ঘন কালো মেঘের সাঁড়িতে রুপালী বৃষ্টির শব্দে
যখন ঘুম ভাঙ্গলো-তখন-বিশাল পৃথিবী
অন্ধকারে লুকিয়ে গেছে নিরবতায়,
চারদিকে শালিকের শব্দ নেই
সবুজ ঘাসের উপর দুলো নেই
ব্যস্ত শহরের ক্লান্তি নেই,
ঠান্ডা বাতাসে ভেসে আসে কেবল পুরোনো মাটির গন্ধ
কোলাহল-স্নিগ্ধতার পরশে থমকে গেছে পুরো শহর।
ফিরে যাই শৈশবের মাঠে,ক্লান্ত বিকেলে
ছুটে চলা দূরে বহু দূরের পথে
বৈরী-হাওয়া,বজ্রপাত, মট মট শব্দ আমের ডালে
কাঁদা পথ ধরে-তবু-হেটে চলছি
আমরা কয়েক জন ভিজবো বলে বৃষ্টি স্নানে।
বৃষ্টি ঝরছেই,
আমাদের-হৈ হৈল্লো অশান্ত আত্মায় মিশে গেছে
পারুলী খাল ভরে গেছে ঘোলাটে জলে
ডুপ সাঁতারে ভেসে বেরাই আমরা কজন
দুপুর পেরিয়ে বৈকালের পথে-তবু-ভাসি
তৃপ্ত বাদলে ,আমরা বালকের দলে।
আবারো ভিজতে ইচ্ছে করে-বৃষ্টি ফোটায়
কাঁদা জল গায়ে মেখে দেখতে ইচ্ছে করে
আমার শৈশবের আত্মা খুজে পাই কিনা,
খুজে পাইকিনা বৃষ্টির শব্দ ,একটি বৃষ্টির সকাল।