1. admin@ichchashakti.com : admin :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের লেখিকা নিপা’র কিছু কবিতাংশ “স্বপ্নের ছোঁয়া সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫” এ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতলো ‘চা জগত’ – বই  সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবার আয়োজিত সাহিত্য আড্ডা ও সাফারি পার্ক ভ্রমণ ২০২৫ ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের অনুষ্ঠান রৌমার, কুড়িগ্রাম -এর নবীন লেখিকা নিপা’র দুইটি কবিতা অর্ধ নারীশ্বর —– প্রীতম ভট্টাচার্য শেষ যাত্রা —- প্রীতম ভট্টাচার্য অর্পিতা সাহিত্য লাইব্রেরী-এ.এস.এল এর প্রাথমিকভাবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন যাঁরা… ক্যান্সারে আক্রান্ত মাও. এনামুল হাসান ফারুকীর পাশে দাঁড়ালো আল ইরশাদ ফাউন্ডেশন –

ভারতের কবি- শ্রী অমলেশ কুমার ঘোষ -এর কবিতা

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১০৭ বার প্রতিবেদনটি দেখা হয়েছে

কবি পরিচিতিঃ

শ্রী অমলেশ কুমার ঘোষ, কবি, সাহিত্যিক, এবং সমাজ সচেতন ব্যক্তিত্ব। “স্মরণিকা” সম্পাদনা করেছেন। “স্মরণিকা” বাংলাদেশ ও ভারত দুইদেশে প্রকাশিত একযোগে। ইচ্ছাশক্তি যৌথ পাক্ষিক ও সাপ্তাহিকের নিয়মিত লেখক। ফ্রী কোচিং সেন্টার, গ্রুপ থিয়েটার ও সামাজিক কাজে জীবন ছিল বর্ণময় ও রোমাঞ্চকর। চাকরিসূত্রে বিভিন্ন প্রদেশে কাজ করা ও থাকার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বৈচিত্রময় আপোষহীন ব্যক্তিজীবন।  চাকরি জীবন অবসানের পর আবার বাংলা ভাষায় লেখা শুরু ২০২২ থেকে। বর্তমানে নিয়মিত লেখা প্রকাশিত হয় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়, নববর্ষ, বই মেলা, শারদীয়া ও যৌথ কাব্যগ্রন্থে, দুপার বাংলায়। East Coast of USA বা পরমাণু বোমার আঁতুড়ঘরে একদিন, স্নেহলতা কাব্যগ্রন্থ, সন্তোষ গল্পগুচ্ছ, ধামরাই শুনছো কাব্যগ্রন্থ, জীবনকথা কাব্যগ্রন্থ  উল্লেখনীয় একক প্রকাশনা। তিনি ইচ্ছাশক্তি সাহিত্য পরিবারের একজন সক্রিয় সদস্য। ইচ্ছাশক্তি আইডি নং- ০০২০২২০৪৬৮

 

০১
ঈদ, মোবারক, কোরবানি, হজ্জ 

 

আসছে ইদুজ্জোহা, কেউ বলে ‘ঈদ উল আজহা’,

উচ্চারণে বদল দেশে দেশে আরবি “ঈদুল আযহা”

কেউ বলে কোরবানী ঈদ তো কোথাও বকরী ঈদ..,

“আল্লাহের ইচ্ছা ও ত্যাগের কথা স্মরণ” করে ঈদ।

মিলেমিশে পরিবার স্বজন, দান ধ্যানে শান্ত রহে মন,

ছড়িয়ে বার্তা ত্যাগে খুশি, সবে করো কুরবানী পালন,

নতুন পোশাকে ঈদের আনন্দ তিন চার দিন ধরে…

মানব জীবন শান্ত সুস্থ সবল রহে, ভবিষ্যতের তরে,

পরিচিত না হোক, মানবতাকে যেন রহে সংযমী মনে…..

সংযমী মন, দ্বিচারিতা ভুলে আবদ্ধ ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে।

ত্যাগের উৎসবে, আনন্দ সবে ভাগাভাগি করো

সামর্থ্য অনুযায়ী আল্লাহর নামে উৎসর্গ কোরো,

কোরবানি শেষে সকলের তরে আনন্দ ছড়িয়ে,

কোরবানির মাংস তিন ভাগে, নূতন পোশাক নিয়ে,

সমাজের সকলের তরে উদযাপনে করে আনন্দ…

ঈদ মানে খুশী, ঈদ মানেত্যাগের উৎসবের আনন্দ ॥

০২

ফলের গুণ কীর্তন

বাজারে ফল আসে হরেক রকম,

গরমে আম জাম বেশি, আপেল কম,

রোজ কিনতে চাই পকেটে দম,

ফল খেয়ে জল খেলে সমস্যায় হজম।

 

আমে ঘুম বেশি, জামে রক্ত,

আখ চিবিয়ে খেলে দাঁত হবে শক্ত,

বেলে মল হবে নাকো শক্ত,

মরসুমী ফল খেলে শরীর থাকে শক্তপোক্ত।

 

