পুরোনো সমস্ত কিছুর ছাঁপ আমার মন স্পর্শ করে।
অতীতের কাটানো সুখময় সময়ই ভবিষ্যতের কালো অসুখ। বাতাসের চেনা গন্ধ আমাকে মনে করিয়ে দেয় আমি এখন কেমন আছি, ঠিক কোথায় আছি? যে পথে পা বাড়ালে বুক কেঁপে উঠতো আনন্দে “সুমিষ্ট লজ্জায়, বহুকাল সেথায় কেউ নেই, যেন সকলেই মৃত। তারা জানেও না তাদের মধ্যে প্রান নেই।
( হিস্টোরি রিপিট ইটস শেল্ফ)
ইতিহাস বারবার ফিরে ফিরে আসে।
সময়ের গতি ধারা ক্রমশই পরিবর্তিত হচ্ছে সময় সব বলে দিবে।
এক এক করে সেই সকল কিছু পাবো যা-যা আমার প্রাপ্য ছিল।
দুঃখ এড়িয়ে যাওয়ার বিষয় না, অতীত মুছে ফেলার মতো খেলনা না আমি অসুস্থ নই ভুলে যাবো আমি মনে রেখেছি। পুরোনো মানুষের শরীরের গন্ধ, বৃষ্টির পর স্নায়ু”শীতল গন্ধ সেই একই রৌদ্রজ্জল আলোকিত বিকেল শব্দ বিহীন গাছের পাতাঝরা বাতাস, ছোট্ট শিশুর ভয়হীন নিস্তেজ মন, ক্লান্ত সন্ধ্যার তীক্ষ্ণ মস্তিষ্কের শাসনের ভয়,সেই সমস্ত কিছুই যেন এ পৃথিবীতে ঘটে না বহুকাল।
আবার কবে কে ফেরাবে? কেই”বা সারাবে এ জটিল অসুখ।
আজ কাল পেরোলেই মহাকাল পৃথিবীর চরম অসুখ হয়েছে।
কী হচ্ছে কী হতে যাচ্ছে তা আমি আগে থেকেই আচ করতে পারি। অতীতে করা ভূল প্রতিনিয়তই প্রমান দিচ্ছে সেসবই সঠিক। আত্মবিশ্বাসের দাগকাঁটা নামে বরাবরই নিজের নামে অভ্যস্ত আমি। বরাবরই আমি আমারই একান্ত অনুপ্রেরণা নিজের সামর্থ্যকে কী আর অস্বীকার করা যায়?
যাদের ভালোবেসে নিজেকে ভূল জেনেছি তারা এক এক করে অক্ষর জমালো,আমাকে ভালোবাসার অপরাধে তারা আজ জীবন্তই ইতিহাস।
ভালোবেসে অমর করেছে আমায় এ চোঁখে তাকিয়ে কেউ শাসন করতে জানে না।
লজ্জা, ভয়, ঘৃনা, আদর,কীসের দুর্বলতা?
এক জীবনে এতো আপন মুখ আমাকে অনন্তকাল ভালোবাসবে এ কথা ছিলো না।
সেই সব ভালোবাসা প্রত্যাখ্যান করেছি আমি নিমিষেই। আমি যেন শুধুই নিজের আমি কারো আশ্রয় হতে আসিনি, কাউকে আশ্রয় দিতে আসিনি, আমি একান্তই আমার। অধিকার আদায়ে সর্বনিম্ন স্তরে স্থান আমার তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই। নিজের শরীরই কেবল অধিকারের কেন্দ্রবিন্দু এ আমার পরিচয়।
যখন তুমি তাহাদের একান্ত,
তখনই তুমি অধিকারে দ্বায়বদ্ধ।
আস্থা হারা আলোয়
তুমি এক অমাবস্যার প্রত্যাখ্যান।
শব্দ থেমে যাক অচরে প্রেম জেগে থাক হস্তান্তরে,
অটুট থাকো তুমি
ভেঙে যাক বাঁধন।