এইটা একটা সত্য বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে লেখা গল্প। একটা সাধারণ কল্পনা হচ্ছে রিপা। ছোটবেলা থেকেই পার জীবনে অনেক কষ্ট সে যখন অনেক ছোট তখন তার মা-বাবার ডিভোর্স হয়ে যায়। এই তার বাবা-মার ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পর টিপা তার বাবার কাছেই থাকতো। রিপা ছোটবেলা থেকে অনেক কষ্ট সে কাউকে বোঝাতে পারত না কিন্তু মা কাছে না থাকলে যে কি হয় সেটা তাই বোঝে যার মা নাই। রুপার বাবা মার ডিভোর্সের পর রিপার বাবা কিছু মাস পরে বিয়ে করেন তোরই পার ফ্যামিলির সবাই রিপাকে অনেক ভালোবাসে।তো রিপা আস্তে আস্তে বড় হতে লাগলো তার ফ্যামিলি সবাই তখন বিয়ে দিতে চাইলো কিন্তু ওই পাশে স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে। রিফাত ডাকাতি ঠাকুর পায়ের মধ্যে ভালবাসত ও তারা তাড়াতাড়ি চাই তো তারা বেঁচে থাকতে যেন তাকে বিয়ে দিতে পারে। এভাবেই সবকিছু চলতে লাগলো রিপা স্কুল জীবন শেষ করে কলেজে ভর্তি হলো।সবসময় রিপা ভাতে ভাবে চলাফেরা করতো বান্ধবী দের হাসাহাসি মজাই এভাবেই যাচ্ছিল রিপার দিন।হঠাৎ একদিন একটা ছেলে তাকে দিল রিপার এগুলো সবসময়ই এড়িয়ে চলত। এগুলো পছন্দ করত না কারণ সে জানত আর পারবে অতঃপর তাকে ভালোভাবে পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।
এগুলো সব কিছু চিন্তা ভাবনা করার পাশে না করে দেয় ছেলেটিকে না করে দেয়। কিন্তু রিপার কিছু বন্ধু-বান্ধবের ছিল তারা তাকে এসব বিষয় নিয়ে বলতে লাগলো তোর তো জীবনে এমন একজন ভালো মানুষ দরকার। আরে ছেলে এসব বলে তাকে বুঝাইতে লাগলো। রিপা তখন মনে মনে এরকম একটা চিন্তা হলো আমার তো মা নেই এরকম যদি একটা মানুষ আমার জীবনে আসে তো ক্ষতি কি।তো সেই একটা ভুল ছিল বলে সবচেয়ে বড় ভুল। বাসার সবাই থাকে অনেক বিশ্বাস করত। যে সে এমন কোন কাজ করবে না যাতে তারা জীবন নষ্ট হয় এবং তার ফ্যামিলি মান সম্মান নষ্ট হয়। রিপা ঐ ছেলের সাথে কথা বলতে শুরু করল প্রথম দিকে তো সবাই ভালই দেখায়, তো কথাবার্তা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকলো রিপা তার পড়াশোনা ঠিক মত করত না সারাক্ষণ ওই ছেলের সাথে কথা বলতো। সেই ছেলে এমন ভাবে তাকিয়ে ফেলেছে তার সব চিন্তা ভাবনা নষ্ট হয়ে গেছে। তার ফ্যামিলির সবাই তার আচার ব্যবহার লক্ষ্য করছিল। যে কেমন জানি পাল্টে যাচ্ছিল। এমনই ভাবে এক বছর চলে এসব তারপর হঠাৎই একদিন সেই ছেলেটা বলে আমি আর তোমার থাকতে পারবো না।পরে এই কথা শুনে রিপা যেন আকাশ থেকে পড়ে তারপর ভেবে ছেলেটা কথা বলা বন্ধ করে দেয় এই ভাষাতে কৃপা যেন পাগলের মত হয়ে যাচ্ছিল তার বন্ধু বান্ধবীদের বলতে লাগল তখন সবাই ছেলেটাকে বোঝাতে লাগলো বলল দেখো বেশ করে তোমারসাথে রিপা থাকতে চাই তুমি তো সবই জানো ওর মা নাই ছোটবেলা থেকেই তাহলে ওটা তুমি বুঝবে না।
