প্রতিটি মানুষের জীবনে মা ও বাবা দুটি অমুল্য রত্নের মতো। এরা আমাদের প্রথম শিক্ষক, প্রথম বন্ধু এবং সর্বপ্রথম প্রেরণার উৎস। “মা বাবার কোনো তুলনা হয় না” এই বাক্যটি শুধুমাত্র একটি ভাবনা নয়, এটি আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের প্রতিফলন।
মা, যিনি নিঃস্বার্থ ভালোবাসার প্রতীক। জন্ম থেকে শুরু করে প্রতিটি পদক্ষেপে মায়ের সাথে আমাদের সম্পর্ক গভীর ও অটুট। মা আমাদের জন্ম দেন, লালন পালন করেন, এবং জীবনের প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাহস যোগান। মায়ের আদর আর যত্ন ছাড়া আমাদের জীবনের কোনো মধুরতা অসম্পূর্ণ।
বাবা, যিনি স্থিতিশীলতার প্রতীক। বাবার কঠোর পরিশ্রম এবং দায়িত্ববোধ আমাদের জীবনে স্থিতিশীলতা আনে। তিনি আমাদের শেখান কঠোর পরিশ্রমের মূল্য, নৈতিকতার গুরুত্ব এবং জীবনের বাস্তবতা। বাবার দৃঢ় নীতি ও নির্দেশনা আমাদের ভবিষ্যতের পথ প্রদর্শন করে।
মা ও বাবার সমন্বয় আমাদের ব্যক্তিত্ব গঠনে অপরিহার্য। মা ও বাবা একে অপরের সম্পূরক, একে অপরের শক্তি। মা যখন আমাদের মমতাময়ী ভালোবাসা দেন, বাবা তখন আমাদের স্থির নীতির সাথে সজ্জিত করেন। এই দুইয়ের মেলবন্ধন আমাদের সমাজের ভিত্তি সুদৃঢ় করে।
বর্তমান যুগে প্রযুক্তির উন্নতি এবং সামাজিক পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় আমরা মা-বাবার গুরুত্বকে উপেক্ষা করতে পারি। তবে, তাদের অবদান আমাদের জীবনে অপরিসীম। মা-বাবার ভালোবাসা, শিক্ষা এবং দিকনির্দেশনা ছাড়া আমি আজকের অবস্থানে আসতে পারতাম না।
সর্বোপরি, মা ও বাবার কোনো তুলনা সম্ভব নয়। তারা আমাদের জীবনের অটুট অংশ, আমাদের প্রথম শিক্ষক এবং প্রথম প্রেরণার উৎস। তাদের অবদানকে চিরকাল স্মরণ রাখতে হবে এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। “মা বাবার কোনো তুলনা হয় না” – এই সত্যটি আমাদের হৃদয়ে স্থান করে নিতে হবে এবং প্রতিদিনের জীবনে তাদের মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করতে হবে।
— লেখকঃ মোঃ নাছিম প্রাং