রিয়া এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। অন্যদিকে রফিক, যে একসময় এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিল, এখন তার সমস্ত বিষয়েই ফেল।
একসময় দুজনের স্বপ্ন ছিল একসঙ্গে জীবনের প্রতিটি ধাপ পার করার। রফিকের হাত ধরে রিয়া জীবনের রঙিন স্বপ্নগুলো দেখতে শিখেছিল। কিন্তু আজ সেই রঙিন স্বপ্ন রিয়ার কাছে ধূসর হয়ে গেছে। রিয়া এখন মনে করে, রফিকের মতো ব্যর্থ একজন মানুষের সঙ্গে থাকা তার জন্য অসম্ভব।
একদিন বিকেলে, যখন সূর্য পশ্চিম আকাশে রক্তিম ছায়া ফেলছিল, রিয়া রফিককে দেখতে আসে। রফিক তখন কলেজের মাঠে একা বসে ছিল। রিয়া চুপচাপ তার সামনে দাঁড়ায়। রফিক চোখ তুলে তাকায়। রিয়ার মুখে সেই চেনা মায়া নেই, যা একসময় রফিককে স্বপ্ন দেখাত।
রিয়া বলে, “রফিক, আমাদের সম্পর্কটা এখানেই শেষ করে দেওয়া উচিত। আমি আর পারছি না।”
রফিক বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করে, “তুমি কি সত্যি এ কথা বলছ? তোমার কি মনে নেই, তুমি একদিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে যে তুমি কখনো আমাকে ছেড়ে যাবে না?”
রিয়া ঠান্ডা গলায় বলে, “আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল তোমার মতো একজন অপদার্থের সঙ্গে প্রেম করা। রফিক, তুমি এখন আর আমার উপযুক্ত নও। আমি সামনে এগিয়ে যেতে চাই, কিন্তু তুমি কেবল আমাকে পেছনে টেনে নিচ্ছ।”
রফিকের চোখে পানি জমে ওঠে। সে শুধু বলল, “রিয়া, ভালোবাসা কি শুধু সফলতার জন্য হয়? তুমি জানো না, তোমার এই কথাগুলো আমার জীবনটা আরও দুর্বিষহ করে দেবে।”
রিয়া কোনো উত্তর দেয় না। সে ফিরে যায়। আর রফিক অন্ধকার মাঠে একা বসে থাকে। চারপাশে সুনসান নীরবতা, যেন প্রকৃতিও তার ব্যর্থতার কাহিনি শুনছে।