তিন ভাই বোনের মধ্যে শাহেদ সবার বড়। দুই বছর হলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাহেদ ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পূর্ণ করেছে। কাঙ্ক্ষিত একটা চাকরির প্রত্যাশায় শাহেদ প্রতিনিয়ত দ্বারে দ্বারে ছুটে চলেছে। কিন্তু কোনো চেষ্টা তদবির করেও কাঙ্ক্ষিত চাকরিটা পাচ্ছে না শাহেদ। চাকরির পড়ার ফাঁকে ফাঁকে শাহেদ টিউশনির মাধ্যমে যে টাকা উপার্জন করে তা নিজের খরচ এবং ছোট দুই ভাই বোনের লেখাপড়ার খরচের মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যায়। শাহেদের বাবা একসময় সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। এখন অবসরপ্রাপ্ত হয়ে জীবনযাপন করছেন। তার সামান্য পেনশনের টাকায় চলছে সংসার। এমতাবস্থায় শাহেদের মা-বাবা হিমশিম খাচ্ছে সংসারের খরচ চালাতে। সবসময় অভাব অনটন লেগেই থাকে। জিনিসপত্রের যে দাম তাতে করে ওই সামান্য পেনশনের টাকায় সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তবুও কোনোরকম চলছে শাহেদের পরিবার।
শাহেদ লেখাপড়ায় খুব ভালো। সবসময় ভালো রেজাল্ট নিয়ে পাস করেছে। অথচ কাঙ্ক্ষিত কোনো চাকরির দেখা পাচ্ছে না। মা-বাবার স্বপ্ন ছিলো শাহেদ লেখাপড়া শেষ করে বড় কোনো চাকরি নিয়ে পরিবারের হাল ধরবে। তাদের সে স্বপ্নে আজ গুড়ে বালি। প্রতিনিয়ত শাহেদকে তার বাবার মুখে কটু কথা শুনতে হচ্ছে। এমনকি খাবার খেতে বসলেও খাবারের খোটা দিয়েও পরিস্থিতি অকুলান করে তোলে শাহেদের বাবা। প্রতিদিন ভোরে শাহেদের ঘুম ভাঙে বাবার মুখের বকাঝকা শুনে। তাই একটা সময় বাবার মুখে বকাঝকা শুনতে শুনতে শাহেদ একেবারে অধৈর্য হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় শাহেদ কি করবে তাও ভেবে পাচ্ছে না ৷ ওদিকে শাহেদের প্রিয় মানুষ রুম্পার বিভিন্ন জায়গা থেকে বিয়ের ভালো ভালো প্রস্তাব আসছে৷ তাই বিয়ের জন্য রুম্পা শাহেদকে বারবার চাপ দিচ্ছে। তবুও শাহেদ রুম্পার কথায় এগোতে পারছে না। বিয়ের অনেক প্রস্তাব না করতে করতে রুম্পা তার পরিবারের কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শাহেদকে বিয়ে করবে বলে রুম্পা এতোদিন পরিবারের সব কথা সহ্য করে গেছে।
কিন্তু এখন সেটা রুম্পার কাছে অসহনীয় হয়ে উঠেছে। শাহেদের চাকরির অপেক্ষায় থেকে রুম্পা অনেক বছর অপেক্ষা করেছে। শাহেদের সাথেই রুম্পা একই বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স সম্পূর্ণ করেছে। কিন্তু শাহেদের চাকরিটা না হওয়ায় তাদের ভালোবাসা অপূর্ণতার দিকে যাচ্ছে। রুম্পার বয়সও বেড়ে যাচ্ছ। শাহেদের কবে চাকরি হবে না হবে তার অপেক্ষায় আর থাকতে দিবে না রুম্পার পরিবার। এবার বিয়েতে রাজি না হলে রুম্পাকে তার পরিবার বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এসব কথা রুম্পা শাহেদকে ফোনের মাধ্যমে বলেছে। তবুও শাহেদ কিছু করতে পারছে না। তাছাড়া বেকার পোলার সাথে রুম্পার পরিবার বিয়ে দিতেও রাজি নয়। ভালোবাসার সম্পর্কের কোনো মূল্য নেই রুম্পার পরিবারের কাছে। শাহেদ এবং রুম্পা একে অপরকে ভীষণ ভালোবাসে। কেউ কাউকে ছাড়া একমুহূর্ত থাকতে পারে না। অথচ বাস্তবতা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের জীবনে। এখান থেকে উত্তরণের কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছে না শাহেদ। বেকারত্বের অভিশাপে শাহেদের জীবন থেকে অনেক মূল্যবান কিছু চোখের সামনে ক্রমাগত হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ শাহেদের করার কিছু নেই। অবশেষে রুম্পা হেরে যায় তার পরিবারের কাছে।