এসব বলে ছেলেটাকে কোনরকম কিন্তু ছেলেটার বডি এসেছিল শয়তানে। সে তার প্রয়োজনে রিপাকে ব্যবহার করত। রিপা এসব বুঝতে দাঁড়াতে ছেলেটি থাকে সত্যিই ভালোবাসে পেয়ে তাদের মধ্যে সবসময় ঝগড়া হতো ছেলেটি তাকে ছেড়ে দিতে চাই তোর বুঝতে না সে রিপা বারবার কান্নাকাটি করে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করত। একজন ছেলেটি বলেই দিল তোমার সাথে থাকা আমার সম্ভব না। আমার মা-বাবা তোমাকে কিছুতেই মেনে নেবে না। তোমার ফ্যামিলি ভালো না তোমার মা-বাবা একসাথে থাকে না তোমার সাথে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না। এ কথাগুলো শুনে রিপা থমকে গেল এখন কি হলো? ছেলেটি বলল আমি তোমার সাথে গেম খেলেছি। কৃপা বললো কেন তুমি আমার সাথে এরকমটা। করলে ছেলেটি বলল আমার মন চাইছে তাই করছি। রিতা বলল আমি কি খেলনা ছেলেটি বলল আমার মন চাইছিল তাই খেলছি এখন আর ভালো লাগে না পর সে বলল আমি তোমার জন্য আমার ফ্যামিলিকে ঢুকিয়েছি, বলছি আমি করবো না যেন আমার ফ্যামিলি মান সম্মান নষ্ট হয়। আর এখন তুমি এগুলো কথা বলছ তারপরে সেখান থেকে চলে যায় প্রীতি এবং ওই ছেলেটির সম্পর্কে কথা অনেকেই জানতো কলেজের এখন কলেজের সবাই সামনে ছেলেটি তাকে খুব অপমান করে।
পরের দিন মনমরা হয়ে কলেজে সবাই যেন তার দিকে অন্যরকম ভাবে তাকিয়ে আছে তখন একজন এসে বলে আপু আপনার সাথে নাকি সব নষ্ট হয়ে গেছে সেই ছেলেটির আর ওই ছেলে নাকি আপনাকে বাজে বাজে কথা বলেছে। এগুলো শুনার পর রিপার নিজের কাছে নিজেরই অনেক খারাপ লাগলো রিম্পা কান্ড কান্না করতে করতে বাসায় গেল। তারপর থেকে রিপার কলেজ যাইতো না ঘরে একা একা বসে থাকতো মনে মনে ভাবতো কলেজের অনেকেই কাছে যে কতটা খারাপ হয়ে গেছে তার ফ্যামিলিকে দেওয়া কথা সে রাখতে পারল না করে রিপা কথা দিয়েছিল সে এমন কোন কাজ করবে না সেই কথার কোন দামি থাকলো না ভিতরে শেষ হয়ে যাচ্ছিল না কাউকে বলতে পারছিনা না কাউকে বোঝাতেএভাবে নিজেকে আস্তে আস্তে ভিতরে ভিতরে শেষ করে দিচ্ছিল। রিপার এমনটা মনে হতো কিসে তার মায়ের ভালোবাসা পায়নি আবার সে যার সঙ্গে ভালোবাসে সারা জীবন কাটাতে চাইলেও চলে গেল মনে হচ্ছিল জীবন যেন থমকে গেছে।
কিন্তু না সময় গেল অনেক আস্তে আস্তে সে বুঝতে পারল। সে কার জন্য নিজের জীবন নষ্ট করছে। তার আরও জীবন পুরো ভবিষ্যৎ পড়ে আছে।কেন কোন বেঈমানের জন্য নিজের লাইফটা নষ্ট করবে তার জন্য নিজের জীবনটা শেষ করে বৃথা এই চিন্তা ভাবনা করলো রিপা আবার নতুন করে শুরু করতে চাইলো পড়াশোনা দাঁড়াতে চাইল। প্রতিষ্টিত হতে চাইলে। মনে হল চাইলেই মানুষ সবকিছু শেষ করে দিতে পারে না এটা মনে করে একটা বনের ভুল আর থেকেই মানুষ শিক্ষা নেয়। জীবন যুদ্ধে হেরে গিয়ে আবার দাঁড়াতে শিখে। কেননা চাইলেই সবাই বেছেদের পর নেশায় ডুব দিতে পারেনা। সে তার জীবনের একটা শিক্ষা। তাই সময় রিপাকে এমন একটা শিক্ষা দিয়েছে যে পরিচয় সবার সাথে থাক রাখলেও সম্পর্কটা সবার সাথে রাখতে নেই তোরে শুধু মা বাবাই স্বার্থ ছাড়া ভালবাসে হা পড়া করে প্রতিষ্ঠিত হলে সবাই তখন মূল্য দেবে। এসব কথা চিন্তা ভাবনা করিনি পাতাল জীবনটা আবার নতুন করে শুরু করলো।
নাম- মোছা রিন্তি খাতুন
ঠিকানা:- চাঁদপুর, সিংড়া শ্রেণী:-দ্বাদশ, বিভাগ: মানবিক
গোল-ই আফরোজ সরকারি কলেজ, সিংড়া -নাটোর