লিচু তালে দেহে বাড়ে তেল,

নানা কাজে লাগে পাঁকা কলার খেল,

রোজ খাও, পেট সাফে বেল

নিয়মে ফল খেলে, উজ্জ্বল ত্বকের খেল।

 

ফলসা আঁশফল অনেক পাবে গরমে,

রোগ ভোগ দূরে রাখতে ক্ষমতা চরমে,

পেয়ারা খেলে রক্তচাপ, লিপিড কমে,

পুষ্টির অভাব রোজ আপেল খেলে কমে॥

 

০৩

কোটা- দুর্নীতি

রাজা তুমি অত্যাচারী, দুর্নীতিবাজ, ব্যভিচারী,

কোটা প্রথায় রাজতন্ত্রের হোক অবসান, তাড়াতাড়ি,

রাজা তুমি গদী ছাড়ো, গণতন্ত্রের শাসন হোক জারি,

গণতন্ত্রে সবাই স্বাধীন, সমান সেবার অধিকারী।

 

রাজতন্ত্রে রাজা ছিলে তুমি, কোটা প্রথায়,

গনতন্ত্রে সবার সমান অধিকার, ভোটার তালিকায়,

স্বাধীনতার গনতন্ত্রে, রাজনেতার অনেক দায়িত্ব বর্তায়,

তবুও গলদ, গনতন্ত্রে কোটাপ্রথা, শাসন ব্যবস্হায়।

 

মেধার স্বীকৃতি নেই কেন (?) কেমন গনতন্ত্র (?)

বিবেক হারিয়ে, মানবতাহীন প্রশাসন, কার হাতের যন্ত্র (?)

মেধার স্বীকৃতি দিতে অপারগ, কেমন শাসনতন্ত্র (?)

রক্তাক্ত রাজপথ, ছাত্র যুবকের মৃত্যু মিছিল, কিসের মন্ত্র (?)

 

কোটা দুর্নীতির আখড়া হয়ে, আজও কেন বলীয়ান (?),

সমতা নয়, ক্ষমতার রাজনীতি, কোটাতে মরেছে জনগণ,

ছাত্রযুব, চাকরি কর্মসংস্হানের অভাবে ভোগে,

স্বাধীনতা নামে, গনতন্ত্র আজ আক্রান্ত, “দুর্নীতির রোগে”,

আকাশে বাতাসে আজ আওয়াজ, “মেধা আগে”,

গনতন্ত্রের আওয়াজে, আজ যেন “কোট-দুর্নীতি” ভাগে॥

 

০৪

নীরবতা 

 

নীরবতায় আচ্ছন্ন, মুহু্র্তটা, বারে বারে আসছিলো

তবুও অভিমান মনের মাঝে স্হান পায় নি,

শুধু চিন্তায়, কেন তুমি উত্তেজনায় কাবু হয়ে

উৎসাহের ক্ষণগুলো ভুলে, সম্পর্কের

ক্ষত বাড়াচ্ছিলে, নিজের মনের গভীরে।

 

অসহ্য লাগলেও, তোমাকে ভেবে, ভুলতে ক্ষণকাল,

যেন, নবীনের ডাকে সুজনের গান কানে বাজে

চিন্তায় তুমি নবীন মোর কাছে বারে বারে।

 

কষ্ট যন্ত্রণা উত্তেজনা ভাগ করলে, পারতে

শীতল ছায়ায় কাটানোর মতো, বিষন্নতা উপেক্ষা

করতে, পাথেয় করে চিন্তাশক্তি, তোমার অবদান।

শান্ত মনে, বাঁধ ভাঙা নূতন চিন্তায় তুমি শক্তি,

মনের দাবদহ শান্ত করতে, তুমি যে অকৃতদার,

চির নবীন তুমি, নিরবতায় কানে বাজে,

যেন সুবাস ছড়িয়ে শান্ত মনে বসে মোর কাছে,

নব চেতনায়, অভিমানে, গাহিতেছে গান।

 

০৫

এসো হে বৈশাখ

 

এসো হে বৈশাখ, এসো মুক্ত মন,

সরিয়ে মেরুকরণ, সঙ্গে ধাঁধামন,

সব পুরাতন, ভেদাভেদ চিন্তন,

সরিয়ে নূতনে জাগুক হে রাজন।

 

“রাজন আমি, ক্ষমতা আমার হাতে,

আরাম বুঝিয়ে দেব, কালি প্রভাতে,

হতভাগা, দুষ্ট চালাক তুই, সাক্ষাতে

হবি বধ,” কহিছিলে রাজন, কালি রাতে।

 

মেরুকরণের ভাঁজে, ক্লান্ত জনমন,

সূর্যোদয়ে হাঁকপাড়ি, সেঁধেছে ক্রন্দন,

এসো হে বৈশাখ, সরিয়ে সব বাধা,

 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ইচ্ছাশক্তি
Theme Customized By Shakil IT Park