একটা মেয়ে চাইলেই সবকিছু করতে পারে না। প্রত্যেক মেয়েকে অনেক বাঁধা-বিপত্তি পেরিয়ে তাকে সংগ্রাম করে বাঁচতে হয়। রুম্পার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এভাবে কয়েক মাস চলতে চলতে কানাডা প্রবাসী বড়লোকের ছেলের সাথে রুম্পার বিয়ে হয়ে যায়। এখানে রুম্পার কোনো দোষ নেই। শাহেদেরও কোনো দোষ নেই। দোষ তাদের কপালের। রুম্পাকে হারিয়ে শাহেদ একেবারে ভেঙে পড়ে। এতো ভালেবেসেও প্রিয় মানুষটাকে শাহেদ হারিয়ে ফেলে। এতোদিনের সম্পর্ক মুহূর্তেই শেষ হয়ে যাওয়ায় শাহেদ অনেক কান্না করে। শাহেদের জীবনে এমনকিছু ঘটবে শাহেদ সেটা কল্পনাও করতে পারেনি। রুম্পাকে হারিয়ে শাহেদ মানসিক ভাবে কয়েক মাস ডিপ্রেশনে থাকে। কোনো ভাবেই শাহেদ রুম্পাকে ভুলে থাকতে পারে না। সবসময় রুম্পার স্মৃতি তাকে চোখের জলে ভাসায়। প্রিয় মানুষকে কেউ কখনো ভুলতে পারে না। তাই প্রিয় মানুষকে হারানোর বেদনা আমৃত্যু কাঁদায়। বেকারত্বের অভিশাপ শাহেদকে অক্টোপাসের মতো আষ্টেপৃষ্ঠে বেমালুম জড়িয়ে ধরেছে।
সেখান থেকে ছুটে আসার কোনো উপায়ন্তর খুঁজে পাচ্ছে না শাহেদ। আজকাল শাহেদের বাবাও শাহেদের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে৷ শাহেদকে দেখলেই সবসময় মুখ গোমড়া করে রাখে তার বাবা। কিন্তু শাহেদের মা কখনো শাহেদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেনি। বরং তার মা সবসময় সাহস যুগিয়েছে শাহেদকে। শাহেদের মায়ের বিশ্বাস একদিন না একদিন তার ছেলে বড় কোনো চাকরি পাবে। তখন তাদের সব কষ্ট দূর হয়ে যাবে। এভাবে চলতে থাকে আরো কয়েক মাস।ইদানীং শাহেদের বাবা ঘনঘন অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন। টাকার অভাবে ভালো কোনো ডাক্তারও দেখাতে পারছে না। এসব কিছু শাহেদ মুখ বুঁজে সহ্য করে যাচ্ছে। এছাড়া কিছু করার নেই শাহেদের পক্ষে। এর কয়েক দিন পর শাহেদের বাবা বয়সের ভারে রোগে ভুগে মৃত্যুবরণ করে। তখন শাহেদের পরিবারের উপর কষ্টের আকাশ ভেঙে পড়ে। বাবার মৃত্যুতে শাহেদ অনেক শোক প্রকাশ করে। এমতাবস্থায় শাহেদ কি করবে সেটা ভেবে পাচ্ছে না। কাঙ্ক্ষিত একটা চাকরির জন্য কতোকিছুই না করেছে শাহেদ। তবুও তার কপালে একটা চাকরি জুটছে না।
এর ফাঁকে পরিস্থিতির চাপে পড়ে সরকারি চাকরির পাশাপাশি শাহেদ খুঁজতে থাকে প্রাইভেট সেক্টরের কোনো চাকরি। তাই বিভিন্ন সেক্টরে একের পর এক সিভি পাঠিয়েই যাচ্ছে শাহেদ। কিন্তু কোথাও থেকে কোনো ডাক আসছে না। প্রাইভেট সেক্টরেও মামা খালু না থাকলে চাকরি হয় না। চাকরি নামক সোনার হরিণটা শাহেদের কাছে অধরাই থেকে যাচ্ছে।