মা... ।
অদ্ভূত এক শব্দ, এক অক্ষরের শব্দটি পুরো পৃথিবীকে কেড়ে নিয়েছে। মানুষ জম্মের পর থেকে যার আদর-স্নেহ পেয়ে বেড়ে উঠে। যার শিখানো বাক্য দিয়ে আমরণ কথা বলে, যার শিখানো হাঁটা দিয়ে পৃথিবী বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণ করে, যার দেওয়া সাহস-শক্তি দিয়ে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ নেয়, তিনি হলেন মা।
মা... শব্দটি আমাকে প্রতিবার-ই ব্যাকুল করে। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে যার দোয়া ও ভালোবাসা থাকে। যখন-ই এ শব্দটি নিয়ে ভাবি অশ্রু সিক্ত হওয়া পর্যন্ত মার স্মৃতিচারণ থেকে ফিরে আসতে পারি না। মা হল ভালোবাসার জায়গা, সুখ-দুঃখের জায়গা। মা হল সন্তানের আশ্রয়স্থল। মা হল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম নাম, যার ভালোবাসা হয় স্বার্থহীন।
কিন্তু... জীবনের একটি মূহুর্তে এসে সে নিরাপদ স্থলকেও অনিরাপদ মনে হয়, নিঃস্বার্থ ভালোবাসার বদলায় আঘাত করা হয়। কিন্তু কেন? আজও কি মিলেছে তার সমাধান? কোন সন্তান কি আজও তার জবাব আনসার করতে পেরেছে?
আফসোস! আমি হতভাগা সন্তানের জন্য। যার হাত ধরে আমি পৃথিবী চিনেছি, যার নয় মাস দশদিন গর্ভধারণের ফলে আজ পৃথিবী দেখেছি, সেই মা'র শেষ বয়সে অবহেলা আর লাঞ্ছলা ছাড়া কি দিতে পেরেছি?
অথচ ইসলাম বলে, (তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।) —বনী-ইসরাঈল - ২৩
স্ত্রী-সন্তানকে যতটুকু গুরুত্ব দিয়েছি, মা'র বার্ধক্য বয়সে কি তাকে ততটুকু গুরুত্ব দিতে পেরেছি? নাকি প্রতিবারই স্ত্রীর স্ফুলিঙ্গ কথায় উদগ্র হয়ে মাকে আঘাত করেছি? যে স্ত্রীর সাথে কয়েকদিন পূর্বেও পরিচয় ছিল না, তার জাদুমাখা কথা কি কোরআনের আয়াত থেকেও বেশি গুরুত্ব হয়ে গেল? তাহলে কেন আল্লাহর দেয়া বিধান অমান্য করে মা'কে আঘাত করা হচ্ছে?
মনে রাখবেন! স্ত্রীর কথায় আপনার মা'কে যতই কষ্ট দেন, আপনার জন্য স্ত্রী তার মাকে কিছু বলতে চাইবে না, তার পরিবারের কোন সদস্য, এমনকি তার কোন আন্তীয়কেও কিছু বলতে চাইবে না।
তাই অতি আবেগি, বউয়ের ধর্ম অনুসরণকারী ভায়েরা, সাবধান! স্ত্রী আপনার জন্য কতটুকু বিসর্জন দিয়েছে তা ভেবে-চিন্তে ফাঁদে পা দিবেন।
আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন।
Website: www.ichchashakti.com E-mail: ichchashaktipublication@gmail.com