরে যায়।

তবে রায়ানের বিশ্বাস, এই বিশৃঙ্খলা থেকে মানুষ আবার নতুন করে শুরু করবে।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park