ডেক্সঃ মোহাম্মদ মোহছেন মোবারক
রইস হত্যার বিচার চাই! নীরব থাকার সময় শেষ এবার সময় একসাথে ময়দানে নামার ঐক্য, প্রতিরোধ, শীগ্রই গণজাগরণের ঘোষণা দেওয়ার অনুরোধ।
বিস্ময়ের এক অধ্যায় লিখছে এই রাষ্ট্র! এমন এক দেশে আমরা বাস করি যেখানে ফিলিস্তিনের শিশুদের হত্যার বিরুদ্ধে কাঁদাও অপরাধ, যেখানে মুসলিম উম্মাহর পক্ষে অবস্থান নেওয়া মানেই সংকট। ২৬ এপ্রিল আমরা আয়োজন করেছিলাম একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ আমরা দাঁড়াতে চেয়েছিলাম কেবল মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে, ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, বার্মা, ভারতসহ বিশ্বব্যাপী জুলুমের শিকার মুসলমানদের পাশে। আমরা চেয়েছিলাম সেই সমাবেশ হোক ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কিন্তু তিন তিনবার স্থান পরিবর্তন করা হলো, শেষ পর্যন্ত আমাদের ঠেলে দেওয়া হয় এক সংকীর্ণ কোণে। যেখানে জায়গা সংকীর্ণ, নিরাপত্তা কম, এবং উপস্থিতির সম্ভাবনাও সীমিত। কেন? ১২ এপ্রিল, একদল করেছে মার্চ ফর গাজা ৩ মে, হেফাজতে ইসলাম সমাবেশ করেছে একই স্থান দখল করে!তাদের বাধা ছিল না, তাদের গেট বন্ধ হয়নি, তাহলে আমাদের জন্যই এই বৈষম্য কেন? এরপর এসেছিল রইস হত্যার ইস্যু।
রইস যে ছিল একজন সুন্নি তরুণ, আমাদের ভাই, যার রক্ত ঝরেছে দিনে-দুপুরে, প্রকাশ্যে, অথচ হত্যাকারীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে! আমরা দাবি জানালাম রইস হত্যার বিচার চাই! এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে গেলাম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে। কিন্তু পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হলেন আমাদের বহু ভাই। আমরা কারো বাড়ি পোড়াইনি, কারো অফিস ভাঙিনি, তবুও কেন এই হামলা, এই দমন? আজ আবারো অবরোধ কর্মসূচিতে আমাদের ওপর নেমে এলো রাষ্ট্রযন্ত্রের সমস্ত শক্তি। টিয়ারসেল, গুলিবর্ষণ, সেনাবাহিনী, পুলিশ, সঙ্গে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্য হামলা। এই হামলা শুধু আমাদের ওপর নয়, এটা সুন্নি অস্তিত্বের উপর হামলা আমাদের চেতনার ওপর, আমাদের স্বাধীনতার ওপর এই দেশ কি তাহলে আমাদের নয়?এই রাষ্ট্র কি শুধু সুবিধাভোগীদের জন্য? এই আইন কি শুধু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর পক্ষে? আমরা শত সহ্য করেছি, বারবার সংযম দেখিয়েছি,কারণ আমাদের নীতি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ।আমরা রাসুলপ্রেমিক, শান্তিপ্রিয় কিন্তু ওয়াল্লাহি, যখন আমাদের ঈমান আহত হয়, তখন আমরা খালি হাতে কারবালার উত্তরসূরি হয়ে উঠি!"ভাইয়েরা!আজ যদি আপনি ঘরে বসে থাকেন,শুধু পোস্ট দেন, শুধু কমেন্ট করেন,তাহলে ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না।
কারণ ইতিহাস তৈরি হয় ময়দানে দাঁড়িয়ে, বুক চিতিয়ে বলার মধ্য দিয়ে আমাদের সামনে আজ আরেকটি কারবালা আরেকটি অন্যায়ের ইতিহাস তৈরি হচ্ছে এই বৈষম্য, এই নিপীড়নের চক্র ভাঙতেই হবে তাই আজই সময় ঐক্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার,ভেদাভেদ ভুলে এক কাতারে দাঁড়ানোর,রাসুলপ্রেমিক সকল দল, সংগঠন, তরুণ, আলেম, বুদ্ধিজীবীএগিয়ে আসুন, এক প্ল্যাটফর্মে। এখন আর বিলম্ব নয়, এখনই ডাক দিন গণজাগরণের।এখনই পরিকল্পনা করুন সারাদেশব্যাপী সুন্নি ঐক্য প্রতিষ্ঠার। সুন্নি নেতৃবৃন্দ, আলেমগণ, যুবকগণ, ছাত্রগণ, কর্মীগণ একবার ভাবুন, আর কতকাল এভাবে সহ্য করব?এই পথ আর চলার নয়।আজ যদি আমরা না দাঁড়াই, কাল এই রাষ্ট্রে আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকবে না।রইস হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত,সুন্নিদের নিরাপত্তা ও সম্মান নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্তআমাদের এই আন্দোলন চলবে, চলতেই থাকবে ইনশাআল্লাহ।
আমরা অনুরোধ জানাই সুন্নি জনতার উচ্চপদস্থ সকল নেতৃত্বের প্রতিআর দেরি নয়! এখনই সময় বৃহত্তর কর্মসূচির ডাক দেওয়ার। আমাদের ঘরে বন্দি করে রাখা যাবে না।আমরা মাঠে নামবো বুক চিতিয়ে, মাথা উঁচু করে!এই সরকারকে দেখিয়ে দিতে হবে—সুন্নি জনতা আর চুপ থাকবে না! সুন্নি জনতা মাথা নত করবে না!সুন্নি জনতা ঐক্যবদ্ধ হলে, কোনো ফ্যাসিবাদ টিকবে না! এই লড়াই কোনো দুনিয়াবি লোভের নয়,এই লড়াই ঈমানের, এই প্রতিরোধ রাসুলপ্রেমিক জনতার আত্মমর্যাদার!আসুন! জেগে উঠি! ঐক্যবদ্ধ হই! জুলুমের শেষ দেখে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ!বাংলাদেশ আমাদেরও এই রাষ্ট্রের প্রতিটি ইঞ্চি জমিতে আমাদের রক্তও মিশে আছে!আর তাই রইস এক প্রতীক সুন্নি চেতনার, প্রতিরোধের, পুনর্জাগরণের!
রইস হত্যার বিচার চাই!
সুন্নি জনতার ঐক্য চাই!
এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে গণজাগরণ চাই!
Website: www.ichchashakti.com E-mail: ichchashaktipublication@gmail.com