এরপর হঠাৎ একদিন শাহেদের ফোনে রুম্পার কল আসে। রুম্পার কল দেখেই শাহেদ রীতিমতো চমকে উঠে। তারপর শাহেদ কল রিসিভ করে রুম্পার সাথে কয়েক মিনিট কথা বলে। একপর্যায়ে রুম্পা সবকিছুর জন্য শাহেদের কাছে করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে। বিপরীতে শাহেদ রুম্পার সাথে কথা বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলো না। রুম্পার কণ্ঠস্বর শুনেই শাহেদের বুকে ভূমি কম্পনের সৃষ্টি হয়। বুকের কম্পনকে উপেক্ষা করে শাহেদ হাসি মুখে রুম্পাকে ক্ষমা না চাওয়ার বিনীত অনুরোধ জানায়। বরং রুম্পার কাছে শাহেদ নিজের অক্ষমতার জন্য ক্ষমা চায়। তখন একটা চাকরি পেলে খুব সহজেই শাহেদ রুম্পাকে পেয়ে যেতো। আসলে রুম্পা তার ভাগ্যে নেই। বিধাতা তার ডায়েরিতে তাদের মিলন লিখেননি। তাই হয়তো তাদের মিলন হয়নি। বেকারত্বের অভিশাপ যে কতোটা কঠিন এবং যন্ত্রণাময় শাহেদ তা গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। এই সমাজে বেকার ছেলের কোনো মূল্য নেই। সবাই তাদের দিকে বাঁকা চোখে তাকায়। কেউ তখন সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেয় না।
একটা উচ্চ শিক্ষিত ছেলে বেকার থাকলে সমাজে মুখ দেখানো তার কাছে ভীষণ লজ্জার মনে হয়। প্রত্যেক সমাজ চায় প্রতিষ্ঠিত এবং কর্মজীবী মানুষ। বেকারদের দিকে কেউ সুনজরে তাকায় না। এমনকি পরিবারের মানুষজনও তাকে দূরে সরিয়ে দেয়। কেউ তার মানসিক যন্ত্রণা উপলব্ধি করে না। কেউ তার পাশে বসে ভালো ভাবে কথা বলে না। তার সাথে কোনো যোগাযোগ রাখে না। সমাজ এবং পরিবার তাদের আলাদা করে রাখে। শাহেদ বুঝে গেছে খালি পকেটের কোনো মূল্য নেই এই সমাজে। আপাদমস্তক শাহেদ একজন ব্যর্থ ছেলে এই সমাজ সেটা প্রমাণ করেছে। এটাই তাকে তকমা দিয়েছে আশেপাশের পরিবেশ।একজন বেকার ছেলে যুগে যুগে অবহেলিত। কেউ একটা কাজের সুযোগ দিয়ে তাদের দিকে এগিয়ে আসে না। আশেপাশের কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় না। এসবকিছু সহ্য করা একজন বেকার ছেলের পক্ষে অতিমাত্রায় অসহনীয় হয়ে পড়ে। তারা ঘুমাতে পারে না ব্যর্থতার গ্লানি বুকে নিয়ে। একটা সময় তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বাহিরে বেড়াতে লজ্জাবোধ করে। মানুষের কাছে তারা গ্রহণযোগ্যতা হারায়। এরফলে তারা গভীর ডিপ্রেশনে চলে যায়। একটা সময় আত্মহত্যা মহাপাপ জেনেও নিজেকে পার্থিব মুক্তি দেওয়ার জন্য অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
এটাও সত্যি আত্মহত্যা মহাপাপ না হলে গণহারে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিতো। কিন্তু শাহেদের মনে কখনো আত্মহত্যা করার চিন্তা আসেনি। শাহেদ অনেক ধৈর্যশীল একটা ছেলে। তার আত্মবিশ্বাস আল্লাহর রহমতে একদিন সে সফলকাম হবে। তখন সবাই তার গুণগান করবে। সবাই ভুলে যাবে তার আগের জীবনের কথা। শাহেদের দৃঢ় ইচ্ছা চাকরি পাওয়ার শেষ বয়স পর্যন্ত সে লেগে থাকবে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে। পরিশ্রম কখনো বিফলে যায় না শাহেদ সেটা প্রমাণ করেই ছাড়বে। তাই লোকের সব কথা অগ্রাহ্য করে শাহেদ তার মনোবল না হারিয়ে চাকরির পিছনে অবিরাম ছুটে চলেছে। শাহেদের বাবা মারা যাওয়ার পর শাহেদ আরো টিউশনি বাড়িয়ে দিয়েছে। তার টিউশনির টাকায় চলছে সংসার এবং দুই ভাই বোনের লেখাপড়াসহ যাবতীয় খরচ। তবুও শাহেদ পরিবেশ পরিস্থিতির কাছে কখনো হার মানবে না। সে এর শেষ দেখে ছাড়বে। এভাবে চলতে থাকে আরো কয়েক মাস। সামনে শাহেদের বিসিএস লিখিত পরীক্ষ। তাই লেখাপড়ার গতি আরো বাড়িয়ে দিয়েছে৷ অযথা সময় নষ্ট না করে সবসময় বই হাতে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। দিন যতই যাচ্ছে ততই ঘনিয়ে আসছে শাহেদের বিসিএস লিখিত পরীক্ষা। এটা তার তৃতীয় বারের মতো বিসিএস লিখিত পরীক্ষা। আগের দুইবার সে বিসিএস লিখিত পরীক্ষা দিয়েও কৃতকার্য হতে পারেনি । তাই এবার তাকে সফল হতেই হবে। সেই মাফিক সে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
এরমধ্যে শাহেদ বিসিএস লিখিত পরীক্ষা দিয়েছে। আগের দুইবারের চেয়ে এবারের পরীক্ষা অনেক ভালো হয়েছে। শাহেদের আত্মবিশ্বাস আল্লাহ সহায় থাকলে এবার সে কৃতকার্য হতে পারবে। তাই এবার সে বিসিএস ভাইভা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। এভাবে কেটে যায় আরো কয়েক মাস। তারপর শাহেদের বিসিএস লিখিত পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ হয়। সুনামের সাথে সে কৃতকার্য হয়। তার স্বপ্ন এবার পূরণ হতে চলেছে। এযাত্রায় কয়েক মাস অপেক্ষার পর বিসিএস ভাইভা পরীক্ষায় পাসের মাধ্যমে শাহেদ চূড়ান্ত ভাবে প্রশাসন ক্যাডারে মেধা তালিকায় সুপারিশ প্রাপ্ত হয়। তখন এলাকা জুড়ে শাহেদের নাম সুনামের সাথে ছড়িয়ে পড়ে। শাহেদকে সবাই অভিনন্দন জানায়। শাহেদের এই শুভ সংবাদে তার মা সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছে। সারাজীবন শাহেদের পরিবার এই একটি দিনের অপেক্ষায় থেকেছে। শাহেদের সারাজীবনের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে।
বাবা বেঁচে থাকলে গর্বের সাথে শাহেদকে বুকে জড়িয়ে ধরতেন। শাহেদের এই অসাধ্য সাধন তার বাবার নামে উৎসর্গ করেছে। শাহেদের এই সুখবর সুদূর কানাডা পর্যন্ত রুম্পার কানে পৌঁছে যায়। সাথে সাথে রুম্পা শাহেদকে ফোনের মাধ্যমে অভিনন্দন জানায়। প্রিয় মানুষকে কাছে না পেলেও রুম্পা বন্ধু হিসেবে আজীবন শাহেদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করে। শাহেদ প্রমাণ করেছে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেরিতে হলেও একদিন সফল হওয়া যায়। তাই ধৈর্যসহকারে লেগে থাকতে হবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে। শাহেদের এমন আকাশচুম্বী সফলতায় তার পরিবারে শান্তির সুবাতাস বয়ে যায়। সব কষ্ট তখন সুখের পায়রা হয়ে আকাশে ডানা মেলে। শাহেদ মায়ের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করেছে। নিজের নামের প্রতি শাহেদ সুনাম ছড়িয়েছে। পরিশ্রমী মানুষ তার ভাগ্যকে বদলাতে পারে। কোনো প্রতিবন্ধকতা তাদের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। দেরিতে হলেও তারা একদিন সফলতার হাতছানি পাবে। তখন বেকারত্ব ঘুচে যাবে চিরতরে। অভিমুখী স্বপ্নগুলো তখন ডানা মেলে উড়তে থাকবে বিশাল আকাশ জুড়ে। ক্লান্তির লেশমাত্র ছুঁতে পারবে না আনীত উপক্রমে। সবকিছু হেরে যাবে পরিশ্রমী মানুষের মহাসাধনার কাছে।